ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, পিছিয়ে পড়ে স্বস্তির ড্র পেপ গার্ডিওলার দলের, দু’দলের দু’জনের লালকার্ড, ম্যানচেস্টার সিটি ১-১ এভারটন

এভারটনে ধাক্কা খেল ম্যানচেস্টার সিটি

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৩ আগস্ট ২০১৭

এভারটনে ধাক্কা খেল ম্যানচেস্টার সিটি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই ধাক্কা খেল ম্যানচেস্টার সিটি। সোমবার রাতে নিজেদের মাঠ লন্ডনের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হারতে হারতে কোনরকমে ড্র করেছে পেপ গার্ডিওলার দল। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অতিথি এভারটন ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। ম্যাচে দু’দলের দু’জন লালকার্ড দেখেন। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ করে এভারটনকে এগিয়ে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফরোয়ার্ড ওয়েন রুনি। এর মাধ্যমে লীগে তিনি গোলের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এ্যালান শিয়েরারের পরে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রুনি এই মাইলফলক স্পর্শ করেন। সিটি গোলরক্ষক এডারসন বলটা যেভাবে মিস করেন তাতে ম্যাচ শেষে লজ্জাই পাওয়ার কথা এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের। রুনির নেয়া শটটা আটকাতেই পারতেন তিনি তবে দুই পায়ের ফাঁক গলে বলটা জালে জড়িয়ে যায়। আর এই গোল দিয়ে ইতিহাসের আরেকটা মাইলফলকে পা রাখেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক। যদিও এই গোলে রুনি দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি। ৮২ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে সিটিজেনরা স্বস্তির এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এর ফলে আরেকবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোনাল্ড কোম্যানের দল জয় বঞ্চিত হলো। তবে ড্র করলেও মৌসুমের শুরুতে দুই ম্যাচে অপরাজিত থাকলো পেপ গার্ডিওলার দল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। দু’দলই ম্যাচ শেষ করে দশজন নিয়ে। সাত মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড পাওয়া এভারটনের মরগান শিনেডারলিন ম্যাচের শেষের দিকে এসে আবারও হলুদ কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়েন। দু’দলের সমর্থকরা সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ও বার্সিলোনায় সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সমবেদনা জানান। ম্যাচের শুরুতেই নিকোলাস ওটামেন্ডির লো শট আটকে দেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর সার্জিও এ্যাগুয়েরোর শট লাইনের ওপর থেকে ক্লিয়ার করেন ফিল জাগেইলকা। এভারটনের ওপর সিটিজেনরা ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ডেভিড সিলভার শট কোনরকমে রক্ষা করেন পিকফোর্ড। কিন্তু এর পরপরই রুনি নিজেকে মেলে ধরেন। ৩৫ মিনিটে কালভার্ট লিউইনের পাস থেকে এডারসনকে পরাস্ত করে তারকা এই স্ট্রাইকার। মিনিটখানেক পরেই গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শট সরাসরি পিকফোর্ডের হাতে যায়। বিরতির ঠিক আগে ওয়াকারকে রেফারি ববি ম্যাডলি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখালে দশজনের দলে পরিণত হয় সিটি। এরপর ম্যাচটি অনেকটাই এভাটরনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তবে তারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। একজন কম হলেও বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে সিটিজেনরা কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। কিন্তু রোনাল্ড কোম্যান দুটি পরিবর্তন করে ম্যাচটিকে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কওে তোলেন। ৬১ মিনিটে তিনি ডেভি ক্লাসেন ও অভিষিক্ত গিলফি সিগার্ডসনকে মাঠে নামান। কালভার্ট-লিউইন অনেকটা পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লে কাউন্টার এ্যাটাকের কথা চিন্তা করেই কোম্যান এই পরিবর্তন করেন। অন্যদিকে গার্ডিওলারা খেলোয়াড় পরিবর্তনও বেশ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ছিল। বার্নান্ডো সিলভা ও স্টার্লিং মাঠে নেমেই আক্রমণের সুযোগ পান। এছাড়া আরেক বদল খেলোয়াড় ডানিলোর শটও দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন পিকফোর্ড। ৮২ মিনিটে অবশ্য আর শেষ রক্ষা হয়নি এভারটনের। দারুণ ভলিতে স্টার্লিং গোল করলে স্বস্তির এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক ম্যানসিটি। ম্যাচ শেষে কেইল ওয়াকারের লালকার্ডের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন সিটি কোচ গার্ডিওলা। তিনি বলেন, আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম এক গোলে। এরপর শেষ ৪৫ মিনিট খেলতে হয়েছে একজন কম নিয়ে। এটা খুব কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। রেফারি আমাদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিল। তার সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করেছে। এভারটন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের আপসোস অবশ্য জয় না পাওয়ায়। তিনি বলেন, আমাদের সুবর্ণ সুযোগ ছিল ম্যাচটি জেতার। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় হলো না। তবে ছেলেদের পারফর্মেন্সে আমি খুশি।
×