ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিপোর্টেরের ডায়েরি

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৩ আগস্ট ২০১৭

রিপোর্টেরের ডায়েরি

রাজআলী আমার বন্ধু আবার তোমার গল্প বলার সুযোগ পেয়েছি রাজআলী। দীর্ঘদিন ‘জনকণ্ঠে’ রিপোর্টারের ডায়েরি লেখা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন তোমার গল্পগুলো আমার পরিচিতজনদের জানাতে পারব। এ জন্য কৃতজ্ঞ তপন দাসহ অন্য সহকর্মীদের কাছে। কোন এক শনিবার সাপ্তাহিক মিটিংয়ে তোয়াব ভাইয়ের কাছ থেকে ডায়েরি লেখার অনুমতি নিয়েছেন। সুযোগটা ভালভাবেই কাজে লাগবে আমার। তোমাকে নিয়ে অনেক দিন কিছুই তো লেখা হয়নি। তবে তোমাকে একটা কবিতায় মনে করেছিলাম। তাও আবার একটি কাগজের ঈদ সংখ্যায়। তুমি কেমন আছ জানি না। সমাজের সঙ্গে হয়ত তাল মিলিয়ে চলাটা তোমার জন্য দুঃসাধ্যই হচ্ছে। তোমাকে হয়ত অনেকেই হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তোমার মাথায় শিকল পরানোর সাধ্য কার। তুমি তো চিন্তায়-চেতনায় উন্মুক্ত। কোথায় থাক বন্ধু! রবি ঠাকুরের এই গানটা তোমার জন্য বারবার মনে পড়েÑ ‘না পেয়ে তোমার দেখা একা একা দিন যে আমার কাটে নারে।’ বইগুলো আমাকে দিয়ে তুমি যখন স্কুল থেকে চলে গেলে সেই গল্প কি তোমার মনে পড়ে বন্ধু? সে এক অন্য রকম গল্প। তুমি বলেছিলে, ‘যত ক্লাস বাড়বে তত বইও বাড়বে। আমার পক্ষে এত বই পড়া সম্ভব নয়।’ তোমার এই বাণী আমি সেই থেকেই মাথায় নিয়ে বেড়াচ্ছি। সত্যিই তাই। যত ক্লাস বাড়বে তত বইও বাড়ে। ক্লাসের চেয়েও বেশি বই তো বাইরে। সেই বই পড়ার বিষয়টি অংক দিয়ে মিলবে না বন্ধু। পৃথিবীতে এক মিনিটে যে পরিমাণ ভাল বই বের হয় তা এক জীবনে পড়ে শেষ করা যায় না। অবশ্য তুমি ঠিকই বলেছ, এত বই পড়ে কি হবে। তুমি যে পড়ে এমন বিখ্যাত উক্তি করেছ সেই বই তো আমি পড়তে পারিনি। যারা তোমার মতো জ্ঞানী তাদের হৃদয় আজ শিয়াল-শকুনের খাদ্য। জীবননান্দ দাশের বিখ্যাত এই কবিতাটা আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। অন্যের কাছে কতটা করছে তা জানি না। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবী আজ এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। যাদের গভীর আস্থা আছে আজও মানুষের প্রতি এখনও যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয় মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শিয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।’ রাজআলী তোমার গল্প যখন এখনকার বন্ধুদের বলি তারা মনে করে তুমি একজন কাল্পনিক মানুষ। আসলে কি তাই? আমাদের বাড়ির উত্তরের দিগন্তব্যাপী বিরাট ফসলের মাঠে তুমি-আমি মনের সুখে যখন ঘুড়ি উড়াতাম এ দৃশ্য কি তারা দেখেছে। না কেউ দেখেনি। চৈত্রের বিকেলে পড়ন্ত রোদে তোমার-আমার ঘুড়ি বাতাসে হেলে-দুলে আকাশে উড়ত। আকাশের শেষ সীমায় ছুঁতে আমাদের হাতের লাটাইয়ে কেমন টান পড়ত। হয়ত আমাদের ঘুড়ি আকাশের শেষ সীমানা খুঁজে পায়নি। আর পাওয়ার কথাও না। সেই দোল এখন জীবনের সব ক্ষেত্রেই লাগছে বন্ধু। ঘুড়ির মতো টালমাটাল জীবন বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তোমারও তো তাই। তুমি কি করছ এখন জানি না। যাই কর না কেন আমাদের হাতে আর ঘুড়ির লাটাই নেই। এখন লাটাই যারা অন্ধ তাদের হাতে। তারাই আজ চোখে বেশি দেখে। তারা যেভাবে লাটাই ঘুরাচ্ছে সেভাবেই তুমি আমি আমরা ঘুরছি। দালাল মুৎসুদ্দির পুঁজির দাস হয়ে তুমিও জীবন পার করে যাচ্ছ বন্ধু। তোমাকে আমি বিখ্যাতদের বই পড়ার কথা বলছি না। তারা যা বলেছে তাদের চেয়ে তুমি কম কিসে। তুমি তো মুক্ত জীবননান্দ। সুকান্তের ঝলসানো রুটি। আজকের সমাজে পুঁজিবাদীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে আমাদের শ্রম ঘামে। শ্রেণী-বৈষম্যের শিকার হয়ে রুখে দাঁড়ানোর সময় খুব বেশি দূরে নেই রাজআলী। পৃথিবী পুনর্বণ্টনের সংগ্রামের প্রশ্নটিই এখন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা দালাল মুৎসুদ্দি পুঁজির কাছে প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছি কি? না কোনভাবেই সাম্রাজ্যবাদের কাছে হেরে যাচ্ছি না। কয়েক দশক সাম্রাজ্যবাদের থাবা সর্বত্র পড়লেও সমাজে এর বিপরীত স্রোতও বইছে। তাই হাল ভেঙ্গে দিশেহারা হওয়ার মতো কোন কারণ নেই রাজআলী। জানি তুমি সেই স্রোতে শক্ত হাতেই হাল ধরে আছো। আমি মন থেকে সময়ের কাছে আত্মবিসর্জন দেইনি। তবে নদীর স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছি। এ জন্য ক্ষমা করো বন্ধু। তোমার জীবন দর্শন আমাকে এখনও জাগিয়ে তোলে। আবার তোমার সঙ্গে ঘুড়ি উড়াতে মন চায়। ঘুড়িরা আকাশে উড়বে আমাদের স্বপ্ন ডানা মেলে। এবার ঘুড়ির লাটাই থাকবে আমাদের হাতেই। ফিরোজ মান্না **থাই বিমানবন্দরে মেসাজ ২৩ মে, মঙ্গলবার। সকালে একটু দেরিতে ঘুম ভাঙল। মেক্সিকো সফরকে কেন্দ্র করে ভিসার জন্য পাঁচদিন ভারতে কাটাতে হয়েছে। এবার লম্বা জার্নি করতে হবে। তাই ভাল করে ঘুমিয়ে নিলাম। দুপুর একটা পঞ্চাশে আমাদের ফ্লাইট। থাই এয়ারে করে ব্যাঙ্কক হয়ে জাপানের নারিতা বিমানবন্দর যেতে হবে। সেখান থেকে এ্যারো ম্যাক্সিকান এয়ারে করে মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো সিটি থেকে একই বিমানে (অভ্যন্তরীণ) কানকুন। দুইদিনের সফর। এয়ারের সিডিউল অনুযায়ী আমাকে সকাল ১১টায় বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেরিতে ভিসা হওয়ায় টিমের প্রায় সকলে চলে গেছেন আগের দিন। আমার জন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম-সচিব অর্ধেন্দু শেখর রায় রয়ে গেছেন। আমার ভিসা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ফোন পাই দিল্লী বসে। তিনি জানতে চান ভিসা হয়েছে কি-না। ভিসা হয়েছে জেনে তিনি খুশি এবং নিজের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন। সকাল ১১টার আগে আমি বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলেও অর্ধেন্দু দা কিছুটা বিলম্বে আসলেন। লাইনে দাঁড়িয়ে দু’জন বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করলাম। যদিও অনেক কানেকটিং ফ্লাইটে আমরা কানকুন যাচ্ছি; কিন্তু বোর্ডিং পাস নেয়ার সময় আমাদের লাগেজ কানকুন পর্যন্ত বুকিং দিয়েছে। তারা বলেছে, মেক্সিকো সিটিতে গিয়ে লাগেজটি সংগ্রহ করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের বেলটে দিয়ে দেবেন। বোর্ডিং পাস নিয়ে অর্ধেন্দু দা আমাকে ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে গেলেন। সেখানে বসে আমাদের ইমিগ্রেশন সেরে ফেললাম। ইমিগ্রেশন সেরে এসেই দেখি দাদাদের ব্যাচের অপর এক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব সীমা সাহা ভিআইপি লাউঞ্জে। তিনি যাবেন জাপান। একই ফ্লাইটে যাচ্ছি আমরা। সীমাদিও আমার পরিচিত। ৮৫ ব্যাচের অধিকাংশ কর্মকর্তার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। ভালই লাগল। আলাপচারিতায় সময় কেটে গেল। লাউঞ্জে এক কাপ চা খেয়ে উঠে পড়লাম থাই এয়ারে। উঠে দেখি বিশাল আকৃতির এরোপ্লেনটিতে অধিকাংশই থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের যাত্রী। আমারা আসনে গিয়ে বসলাম। বসে আমার স্ত্রী টুলুর সঙ্গে কথা সেরে নিলাম। জানালাম একটু পরেই আমরা ফ্লাই করতে যাচ্ছি। পৌঁছতে দু’দিন লাগবে। গিয়ে ফোন করব। বাবুকে দেখ। সাবধানে থেক। অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের বহনকারী বিমানটি রানওয়ের দিকে ধাবিত হলো। ঠিক ১টা ৫০ মিনিটে আমরা ফ্লাই করলাম। থাই এয়ারে আগে কোনদিন ভ্রমণ করিনি। যাহোক, কিছুক্ষণ পর খাবার দিতে আসল। চিকেন বলাতে আর কোন অবশনে না গিয়ে সম্মতি জানালাম। যথাসময় অর্থাৎ স্থানীয় সময় সোয়া ৩টায় আমরা ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করলাম। আগে কোনদিন আসিনি। তাই বিমানে বসেই ব্যাঙ্ককের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। আমাদের আগে বিমান থেকে নামলেন সীমাদি। তিনি বিজনেস ক্লাসের যাত্রী। সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব এবং সচিবরা কোথাও সরকারী ভ্রমণে গেলে তারা বিজনেস ক্লাসের টিকেট প্রাপ্য হন। সীমাদি আগে নেমে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরা এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একযোগে চলে আসলাম। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার যাত্রাবিরতি থাকলেও ভিসা না থাকায় আমরা বাইরে যেতে পারি না। তাই কানেকটিং ফ্লাইটের জন্য আমাদের নির্ধারিত পথে গিয়ে আবার সিকিউরিটি চেকিংয়ের পাল্লায় পড়তে হলো। সিকিউরিটি চেকিংয়ে অর্ধেন্দু দার পাওয়ার ব্যাংক আটকিয়ে দিল থাই ইমিগ্রেশন। অথচ সীমাদিদের টিমে জাপান যাচ্ছে এমন এক ব্যক্তির পাওয়ার ব্যাংক নিতে দিল। বিমানবন্দরে কেউ কেউ ম্যাসাজ (স্পা) করিয়েও নেয়ার সুযোগ ছাড়েননি। যাহোক, আমরা সাড়ে আট ঘণ্টা ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে কাটিয়ে ১১টা ৫৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের নির্ধারিত অপর ফ্লাইটে করে জাপানের উদ্দেশে রওনা দিলাম। -তপন বিশ্বাস **সাংবাদিকবান্ধব রাষ্ট্রপতি ১ জুন বেলা ২টা। বাজেট অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদের সাংবাদিক লাউঞ্জে যে যার কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ সাংবাদিক লাউঞ্জে প্রবেশ করছেন। তোমরা কেমন আছ, কোন সমস্যা আছে কি? এ কথা বলেই তিনি আমাদের সামনে এসে বসেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকবান্ধব রাষ্ট্রপতি স্বভাবসুলভভাবে কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় খোশগল্পে মেতে ওঠেন। প্রথমেই বন্যাদুর্গত হাওড়াঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখে সাংবাদিকদের বেশি বেশি লিখতে বলেন। সম্ভব হলে সরেজমিনে হাওড় এলাকা ঘুরে নিজ নিজ মিডিয়ায় প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে দুর্গত মানুষের জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে ভাটির শার্দুল হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ধান পাকার আগেই এবার বন্যা হওয়ায় কৃষকরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আগে দেখেছি হাওড় বন্যাকবলিত হলেও কৃষকরা ঠিকই কিছু না কিছু ধান ঘরে তুলতে পারত। রাষ্ট্রপতি বলেন, ৭৪ বছরের জীবনে এবারের মতো এমন আগাম বন্যা দেখিনি। এ সময় এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন এবার কি কারণে হাওড়ের পানির মাছ মারা গেল? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া ধানক্ষেতে পচন ধরে পানি দূষণ হওয়ায় মাছ মারা যায়। রাষ্ট্রপতির এমন জবাবে প্রশ্নকারী সাংবাদিক খুশি হতে পেরেছেন কি না জানি না। কারণ, তিনি যে পত্রিকায় কাজ করেন সেখানেই লেখা হয়েছিল পানিতে থাকা ইউরেনিয়ামের কারণে নাকি হাওড়ের মাছ মারা গেছে। তবে প্রাণিবিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে রাষ্ট্রপতি হাওড়ে মাছ মারা যাওয়ার বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়ায় আমি খুশি হই। দুপুর দেড়টায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ ভবনের ছয় তলায় অধিবেশন কক্ষে রাষ্ট্রপতির বক্সে বসে অর্থমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সেখানে আধাঘণ্টা অবস্থানের পর আবারও তিনি চলে আসেন সাংবাদিক লাউঞ্জে। কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চল থেকে ৭ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছাড়াও বিরোধী দলের উপনেতা, ডেপুটি স্পীকার ও স্পীকারের দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাত হলেও রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এতে ছেদ পড়ে। তাই এবারই প্রথম নয়, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর বাজেট পেশের দিন এবং শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিন জাতীয় সংসদের সাংবাদিক লাউঞ্জে যান তিনি। প্রতিবারই সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে ওঠেন। এছাড়া কুশল বিনিময়ের সময় তিনি অনেকেরই নাম ধরে ডাকেন এবং যারা অনুপস্থিত থাকেন তাদের খোঁজখবর নেন। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনী লেখার প্রসঙ্গও চলে আসে। এ সময় তিনি বলেন, আত্মজীবনী লিখব, তবে সময়ই তো পাওয়া যায় না। বঙ্গ ভবনের বাঁধাধরা নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম। কাজের বাইরে সময়মতো খাওয়া, সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া ও সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে হয়। মন খুলে কারও সঙ্গে কথাও বলতে পারি না। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই ভাল ছিলাম। জাতীয় সংসদ ভবনে কাজের ফাঁকে সবার সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যেত। তাই সংসদে এলে চলে আসি সাংবাদিক লাউজ্ঞে। এখানে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন খুলে কথা বলা যায়। শরীফুল ইসলাম
×