ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পাঙ্গনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনীর সমাপ্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৩ আগস্ট ২০১৭

শিল্পাঙ্গনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনীর সমাপ্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তার হাতের ছোঁয়ায় কুড়িয়ে পাওয়া কাঠের টুকরোগুলো পরিণত হয় শিল্পে। মৃত বৃক্ষের ডালপালা বা শেকড়-বাকড় যেন প্রাণের পরশে মেলে ধরে বহুমাত্রিক অবয়ব। এভাবেই তিনি প্রকৃতির মাঝে খুঁজে নেন জীবনকে। অবহেলায় পড়ে থাকা বস্তুর মাঝে শিল্পের সন্ধান খোঁজা এ বরণ্যে শিল্পী ফৌরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। প্রকৃতিনির্ভর তেমন কিছু ভাস্কর্য নিয়ে ৪ আগস্ট থেকে রাজধানীর শিল্পাঙ্গন গ্যালারিতে শুরু হয় এ ভাস্করের ভাস্কর্য প্রদর্শনী। ‘মেঘের সঙ্গী’ শীর্ষক এ প্রদর্শনী শেষ হলো মঙ্গলবার। সমাপনী দিনে বিক্রিত শিল্পকর্মগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ শিল্পী বন্যাদুর্গত শহীদ পরিবারের সহায়তায় দান করার ঘোষণা দেন। নিজের শিল্প-ভাবনা প্রসঙ্গে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, আমি বাণিজ্যের কথা ভাবি না। প্রদর্শনীর কথা ভাবি না। শিল্পের দাম নিয়েও ভাবি না। কখনও ভাবিনি। শুধু শিল্পের কথাই থাকে মনে। আর প্রকৃতির মাঝে দেখা পাই শিল্পের। আমার সব কাজ প্রকৃতি থেকে নেয়া। এ প্রদর্শনীতে সব মিলিয়ে ঠাঁই পায় শিল্পীর ৮৯টি শিল্পকর্ম। এর মধ্যে রয়েছে ভালবাসা, সোনালী কন্যা, জলে ভাসা, ভিজে পাখি, ক্ষুধার্ত বক, বীরাঙ্গনা বিলাপ, মিলন তিথি, পরম্পরা, মাতৃত্ব, প্রতিপক্ষ, অপেক্ষা, শৈশব শীর্ষক শিল্পকর্মগুলো বিশেষভাবে নজর কেড়েছে শিল্পানুরাগীদের। দ্ইু শিল্পীর ক্যানভাসে প্রকৃতি ও প্রাণের ছোঁয়া ক্যানভাসে লেগেছে প্রকৃতি ও প্রাণের ছোঁয়া। রয়েছে বাস্তব ও অবাস্তবের দ্বন্দ্বমুখরতা। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কর্মরত এ দুই শিল্পীর শিল্পকর্মে ঘটেছে মেধা ও মননের সংযোগ। দুজনেরই বিমূর্ত চিত্রকর্মগুলোর রয়েছে ভিন্নতর ব্যঞ্জনা। জাতীয় জাদুঘরে চলছে শিল্পী ইলিয়াস খান ও শিল্পী শক্তি পদ হালদারের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ১৯ আগস্ট থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা মোঃ ইলিয়াস খানের ২২টি চিত্রকর্ম এবং শক্তিপদ হালদারের ৩৭টি চিত্রকর্ম। মোঃ ইলিয়াস খান জাদুঘরের সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের উপ-কীপার এবং শক্তিপদ হালদার সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতা বিভাগের সহকারী কীপার হিসেবে কর্মরত আছেন। ৫ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী শেষ হবে আজ বুধবার। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য প্রদর্শনী খোলা থাকবে। সেলিম আল দীন জন্মোৎসবের সমাপ্তি দেশবরেণ্য নাট্যকার সেলিম আল দীনের ৬৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে ছিল নানা আয়োজন। সে অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে ছয় দিনব্যাপী সেলিম আল দীন উৎসবের শেষদিন ছিল মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক নীলাখ্যান। ‘তোমার সম্মুখে অনন্ত মুক্তির অনিমেষ ছায়াপথ’ প্রতিপাদ্যে যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে ঢাকা থিয়েটার, গ্রাম থিয়েটার, সেলিম আল দীন ফাউন্ডেশন, ভোর হলো এবং শিল্পকলা একাডেমি।
×