ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পশুর হাট ও চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য হতে দেয়া হবে না॥ ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২২ আগস্ট ২০১৭

পশুর হাট ও চামড়া নিয়ে নৈরাজ্য হতে দেয়া হবে না॥ ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, কোরবানির পশুর হাট ও চামড়া নিয়ে কোন নৈরাজ্য হতে দেয়া হবে না। সোমবার বেলা এগারোটায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, এবারের কোরবানির পশুর হাটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে পশুরহাট কেন্দ্রিক, মানি এস্কট, জালনোট শনাক্তকরণ এবং চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পাচার রোধ সংক্রান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ডিএমপি কমিশনার জানান, ঢাকা শহরে অনুমোদিত ২৩ পশুর হাটে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি। পশুবাহী ট্রাক যেখানে যেতে চায় সেখানে যেতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় বাধা দেয়া যাবে না। এটা সরকারী নির্দেশ। প্রত্যেকটি ট্রাক তার গন্তব্য স্থানের নাম বড় করে ব্যানার বানিয়ে ট্রাকের সামনে ঝুলিয়ে দেবে। এক হাটের পশু কোনভাবেই অন্য হাটে জোর করে নামানো যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অপরাধে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি জানান, ঈদে পশুর হাট চলবে তিনদিন। ঈদের ৩ দিন আগে কোরবানির হাট ও তার ২ দিন আগে থাকবে প্রস্তুতি। ডিএমপি কমিশনার জানান, নির্ধারিত হাসিলের অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পুলিশের মানি এস্কট ছাড়া কোন নগদ টাকা বহন করা যাবে না। বাইরের ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হকার হাট এলাকায় ঢুকতে পারবে না। ইজারাদাররা নির্দিষ্ট দোকান ঠিক করে দেবেন। পাইকারদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করবেন না। ডিএমপি কমিশনার গরু ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেক গরু ব্যবসায়ী নিজস্ব ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলবেন। নগদ টাকা পুলিশের সহায়তায় নিজ এ্যাকাউন্টে জমা করবেন। এতে আপনাদের টাকা নিরাপদে থাকবে। সভার আলোচনায় উঠে আসে প্রতিটি পশুর হাটে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে। ইজারার চৌহদ্দির বাইরে কোন অননুমোদিত হাট বসতে দেয়া হবে না। নির্ধারিত সময়ের আগে হাটে পশু আনতে হবে। প্রত্যেক হাটে থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। পশুর হাটে ও তার আশপাশে জনসচেতনতামূলক ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে টাঙ্গানো ও প্রচার করতে হবে। জালটাকা শনাক্তকরণের জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুমে থাকবে জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন। প্রতিহাটে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা।
×