ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২২ আগস্ট ২০১৭

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনিক জনকণ্ঠের সপ্তাহের বিশেষ ফিচার ‘বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি’-তে শিল্পকলা একাডেমির অব্যবস্থাপনার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছে এর কর্তৃপক্ষ। গত ১৮ আগস্ট প্রকাশিত লেখার বিপরীতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। তার স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, গত বছর শিল্পকলার সকল শাখার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় ফটকগুলো খোলা ও বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল গেট খুলে দেয়া হয়। নাট্যকর্মীদের প্রপস কস্টিউম বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি পরিবহনের জন্য খুলে দেয়া হয় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলের গেট। একাডেমির ভবনগুলোতে দর্শক শিল্পী ও কলাকুশলীদের সুবিধার্তে দিকনির্দেশনামূলক এ্যাক্রেলিক বোর্ড রয়েছে। বিভিন্ন ভবন নন্দন মঞ্চ এবং প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। একাডেমিতে স্থাপিত বিভিন্ন ইলেকট্রিকের নামফলকসমূহে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গেলে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করা হয়। বিভিন্ন ভবনের লিফটগুলো সর্বদা অফিস ও অনুষ্ঠানের সময় অনুযায়ী খোলা এবং বন্ধ রাখা হয়। একাডেমিতে আগত কোন শিল্পী কলাকুশলী ও দর্শক টয়লেট নোংরা বা দুর্গন্ধের বিষয়ে কোন অভিযোগ একাডেমি কর্তৃপক্ষকে অবগত করেননি। কফি হাউস এবং প্রাঙ্গণে মাদক সেবনের খবরটিও অস্বীকার করা হয় প্রতিবাদলিপিতে। প্রতিবেদকের বক্তব্য শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কিছুমাত্র তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে জনকণ্ঠ ফিচারে। সেখানে কর্তৃপক্ষের অবহেলা অব্যবস্থাপনা এবং রুচির দুর্ভিক্ষের কথা সুনির্দিষ্ট করেই বলা হয়েছে। একাডেমির অধিকাংশ প্রবেশপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবেÑ এমন কোন সিদ্ধান্ত কারও সঙ্গে বৈঠকে হয়েছে বলে জানা যায়নি। শিল্পকলা একাডেমির ভবনগুলোতে দিকনির্দেশনামূলক এ্যাক্রেলিক বোর্ড রয়েছে দাবি করা হলেও, আসলে তা একসময় ছিল। এখন নেই। বিশেষ করে জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো খুঁজে বের করার পক্ষে সহায়ক কোন নির্দেশনা কোথাও দেখা যায় না। এমনকি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’ ঠিক কোথায় তা খুঁজে বের করা মুশকিল হয়ে যায়। কারণ ইলেকট্রনিক নামফলকে এখন ‘বাংলাদেশ’ শব্দটিই দৃশ্যমান হচ্ছে শুধু। ‘ইলেকট্রিকের নামফলকসমূহে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গেলে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করা হয়’ বটে। গত প্রায় ৭ মাস ধরে দেখা যাচ্ছে এ ‘দ্রুততা’! এক্সপেরিমেন্টাল ও স্টুডিও থিয়েটারসংলগ্ন ওয়াশরুমগুলো থেকে এখনও ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। পুরনো টিকেট কাউন্টারের বিপরীতে সিঁড়ির গোড়ায় প্রকাশ্যে জল বিয়োগ অব্যাহত আছে। লিফটগুলোও চলছে অফিসের বড় কর্তাদের সুবিধা অনুযায়ী সময়ে। শনি, রবি ও সোমবার পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সমস্যাগুলোও একইরকম আছে। সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ অবস্থায় শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তাদের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরে শুধু।
×