ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ ॥ ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২২ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ ॥ ইউজিসি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা- ছিল ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্র সফল হয় ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা বিচারের পথও বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর রয়েছে। তাদের রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সোচ্চার থাকতে হবে। কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় গ্যালারিতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ আসকারি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইবি উপাচার্য বলেন, পৃথিবীতে রাজনীতিক হত্যাকা-ের অনেক উদাহরণ আছে। সেই সব হত্যাকা-ে শুধু একজন ব্যক্তি টার্গেট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার টার্গেট করেনি। সপরিবারে হত্যা করেছে। মাসুম বাচ্চা শেখ রাসেলও রেহাই পায়নি। এই হত্যাকা-ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। মেজর রশিদ, কর্নেল ফারুক সরাসরি গুলি করেছিল। হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকা-ের নেপথ্যে থেকে যারা বিচারের পথ পর্যন্ত সেদিন বন্ধ করেছিল তাদের বিচার হয়নি। ঘটনার নেপথ্যে কুশীলবদের বের করে আনতে হবে। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শোকাবহ আগস্ট পালন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শেখ মিজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুনিবুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেলালুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাজ্জাদুল আলম রনি, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত কুমার বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ারা আজমেরি এরিন প্রমুখ।
×