শ্রাবণ চলে গেছে, সেই সঙ্গে বুঝি রাজধানীর বৃষ্টির দিনও ফুরল। অথচ ভাদ্র মাসেও বর্ষা শেষ না হওয়ারই কথা। রবীন্দ্রনাথের গান স্মরণ করি: ঝরে ঝরঝর ভাদরবাদর বিরহকাতর শর্বরী...। ঢাকার ভাদ্র অসম্ভব অভদ্র গরমে কাতর। রোদ্দুর সব ঝলসে দিচ্ছে। শুকনো খটখট পথঘাট। অথচ দেশের উত্তর প্রান্তে, বিশেষ করে দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যা হচ্ছে। বানভাসি মানুষের কষ্টের সীমা নেই। দেশের যেখানেই বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটুক না কেন, ঢাকায় তার প্রভাব পড়বেই। ঢাকা যে রাজধানী। বানভাসি মানুষের কষ্ট লাঘবে ঢাকার মানুষ পরিকল্পনা আঁটছে। ইতোমধ্যে ব্যক্তি ও সাংগঠনিক পর্যায়ে শুরু হয়ে গেছে অর্থসাহায্য সংগ্রহ। ভালো নেই চরাঞ্চলের মানুষ। প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম, চরগুলোও সব ডুবে গেছে। মানুষ ঘর ছেড়ে সবাই রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। জীবনযাপন কতটা কষ্টকর হতে পারে তা আমরা ঢাকায় থেকে বুঝতে পারব না। চারদিকে এত পানি কিন্তু খাওয়ার যোগ্য পানি নেই! সব ডুবে গেছে! ফসলি জমি, ধান ক্ষেত, গবাদী পশুও! দিনাজপুর-কুড়িগ্রামের লাখ লাখ মানুষ আজ পানিবন্দী। ঢাকার মানুষ ছুটছে তাদের কষ্ট ভাগ করে নিতে, যাচ্ছে তাদের মুখে কিছুটা খাবার তুলে দিতে; আর সেইসঙ্গে বন্ধু-স্বজনদেরও আহ্বান জানাচ্ছে এই মানবিক উদ্যোগে যুক্ত হতে।
নিচের থেকে চতুর্থ!
দশ জনের ভেতর নিচের থেকে চতুর্থ হলে তবু কোন ছাত্রকে ততটা মন্দ বলা চলে না। কিন্তু ১৪০ জনের ভেতর ১৩৭তম অবস্থানে থাকলে? আমাদের সাধের রাজধানী শহর ঢাকার এখন এমনই করুণ দশা। বিশ্বের ১৪০টি শহরের মধ্যে বাসযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বৈশ্বিক বসবাসযোগ্য প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শহরগুলোর স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ ৩০টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে বাসযোগ্যতার এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে গত সপ্তাহে। জরিপে সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তালিকায় বাসযোগ্য শহরের শীর্ষ ১০-এ রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা (দ্বিতীয়), কানাডার ভ্যাংকুভার (তৃতীয়), টরন্টো (চতুর্থ) ও ক্যালগেরি (পঞ্চম), ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ও পার্থ, অষ্টম নিউজিল্যান্ডের রাজধানী অকল্যান্ড, নবম ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি এবং দশম স্থানে রয়েছে জার্মানির হামবুর্গ। তালিকার ১৪০তম শহর হলো সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এখানে খুব বেশি দেশের নাম আসেনি। এই তালিকা প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যে তালিকাটির একটি দেশে (ফিনল্যান্ড) সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্মরণ
পনেরই আগস্ট জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী। চারটি দশক অতিক্রান্ত হলেও সেই শোক ও ক্ষোভ যেন প্রশমিত হচ্ছে না। হবার নয়ও। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয়Ñ এখন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হচ্ছে আরও নিবিড় ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে। এখানে আবেগের বাড়াবাড়ি নেই। তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের মহানায়ককে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে শিল্পসম্মতভাবে। তাঁকে নিয়ে রচিত কবিতা ও গানে রাজধানীর সংস্কৃতি-অঙ্গন মুখরিত। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক আয়োজন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাঁর প্রতিটি উচ্চারণ মহাকাব্যিক। কোন সাধারণ আলোচনায় বঙ্গবন্ধুকে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে গেলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন- ‘ঐ মহামানব আসে/দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে/মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।...’ কবিগুরুর এ মহামানব যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন বরেণ্য কবি আমাদের মনে করিয়ে দেনÑ হাজার বছরের পরাধীন বাঙালী জাতিকে তিনি দিয়েছেন স্বাধীনতা, দিয়েছেন মুক্তির স্বাদ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সৃষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীত করেছেন কবিগুরুর গানকে; কাজী নজরুল ইসলাম থেকে নিয়েছেন ‘জয় বাংলা’।
তবে সত্যপ্রকাশের দায়বোধ থেকে বলতেই হবে যে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তি এমন কিছু উৎকট পোস্টার ব্যানার তৈরির মাধ্যমে আত্মপ্রচারের যে পরাকাষ্ঠা তুলে ধরেছেন তা নিন্দনীয়। কে কত বেশি বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক তা প্রমাণ করার জন্য কেউ কেউ মরিয়া প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন। এবারের জাতীয় শোক দিবসের আগে-পরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির চারপাশে তাঁর নামে এত বিচিত্র সব ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে যে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়তে হয়। এসব দেখারও কি কেউ নেই?
আরও একটি কথা বলা দরকার। জাতীয় শোক দিবসে ছিল সরকারী ছুটি। ছুটির দিনে রাস্তা বন্ধ করে নানা আয়োজন নিয়ে মানুষ হয়ত তেমন কিছু বলবেন না। বরং ব্যক্তিগত বিড়ম্বনাকে উপেক্ষাই করে যাবেন। কিন্তু পনেরোই আগস্টের পরে রাস্তা বন্ধ করে তার ওপরেই গবাদিপশু জবাই করে রান্নার আয়োজন করা শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, অপরাধের পর্যায়েই পড়ে। উত্তরা থেকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে আসতে হলে মাসকাট প্লাজা বা হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে প্রধান সড়কে পৌঁছতে হয় যে বড় রাস্তা দিয়ে, সেটিতে রিক্সার প্রবেশ রুখে দেয়া হয়েছে দু’শ’ গজ পুবদিকে। বাইপাস সড়কটি নয় নম্বর সেক্টরের অত্যন্ত ব্যস্ত একটি রাস্তা। খানাখন্দ আর গতি-নিরোধকে ভরপুর এই রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে পশ্চিম ও উত্তরমুখী রিক্সা ও অন্যান্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। এই রাস্তার ওপরেই গবাদীপশুর গড়িয়ে পড়া রক্ত, আর কয়েকটি জ্বলন্ত চুলোয় বড় বড় ডেকচি চাপিয়ে খাবার রান্না চলে। মানুষের কি কা-জ্ঞান লোপ পাচ্ছে! (ছবি দেখুন)
পনেরোই আগস্ট স্মরণে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি বড় মানবিক পদ্ধতি হতে পারে রক্তদান কর্মসূচী। ভোজনসুখের পরিবর্তে সামান্য আত্মত্যাগের উদাহরণ তৈরি করতে পারলে আজকের প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে।
আরেকটি কথা, এবারই প্রথম পনেরই আগস্টে ঢাকায় জঙ্গি হামলার ছক কাটা হলো। স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন করে আর কত রক্ত ঝরাবে?
মধ্যরাতে মহাখালী পরিপূর্ণ
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহাখালীর জ্যামে আটকা পড়লাম। বন্ধুর গাড়ি তেজগাঁয়ের দিক থেকে ইউটার্ন নিয়ে জ্বালানি ভরে তারপর উত্তরমুখো হবে। ছুটির দিনে এত রাতে এগুতে পারছি না যানবাহনের চাপে! আসলে মহাখালী বাস টার্মিনাল উপচে রাস্তায় ঠাঁই নিয়েছে বাস, সেজন্যেই এই ঝক্কি। টার্মিনাল থেকে প্রতি দুই মিনিট অন্তর বের হয় একটি বাস। তাতে তেজগাঁও সড়কে সব সময় লেগে থাকে যানজট। টার্মিনালের ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মূল রাস্তার ওপরেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে অনেক বাস। এতে সড়কের দুই পাশেই বেশ খানিকটা জায়গা বাসগুলোর দখলে চলে যাওয়ায় তৈরি হচ্ছে যানজট। তার ওপর টার্মিনাল এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিকল। অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ভেতরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার ঝক্কি তো আছেই। ১৯৮৫ সালে চালু হওয়া এই টার্মিনালে সর্বোচ্চ আড়াই শ’ বাস রাখার জায়গা ছিল। এখন সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছয় শর বেশি গাড়ি চলাচল করছে। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার পথে গাড়িগুলোকে ইউটার্ন নিতে হয়, যা এই এলাকায় যানজট তৈরি হওয়ার আরেকটি কারণ। দেখলাম টার্মিনাল থেকে কয়েক দফায় এক সারিতে একাধিক করে গাড়ি বের হচ্ছে। তাতে মূল সড়কের দুই পাশে চলাচলকারী অন্য যানবাহনগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
গান কবিতা নতুন প্রকাশনা
ঢাকায় এখন আর আগের মতো কবি-লেখকদের আড্ডার নির্দিষ্ট স্থান নেই। কখনও কোনও বইপাড়ায় কখনোবা কোন লেখকের বাসায় আড্ডা বসে। আশির দশকের শেষ থেকে মাঝ নব্বুই পর্যন্ত বছরগুলোয় তিন কবিÑ শামসুর রাহমান, সিকদার আমিনুল হক আর রুবী রহমানের বাসায় বেশ কটি আড্ডার স্মৃতি আমার জীবনের মূল্যবান সঞ্চয়। সেসব আড্ডায় কেউ কবিতা পড়তেন বলে স্মরণে নেই। নিখাদ বসতো গালগল্পের আসর, আর পানাহার। হাসি-ঠাট্টা হতো, তার মাঝখানে সাহিত্যের সিরিয়াস প্রসঙ্গও উঠে আসত। এখনকার আড্ডাগুলোয় যোগ হয়েছে স্বরচিত কবিতাপাঠ এবং সঙ্গীত পরিবেশনা। কবি রুবী রহমানের বাসায় গত নবেম্বরে একটি সাহিত্য-আড্ডা হয়েছিল। সেই সুখস্মৃতি ভুলব না। কালি ও কলম পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণ কবি সাকিরা পারভীন যখন রুবী আপার পক্ষ থেকে আড্ডায় আমন্ত্রণ জানালেন গত সপ্তাহে, তখন সানন্দে সাড়া দিই। আগের আড্ডায় পনেরো জন কবি মিলিত হয়েছিলেন। এবার দু-তিনজন কম। প্রত্যেকেই নিজেদের লেখা পড়ে শোনান। তিন কবি গেয়েছিলেন গানও। আর সবশেষে নৈশভোজ। সব মিলিয়ে দারুণ প্রাণসঞ্চারি এক আয়োজন।
আশা করি কেউ দ্বিমত করবেন না, ঘরোয়া কবিতা পাঠের আয়োজনে মগ্ন হয়ে কবিতা শোনা যায়, মন্তব্য-প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ থাকে। আসলেই কবিতা হাটের জিনিস নয়। এ ধরনের সম্মিলনীতে তরুণ-প্রবীণ লেখকদের মধ্যে একটা সাঁকো গড়ে ওঠে। ব্যক্তিগত পরিচয় এবং দেখাসাক্ষাত একে অপরকে কাছে আনে। পরস্পরের সদ্য সৃজনকর্ম সম্বন্ধেও ধারণা লাভ ঘটে। এবার বারোজনের মতো সাহিত্যিক-সংগীতশিল্পী উপস্থিত হন। কর্মদিবসের সন্ধ্যায় এই আড্ডার আয়োজন হয় বলে স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার বিখ্যাত (!) ট্রাফিক জ্যাম এড়িয়ে শহরের নানা প্রান্ত থেকে অভ্যাগতদের আসতে আসতে সময় অনেকটা গড়িয়ে যায়। যাহোক, দেরিতে শুরু হলেও আগের আয়োজনের আনন্দটাই ফিরে ফিরে এলো। যথারীতি গান ও কবিতা পাঠ চলল। আর সেইসঙ্গে নানামুখী আলাপচারিতার সমান্তরালে প্রয়াত কয়েকজন কবির কবিতা নিয়ে কথাবার্তা ও স্মৃতিচারণ। অধ্যাপক আহমেদ রেজা কবি শামসুর রাহমানের বেশ কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন, সেখান থেকে শোনালেন। গুলজারের কবিতা অনুবাদ করছেন কবি সাবেরা তাবাসসুম। তিনি হিন্দি ও বাংলা দুটোই শোনালেন। আড্ডায় উপস্থি ছিলেন মিনার মনসুর, কাজল শাহনেওয়াজ, মুম রহমান, শাহনাজ নাসরীন প্রমুখ। সবশেষে একটা চমক ছিল। স্মার্ট ফোনসেটের মাপে সদ্য প্রকাশিত পকেট-বই ‘ছড়ানো ছিটানো মন’-এর প্রকাশনা উৎসব। সাকিরার এ অভিনব কাব্যটি বেশ নজরকাড়া। কয়েকটি কবিতাও শোনা গেল। প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবিতা নিয়ে মূল্যবান সব কথা বললেন। এরই ফাঁকে রাতের আহারপর্ব সমাধা হয়েছে। বেরুনোর সময় ঘড়িতে দেখি সাড়ে এগারোটা!
গুলশানের জমজমাট রেস্টুরেন্ট
গত বছরের মাঝামাঝি গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর ওই অভিজাত এলাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। তবে সেটি ছিল সাময়িক। এখন আবারো জমজমাট হয়ে উঠেছে গুলশানের সব নামী-দামী রেস্তোরা। গত সপ্তাহে দিনে ও রাতে তিনটি রেস্টুরেন্টÑ আমারি, টপকাপি ও গ্লোরিয়া জিন্সে গিয়ে দেখলাম তিনটিতেই ঢাকাবাসী ছাড়াও বিদেশি নাগরিকরা এসে খাবার খাচ্ছেন। প্রতিটিতেই বেশ ভিড়। টেবিল পাওয়াই মুশকিল। তবে একটি কথা বলতেই হবে। সিকিউরিটি আগের চেয়ে একটু বেশি কড়াকড়ি হয়েছে কোথাও কোথাও। এর একটি আবাসিক হোটেল, যার ছাদে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। সেখান থেকে ঢাকা বেশ নয়নাভিরামই মনে হয়। বিদেশি সারমেয় ছুটে যেতে দেখলাম গাড়ি থামানোর সাথে সাথে। তাছাড়া দেহতল্লাশিও হলো। তবু মানুষ যাচ্ছেন এসব বাড়াবাড়ি প্রায় উপেক্ষা করেই।
২০ আগস্ট ২০১৭
[email protected]