ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

থানার ‘ক্যাশিয়ারকে’ পুলিশ সাজিয়ে অর্থবাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৭:০০, ২১ আগস্ট ২০১৭

 থানার ‘ক্যাশিয়ারকে’ পুলিশ সাজিয়ে অর্থবাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছায় থানার ‘ক্যাশিয়ারকে’ পুলিশ সদস্য সাজিয়ে অভিযানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে পাসপোর্টযাত্রীদের তল্লাশির নামে ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন ওই ‘ক্যাশিয়ার’ দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশের জ্যাকেট পরিয়ে অভিযানে নিয়ে ব্যাপক অর্থবাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একে ট্রাভেলসের একটি পরিবহনে তল্লাশির সময় যাত্রীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাদের অভিযান ও অর্থবাণিজ্যের চিত্র। প্রায় এক ঘণ্টা বাসটি দাঁড় করিয়ে চার বস্তা ভারতীয় মালামাল জব্দ করলেও অর্থের বিনিময়ে তা ছেড়ে দেয়া হয়।ভুয়া পুলিশের অভিযানের ছবি ও ভিডিও সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিকরগাছায় থানার ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- অভিযোগের ব্যাপারে আমি এসআই মোয়াজ্জেমকে জিজ্ঞাসা করেছি। সে আমাকে বলেছে, অভিযানে দেলোয়ার ছিল, কিন্তু পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল না। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, অভিযানে দেলোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ঠিক করেনি এসআই মোয়াজ্জেম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের যাত্রীরা জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা ঢাকাগামী এক দম্পতির চারটি লাগেজ জব্দ করে পুলিশ। পরে ভুয়া পুলিশ দেলোয়ার তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও কয়েকটি দামী শাড়ি রেখে লাগেজ ছেড়ে দেয়। এছাড়াও অন্য আরেক পাসপোর্টধারী যাত্রীর ব্যাগে অতিরিক্ত মালামাল আছে দাবি করে এসআই মোয়াজ্জেম চারটি থ্রিপিস কেড়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে যাত্রীরা জানতে পারেন এসআই মোয়াজ্জেমের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত দেলোয়ার পুলিশ সদস্য নন, তিনি পুলিশের পোশাক পরে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। জানতে চাইলে ‘পাবলিক ক্যাশিয়ার’ ও ভুয়া পুলিশ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি কোন অভিযানে যাইনি। অভিযোগ সঠিক না। সাংবাদিকদের কাছে আপনার তল্লাশির ছবি ও ভিডিও আছে বললে তিনি ফোন কেটে দেন। ঝিকরগাছায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদক আসছে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে থানার গেটে একে ট্রাভেলসে অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু না পেয়ে গাড়ি ছেড়ে দিই। সঙ্গে পুলিশ ফোর্স ছিল। দেলোয়ার নামে কেউ তার সঙ্গে ছিল না বলে দাবি করেন এসআই মোয়াজ্জেম।
×