ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাড়ার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২১ আগস্ট ২০১৭

২০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাড়ার প্রস্তুতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে নতুন টাকার বিনিময় শুরু হবে। নতুন টাকার এ বিনিময় কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৪টি শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে। এবার একজনে বিভিন্ন মূল্যমানের সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ হাজার টাকার নোট বদলিয়ে নিতে পারবেন। তবে চাহিদা কম থাকায় এবার ২ টাকার নোট বিনিময়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে না। তবে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েনের সরবরাহ থাকবে পর্যাপ্ত। এদিকে, কোরবানির পশুসহ অন্যান্য কেনাকাটায় বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে এবার নতুন-পুরনো মিলে ২০ হাজার কোটি টাকার নোট সরবরাহের ব্যবস্থা রাখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে একদম নতুন নোট রয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। জানা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ী ও দালাল রুখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাতিঝিল অফিসে নতুন টাকা বিনিময়ে ডিজিটাল ডিসপ্লের ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে আঙুৃলের (বায়োমেট্রিক) ছাপ নেওয়ার পর কূপনের সিরিয়ালে টাকা সরবরাহ করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, আগামী ২৭ আগস্ট থেকে ঈদের ছুটির পূর্ব কার্য দিবস পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসে কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৪টি শাখা থেকেও বিশেষ ব্যবস্থায় নোট বিনিময় করা হবে। তিনি আরো জানান, একই ব্যক্তি যাতে একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য এবারও মতিঝিল অফিসে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নোট বিনিময় করা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি সকল বিভাগীয় শাখা অফিসেও নতুন টাকা বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মতিঝিল অফিসে দুটি কাউন্টার এবং বিভাগীয় শাখা অফিসে একটি কাউন্টার খোলা হবে। পাশাপাশি রাজধানিতে ১৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় নতুন নোট বিনিময়ের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর নির্দিস্ট কিছু ব্যাংকের শাখাও পাওয়া যাবে নতুন নোট। এবার একজনে বিভিন্ন মূল্যমানের সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ হাজার টাকার সমপরিমাণ নতুন টাকা বদলে নিতে পারবেন। এর মধ্যে ১০০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০ হাজার টাকা, ৫০ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫ হাজার টাকা, ২০ টাকার ১ প্যাকেট বা ২ হাজার টাকা, ১০ টাকার ১ প্যাকেট বা ১০০ হাজার টাকা ও ৫ টাকার ১ প্যাকেট বা ৫০০ টাকা নেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। এবার রাজধানিতে যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে সেগুলো হলো-ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ি শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, জনতা ব্যাংকের আবদুল গণি রোড শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা ও রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা।
×