ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে গৃহের সাজ

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২১ আগস্ট ২০১৭

ঈদে গৃহের সাজ

বাড়িতে ঢোকার পথে মাটি বা টেরাকোটার সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। আয়না রাখতে চাইলে মাটি, বেত বা কাঠের ফ্রেমের আয়না বেছে নিতে পারেন। পাটের শিকা ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তাতে আপনার ঘরে থাকবে খাঁটি বাঙালীয়ানার চিহ্ন। শখের হাঁড়িও সাজিয়ে রাখুন শিকায়। চাইলে এসব রঙিন হাঁড়ির মধ্যে প্লাস্টিকের পাত্রে মানিপ্ল্যান্ট জাতীয় গাছও রাখতে পারেন। পরিচর্যার প্রয়োজনে প্লাস্টিকের পাত্রটি সরিয়ে নিতে পারবেন, আবার পরে রেখেও দেয়া যাবে। চাইলে বসার ঘরে রাখতে পারেন বেত, বাঁশ বা কাঠের সোফা। অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তিদের স্বাভাবিক উচ্চতার সোফায় বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়। তাদের জন্য বাঁশ বা বেতের তৈরি চেয়ারের ব্যবস্থা রাখুন। ঘরের এক পাশে বাঁশ বা বেতের নিচু ডিভান কিংবা শতরঞ্জি রাখতে পারেন শিশু আর তরুণদের গল্প-আড্ডার জন্য। সোফা আর ডিভানের কুশন কভারেও রাখুন দেশীয় নক্সার ছোঁয়া। পাটের তেরি টেবিল ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া রাখতে পারেন পাটের তৈরি টিস্যু বক্স। চাইলে টেবিলের ওপর খোপে বসিয়ে দিতে পারেন দুই তিনটি ক্যাকটাস অথবা বনসাই। এছাড়া সাজানোর জন্য নানা ধরনের দেশীয় উপকরণে তৈরি শোপিস কিনতে পাওয়া যায়। পাট, বেত, কাঠ ও মাটির হরেক রকম শোপিস বিভিন্ন মেলায় পাওয়া যায়। আড়ং, যাত্রা বা আইডিয়া ক্রাফটসেও মিলবে এমন জিনিস। আজকাল বাজারে নানা ধরনের খাবার টেবিল পাওয়া যায়। বাজার থেকে নিজের মনের মতো টেবিলটি কিনে নিতে পারেন। এছাড়া নিজের পছন্দের নক্সায় বানিয়েও নিতে পারেন ডাইনিং টেবিলটি। তবে এক্ষেত্রে দামটা হয়ত একটু বেশিই পড়বে। খাবার টেবিলটা কাঠের হতে পারে, আবার ওপরে কাঁচও থাকতে পারে। খাবার টেবিলের ওপর পাটের তৈরি নান্দনিক ঝুড়িতে দরকারি জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা যায়। ঝুড়ির ঠিক মাঝ বরাবর সাধারণ কাঁচের বোতলে বালু ভরে ঝুড়িজাতীয় ফুল রেখে দিতে পারেন। বেত বা বাঁশের সুন্দর খাট রাখতে পারেন শোয়ার ঘরে। দেয়ালে বাঁধানো নকশীকাঁথা সাজিয়ে রাখতে পারেন। মাটির পাত্রে পানিতে গোলাপের পাপড়ি বা ছোট মোমবাতি ভাসিয়ে রাখতে পারেন। ল্যাম্পশেডেও দেশীয় উপকরণ থাকতে পারে। এছাড়া আরও অসংখ্য গৃহস্থালি উপকরণ আছে যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই সাজাতে পারেন আপনার অন্দরটাকে।তবে এসব ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেসব উপকরণ দিয়ে আপনি ঘর সাজাচ্ছেন সেগুলো যেন আপনার গৃহের সাভাবিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে না দেয়। এমন কোন উপাদান ব্যবহার করা যাবে না যা আপনার পরিবেশের সঙ্গে মানানসই না । সেক্ষেত্রে শুধুই অর্থের অপচয় হবে।
×