ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তৌকীর-বিজরীর ঈদ নাটক ‘এখন তুমি কেমন আছো’

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২১ আগস্ট ২০১৭

তৌকীর-বিজরীর ঈদ নাটক ‘এখন তুমি কেমন আছো’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল আযহার বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারের জন্য সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে এক ঘণ্টার নাটক ‘এখন তুমি কেমন আছো’। কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা হাসান রেজাউল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, উত্তরার ২টি শূটিং হাউস, দক্ষিণখানসহ বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির দৃশ্য ধারণ হয়। এর আগে এই লেখকের একটি ছোট গল্প নির্মাণ হলেও উপন্যাস থেকে এই প্রথম নাটক নির্মাণ হয়েছে। নাটকে তমোনাশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ, বহ্নি চরিত্রে বিজরী বরকত উল্লাহ, দীপ চরিত্রে এফএস নাঈম ও বহ্নির মেয়ে দীপা চরিত্রে অভিনয় করেন জাকিয়া বারী মম। এছাড়া আর অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, মোহাম্মদ বারী, নীলা ইস্রাফিলসহ অনেকে। আসছে ঈদে স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে বলে জানা গেছে। নাটকের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে প্রেম আর দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। প্রেম-ভালবাসার সঙ্গে সমাজ বাস্তবতা, অসহায়ত্ব, অবিশ্বাস, ত্যাগ সবকিছু মিলিয়ে মানব-মানবীর প্রেমেজ সম্পর্কের এক নিবিড় স্বাদ আস্বাদন করে। এদিকে মেয়ে দীপা প্রেমের আবেগ, ভালবাসা আর দীপের নিজস্বতা নিয়ে ছোট ছোট দ্বন্দ্ব জীবনের স্মৃতিকে বারবার ফিরিয়ে আনে। যা শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান। যুগের সঙ্গে যুগের নিবিড় পরম্পরার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্প। প্রেম, ভালবাসা, দ্বন্দ্ব নিয়ে দুটো সময়কে উপস্থাপন করা হয় এই নাটকে। এ বিষয়ে নির্মাতা হাসান রেজাউল বলেন- হরিশংকর জলদাস উপন্যাস চমৎকার। আমি বরাবরই তার লেখার ভক্ত। এই নাটকে দুটি সময়কে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ থেকে ৯০ দশকের প্রেম ও আধুনিক সময়ের প্রেম। নাটকের গল্পে দেখা যাবে বিশ বছর পরে সাবেক প্রেমিকা বহ্নির কাছে ফোন করেছে তমোনাশ। কার ফোন প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পেরে বহ্নি চিন্তিত। তমোনাশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বহ্নির গভীর প্রেম ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নানা কারণে সম্পর্কের পরিণতি পায় না। তমোনাশকে ভুল বোঝে বহ্নি। তারপর বহ্নি বিয়ের পিঁড়িতে বসে অনেকটা অভিমান করে। চলতে থাকে তার দাম্পত্য জীবন। সন্তানের জননী হয় সে। সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। এতদিন পরে তমোনাশের ফোন পেয়ে অস্থির হয়ে পরে বহ্নি। বহ্নির মেয়ে দীপা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় এখন। দীপা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রেমের মায়ায় বন্দী হয় ভাব। দীপা তার প্রেমকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে ফিরে আপন করে নেয়। সম্পর্ক এগোতে থাকে। আবেগ ভালবাসার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে বহ্নির মেয়ে ও তার প্রেমিক দীপের সম্পর্ক। হঠাৎ একটা ফোন ঝড় তোলে বহ্নির মনে। কে ফোন করেছেন? এ প্রশ্ন ভাবায় বহ্নি কে। একদিন, দুই দিন, তিন দিনের মাথায় যখন তমোনাশ তার পরিচয় দিয়ে নিজে অবরুদ্ধ কণ্ঠকে মুক্ত করে বলে- আমি তমোনাশ। বহ্নির ভেতরটা তখন কেঁপে উঠে। বিশ বছর পর সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার বাসনা প্রবল হয়ে ওঠে। তমোনাশ বারবার অনুরোধ করে বহ্নিকে দেখা করার জন্য।
×