ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার পানি কিছু এলাকায় কমলেও নদী ভাঙ্গন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ আগস্ট ২০১৭

বন্যার পানি কিছু এলাকায় কমলেও নদী ভাঙ্গন বেড়েছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কিছু কিছু অঞ্চলে বন্যার পানি কমলেও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও কয়েকটি এলাকা। এতে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেসে যাচ্ছে বসতবাড়ি। ভাঙ্গনের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে বানবাসি মানুষ। নানা বাধা পেরিয়ে তাদের হাতে ত্রাণ পৌঁছলেও পশুর খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। জানা গেছে, রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বন্যা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর চরাঞ্চলে। রাজশাহীর বাঘা ও পবা উপজেলার অন্তত ১৫টি চর এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরে পানিবন্দী এসব পরিবারের লোকজন ত্রাণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। চরবাসীরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মার ১৫টি চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। জেলার বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিযুল আযম জানান, পদ্মার এ চরের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। চরের অধিকাংশ ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলের সিংহভাগ জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহের কারণে এখন বিপদের মধ্যে রয়েছেন চরের বাসিন্দারা। বাঘার লক্ষ্মীনগর ছাড়াও চরাঞ্চলের সব নিচু এলাকায় এখন পানি জমেছে। একইসঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। সরেজমিন বাঘার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর, কিশোরপুর, আলাইপুর ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর এবং নবগঠিত চকরাজাপুর ইউনিয়নের চর কালিদাসখালি, দিয়ার কাদিরপুর, চৌমাদিয়া, লক্ষ্মীনগর, আতার পাড়া, টিকটিকি পাড়া ও চকরাজাপুর। ভাঙ্গনের ফলে ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র চলে গেছে। পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে প্রাায় ৩শ’ একর ফসলী জমি এবং গাছপালা। হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বসতিপূর্ণ এলাকাসহ চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। নাটোর ॥ কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ৫ দিনে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ফসল তলিয়ে গেছে। তিনটি উপজেলার কিছু জায়গায় রাস্তার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে পানির তীব্র স্রোত। লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন জায়গা প্লাবিত হচ্ছে। নলডাঙ্গা উপজেলার বাররনই নদীর পানি ও হালতি বিলের পানি প্রতিদিন রাতদিনে গড়ে দশমিক ৬-৭ সেন্টিমিটার হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং নলডাঙ্গায় গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে আট শতাধিক পুকুরের মাছ। বন্যা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনসহ জেলা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যায় যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সিংড়ায় আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সিংড়া পৌর শহরসহ ৬টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রায় ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম ॥ ‘কিছু নাই। সব ভেসে গেছে। সন্তান দুটো আর আমি বেঁচে আছি। স্রোতের টানে আমরাও ভেসে যেতাম। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেল সবকিছু। ঘরের একমুঠ দানাও বের করতে পারি নাই। শনিবার বিকেলে ঘুন্টিঘরের মোড়ে চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রিজুফা বেগম। তার চোখে এখনও ভাসছে ঘর ভাসার স্মৃতি। অনেক কষ্টে গড়া বাড়িটির তিনটি ঘরসহ আসবাবপত্র সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানি। পরবর্তীতে কিছুই খুঁজে পায়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পেছেয়েন তার স্বামী ও দুই সন্তান। তার বাস্তুভিটায় সৃষ্টি গভীর কুড়ার তীরে বসে শুধু চোখের জল ফেলছেন। ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরতেরছড়া ঘুন্টিঘর এলাকার বাসিন্দা রিজুফা বেগম (৪৫)। স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী। তেমন কোন কাজই পারে না। মসজিদের খাদেম। রিজুফা অন্যের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ ও রাস্তায় মাটি কেটে অনেক কষ্টে করেছেন তিনটি ঘর। দিনভর খাটুনি শেষে এক মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে রাতটা কাটাতেন সে ঘরে। কিন্তু সেই প্রশান্তির জায়গাটুকুও নেই। বন্যায় তার তিনটি ঘর ভেসে গেছে। ভেসে গেছে ঘরের জিনিসিপত্র। রাত গভীরে পানির হানায় কোনমতে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে ঘরে থেকে বের হয়। মুহূর্তে পানিতে ভেসে যায় তার ঘরবাড়ি। এখন সন্তানদের ঘুমপাড়ানো তো দূরের কথা খাওয়ানোর কিছু নেই। সারাদিন সন্তানদের নিয়ে বসে তাকিয়ে থাকে যেদিকে তার ঘরগুলো চলে গেছে। সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। খাবারও নাই; এখন থাকার জায়গা নেই। খুব কষ্টে ঘর তিনটি করেছিল সে। গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধায় প্রধান প্রধান নদীগুলোর পানি কমে গেলেও বন্যা সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তি রয়েছে। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই উপজেলা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে এক গৃহবধূর মৃত্যু এবং নিখোঁজ হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নয়াবাজার বালুয়া এলাকায় বাঙ্গালী নদীর পানির তোড়ে নুরুল্যা বিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১শ’ মিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। নওগাঁ ॥ নওগাঁ অঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার আত্রাই নদীর পানি কমে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শহরের ছোট যমুনা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। রবিবার দুপুরে এই নদীর পানি বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে নওগাঁ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। নওগাঁয় ইকরতারা নামকস্থানে ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সদর উপজেলার তিলকপুর, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন, নওগাঁ পৌসভার পার-নওগাঁ, সুলতানপুর, রজাকপুর, পিরোজপুর, খিদিরপুর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ও সান্তাহার এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জেলার ধামইরহাটে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশু মারা গেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের অন্তর্গত লক্ষণপাড়া গ্রামের আনজু আরা তার নাতি রোহিত বাবুকে (৮) সঙ্গে নিয়ে বন্যাকবলিত বলাবান রাস্তার ওপর দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। হটাত পানির ¯্রােতে রোহিত বাবু পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরবর্তী সময়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার লাশ পানিতে ভেসে ওঠে। রোহিত বাবু উপজেলার ধুরইল গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র। বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষসূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নওগাঁ জেলার মোট ১০টি উপজেলায় ৬৬টি ইউনিয়নের ৫১৬টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। উপদ্রুত এলাকার ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৫ জন মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন। এখন পর্যন্ত জেলার ৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলায় মোট ৬৮ হাজার ৫৩৬ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। জেলায় প্রায় ৮১ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে এবং ২৬ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় মোট ১২ জন লোক নিখোঁজ রয়েছে। পঞ্চগড় ॥ কয়েকদিনের অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বন্যায় পঞ্চগড়-দিনাজপুর ব্রডগেজ ও মিটার গেজ (ডুয়েল গেজ) রেলপথের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার প্রবল স্্েরাতে জেলা সদরের নয়নিবুরুজ থেকে আটোয়ারী উপজেলার কিসমত স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রেলপথ ভেঙ্গে গেছে। এতে, এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সঙ্গে পঞ্চগড়ের রেল যোগাযোগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামতের কাজ চলছে। দু’একদিনের মধ্যে আবার রেল যোগাযোগ চালু হবে। মুন্সীগঞ্জ ॥ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা চরাঞ্চলের নিচু এলাকা। বানেরবানি প্রবেশ করায় উপজেলার তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট সাময়িক স্থগিত করা হেেছ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া, রানীগাঁও, কোরহাটি, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের কোরহাটি, ঝাউটিয়া, তেউটিয়া, পাইকারা, সাইনহাটি, ব্রাক্ষণগাঁও, কনকসার ইউনিয়নের সিংহেরহাটি, বেজগাঁও ইউনিয়নের বেজগাঁও চর, ছত্রিশ, সুন্দিসার, গাঁওদিয়া ইউনিয়নের গাঁওদিয়া, শামুরবাড়ি, হাড়িদিয়া, রানাদিয়া, পাখিদিয়া, কলমা-ধাইদা ইউনিয়নের ডহরী, পূর্বভরাকর, পশ্চিম ভরাকর, কলমা বিধুয়াইল চর। দিঘুলী গ্রামের শেখ বাবুল, হযরত মিজা, ইয়াসিন বেপারি, জসিম, আসু বেগমদের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘরের মধ্যে মাচা ফেলে কোন রকমে বাঁচার চেষ্টা করছে তারা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গবাদিপশুর। গো-খাদ্যের অভাবে পশুগুলো মরতে বসেছে। রাখার কোন ব্যবস্থা নেই এইব পশুর। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ফজলে আজিম রবিবার সকালে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। শেরপুর ॥ শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী ও মৃগী নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় জেলার ৩ উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ৮০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার পানিবন্দী লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ডুবে গেছে সদ্য রোপণ করা আমন ও সবজির আবাদ। বন্যার কারণে চরাঞ্চলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢোকায় সদর উপজেলার ৩২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি মাদ্রাসা এবং একটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লালমনিরহাট ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেছেন, লালমনিরহাট জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে, ত্রাণের কোন সমস্যা নেই। তিনি রবিবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলার উন্নয়ন ও সম্বনয় কমিটির সভায় এসব কথা বলেন। চাঁদপুর ॥ চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চলে উজানের পানির তীব্র স্রোতে ২৮০ বসতঘর পদ্মা-মেঘনা নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
×