অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি আমদানি চালের ওপর বিদ্যমান থাকা আমদানিকৃত চালের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে শুল্ক কমানো হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বৃহস্পতিবার তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
শুল্ক কমানোর এই সিদ্ধান্তের পরপরই যশোরের বেনাপোল ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা চাল খালাস করতে শুরু করেছে আমদানিকারকরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে শুল্ক কমানোর আদেশ হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস কার্যালয় পৌঁছায়। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল দেশে প্রবেশ করেছে।
এদিকে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের আদেশ পৌঁছেছে বেনাপোলেও। শুক্রবার ওই বন্দর দিয়ে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বেনাপোল স্থলবন্দর শুল্ক অফিসের কমিশনার শওকত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুল্ক কমানোর আদেশ পেয়েছি। শুক্রবার থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, গত সপ্তাহখানেক ধরে ভারতের পেট্রোপোলে প্রায় ৪৫০টি চালের ট্রাক বাংলাদেশ ঢোকার অপেক্ষায় ছিল। তবে শুল্ক জটিলতা অবসান হওয়ার পর ট্রাকগুলো খালাস হতে শুরু করেছে। তিনি জানান, শুক্রবার সারা দিনে বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, পূর্বের ১০ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে আটকে থাকা চাল ছাড় করা হলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। এখন ২ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে চাল ছাড় করা হচ্ছে। শুল্ক কমানোর ফলে কেজিতে চালের দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক সুপারিনটেনডেন্ট ফখরুউদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর আদেশ পেয়েছি। চাল ছাড়করণের জন্য ব্যবসায়ীরা এ পর্যন্ত ২০টি বিল অব এন্ট্রি কাস্টমস কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। আগে ১০ শতাংশ ছিল চালের শুল্ক। এখন ২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে চালের আমদানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: