ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঋণাত্মক হিসেবে কেনাবেচার সুযোগ আরও এক বছর ৩ মাস বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২০ আগস্ট ২০১৭

ঋণাত্মক হিসেবে কেনাবেচার সুযোগ আরও এক বছর ৩ মাস বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগ হিসেবে শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। মার্জিন রুলসের সংশ্লিষ্ট ধারা শিথিল করে আবারও আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই হিসাবে লেনদেন করা যাবে। অর্থাৎ আরও এক বছর তিন মাস এই সুযোগ বাড়ানো হলো। বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সুবিধা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এটি বলা হয়েছে। ১৮ আগস্ট এই হিসাবে লেনদেন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবারে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাজার পরিস্থিতি ও বিনিয়োগকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মার্জিন ঋণের ১৯৯৯ সালের ধারাটির কার্যকারিতা আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ সাল পর্যন্ত রহিত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগ হিসেবে শেয়ার কেনাবেচার প্রান্তিক প্রতিবেদন ৩ মাস পর পর জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে তারা কিভাবে এটি কমিয়ে আনতে পারে, তার কর্মপরিকল্পনা দিতে হবে। প্রান্তিক শেষ হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে হবে। এ নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, আমরা শর্ত দিয়ে সময় বাড়িয়েছি। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি ৩ মাস পর পর ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগ হিসাবে শেয়ার কেনাবেচার প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেবে। একইসঙ্গে কিভাবে তারা এটা কমিয়ে আনতে পারে, তার কর্মপরিকল্পনা দেবে। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর থেকে এটা কার্যকর হবে। তবে তার আগে প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী প্রান্তিকের কর্মপরিকল্পনা জমা দেবে। এই প্রতিবেদন ও কর্মপরিকল্পনা প্রান্তিক শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহে কমিশনে জমা দেবে প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা কাজ করবে। এর আগে গত রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকারার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিরা এ আবেদন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
×