ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই ॥ মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ আগস্ট ২০১৭

হাইকোর্টের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই ॥ মতিয়া চৌধুরী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই, তেমনি কোন মেজরের হুইসেলেও বাঙালী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে নাই। বাঙালী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে। তাই বিএনপি যদি মনে করে আদালতের রায় নিয়ে ষড়যন্ত্র করে সফল হবে, তবে ভুল করছে। ২১ আগস্ট সফল হন নাই, ১৫ আগস্টের সফল হন নাই। সফল আপনারা হবেন না, সফল হবে জনগণ। সফল হবে শ্রমজীবী মানুষ, জনগণের দল আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারি শ্রমজীবী মানুষ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা শ্রমিক লীগের জমায়েত ও শোক র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুটমিলে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে আদমজী জুটমিলে রোজার সময়ে ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এরা শুধু রাজনৈতিক নেতা ও জাতির পিতাকে হত্যা করে নাই, এরা জাতির জনকের শক্তি শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক এবং শ্রমিকদেরও বিভিন্ন সময়ে হত্যা করেছে। আজ কোর্ট কথায় কথায় নানা আদেশ জারি করে। সেদিন ১৭ জন শ্রমিক মারা গেল, তখন কোথায় ছিলেন বিচারপতি সাহেবরা? কোথায় ছিল এই কোর্ট? যেদিন সারের দাবিতে কৃষকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হলো- তখন কোথায় ছিল আমাদের আদালত? এই প্রশ্ন শ্রমজীবী মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি রাখছি।’ ‘ফাদারর্স অফ দ্য ন্যাশনস’ অর্থাৎ এই বাঙালী জাতির অনেক বাপ ছিল- ষোড়শ সংশোধনীর এই পর্যবেক্ষণটি তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কারো মা দ্রৌপদী হতে পারে, তার অনেক স্বামী থাকতে পারে। কিন্তু বাঙালী জাতির পিতা একজনই, যার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কার মা দ্রৌপদী, সে বুঝুক গিয়া।’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২১ আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এবারের ১৫ আগস্ট পান্থপথে জামায়াতে ইসলামীর রোকনের ছেলের আত্মঘাতী হামলা যদি জনগণের উপর হতো, আমাদের নেত্রী তো বটেই একশ’ নয় হাজার লোক মারা যেত। এরা আর যাই হোক ইসলামের অনুসারি হতে পারে না। এরা ইসলামের নামে কলঙ্ক। মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন জাহান সাথীর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শ্রম বিষয়ক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কার্যকরী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
×