ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার ভাঙ্গনে নিঃস্ব চার গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২০ আগস্ট ২০১৭

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার ভাঙ্গনে নিঃস্ব চার গ্রামের মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ১৯ আগস্ট ॥ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকা রাজরাজেশ্বর, লক্ষ্মীপুর, ইব্রাহীমপুর, হানারচর, নীলকমল ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে নদীতে বিলীন হয়েছে অর্ধশতাধিক বসতভিটা। এর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার ১৪ নম্বর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে লগ্গিমারার চর আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি। ইতোমধ্যে ভাঙন আতঙ্কে অনেকই তাদের বাসস্থান ও মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বসতভিটা হারানো মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শনিবার বেশ ক’টি ভিটাগুলো নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের বাসিন্দা আল-আমিন জানান, পদ্মা-মেঘনার প্রবল স্রোতে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে গোয়ল নগর, চোকদার কান্দি, ৬নং ওয়ার্ডের লগ্গিমারা চরের বেপারী কান্দি ও বালিয়ার চরের দেওয়ান কান্দি গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। আর গ্রামের বাকি বাসিন্দারা তাদের টিনের তৈরি ঘরগুলো নিজেরাই সরিয়ে নিচ্ছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভাঙ্গন বাড়তে থাকে। রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরেই উজানের নেমে আসা পানির স্রোতে এই দুটি নদী উত্তাল হয়ে উঠে। গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকই তাদের ঘর সরিয়ে নিয়েছে। যদিও ইতোমধ্যেই ইউনিয়নের ৪ গ্রামের অর্ধশতাধিক ভসতবিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি নেমে আসায় পদ্ম-মেঘনায় পানির ¯্রােত বেড়ে গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এখানকার মানুষদের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন তাদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদের সকলকেই সহায়তা প্রদান করা হবে।
×