ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টুঙ্গিপাড়ায় একদিন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৯ আগস্ট ২০১৭

টুঙ্গিপাড়ায় একদিন

বহু দিনের ইচ্ছা ছিল বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করার। বিদেশে চাকরির কারণে সুযোগ করতে পারিনি। হঠাৎ সেদিন সেই সুযোগ এসে গেল। যাওয়ার আগের দিন সন্ধ্যায় এক বিশিষ্ট বন্ধু যাওয়ার কথা বলায় সঙ্গে সঙ্গে সম্মতি না দিয়ে আমার কাজের পরিধি বিবেচনা করে রাতেই টেলিফোনে সম্মতি জানিয়ে দিলাম। পরের দিন সকাল ৭টায় জিয়ারতের উদ্দেশে রওনা দেই। আমি মনে করি দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের সেখানে যাওয়া উচিত এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা করা উচিত। কারণ তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনীতি, কারাভোগ ও সঠিক নেতৃত্বের কারণে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীতে বসবাস করছি। যাহোক ২ গাড়িতে আমরা ২৪ জন। আমার গাড়িতে সবাই একই দলের অনুসারী বলে মনে হয়েছে। সাথীদের মধ্যে আলোচনা জমে উঠেছে, সচরাচর যেমন হয় চায়ের দোকানে বা অন্য আড্ডায়। তাদের আলোচনায় আত্মসমালোচনাই ছিল বেশি। যেমন নিজের তেমনি দলীয় কর্মী থেকে এমপি-মন্ত্রী পর্যন্ত। আলোচনায় বুঝতে পারলাম যে, তারা অনেক এমপির প্রতি সন্তুষ্ট নন তাদের বর্তমান কার্যকলাপের কারণে। টিভি টকশোগুলোতে বক্তাদের কথায় প্রায়ই ফুটে ওঠে সরকারী দলের ভেতরে আত্মসমালোচনা নেই বলে। কিন্তু সাথীদের আলোচনায় দেখলাম তার বিপরীত। তারা যেমন নিজের সমালোচনা করেছেন, তেমনি দলীয় কর্মী থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত। সেভাবে আমাদের নেতা-নেত্রীরা যদি আত্মসমালোচনা করতেন, তাহলে দেশের উন্নয়নের গতি আরও বাড়ত আর দুর্নীতির পরিমাণও কম হতো। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সততা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে চান, সেভাবে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মী পর্যন্ত সকলেই যার যার অবস্থান থেকে তাঁকে সহযোগিতা করা উচিত। আজ দেশে কেউ না খেয়ে মরে না। মাথাপিছু আয় ও জিডিপি উর্ধগতি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারকে সহযোগিতা করা সকল নাগরিকের একান্ত কর্তব্য বলে মনে করি। যা হোক সবাই মিলে মাজার জিয়ারত শেষে ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখলাম। মাজার কম্পাউন্ডের বর্তমান অবস্থা খুবই সুন্দর ও পরিপাটি। তবে দর্শণার্থীদের জন্য মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন অজুখানা সর্বক্ষণিক খোলা রাখলে নামাজ পড়তে আরও সুবিধা হতো, যদিও বর্তমানে তেমন অসুবিধা হয় না। পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। মোঃ শহীদ উল্লাহ চাঁদপুর
×