প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় আজও দিন গুনছেন ডিমলা উপজেলার ২৮ নম্বর বড়খানকি খারিজা বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা ময়মনা বেওয়া। নিজেই জানালেন তার বয়স এখন ১২২ বছর চলছে। তিনি বলেন, আগে ছিলাম ছিটমহলের ভারতীয় নাগরিক। এখন ছিটের সেই আমি নই। আমি এখন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক।
বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা ময়মনা জানান, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে তার দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়েছে। ৬৮ বছরের বন্দী জীবন অবসানের দুই বছরে বাংলাদেশ সরকারের অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন ও পেয়ে যাচ্ছেন। তাই শেষ বয়সে এ বৃদ্ধা যেন নতুন করে মনোবল ফিরে পেয়েছেন। জীবনের শেষ প্রান্ত দুটি লাঠির ওপর ভর করে চলাচল করেন তিনি। গত বছরের মতো এবারও তার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বললেন তার জীবনের শেষ ইচ্ছা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে এক নজর চোখ ভরে মন ভরে দেখতে চান।
বৃদ্ধার ভাষায় ‘শেখের বেটি হাসিনা হামাক ছিটমহলের ৬৮ বছরের বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করিছে। মুই (আমি) প্রধানমন্ত্রীকে দুই চোখ দিয়া প্রাণ ভরি দেখিবার চাও’। ছিটমহল বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি পেয়েছেন বয়স্কভাতার কার্ড। পেয়ে যাচ্ছেন ভিজিএফের চাল। সরকারের পক্ষে বাড়িতে পেয়েছেন নলকূপ, স্যানিটেশন ল্যাট্রিন ও বিনামূল্যে বিদ্যুত সংযোগ।
স্মৃতির পাতা ঘেঁটে বৃদ্ধা বললে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বামী বাবর আলী দেওয়ান মারা যান। ১৪ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়েছিল। ৭ ছেলে ও ৭ মেয়ের জননী তিনি। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে মারা গেছে। বেঁচে আছে ৫ ছেলে ৩ মেয়ে। নাতি-নাতনি ৪৫ জন। পুতি ৬ জন। দুই পুতির বিয়ে হয়েছে। সেই দুই পুতির ঘরে দুই সন্তানও এসেছে।
তাহমিন হক ববী
ছিটমহল থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: