ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশনে ওয়েস্টার্ন পোশাক সাবিহা বিনতে সুফিয়ান

প্রকাশিত: ০৮:২২, ১৮ আগস্ট ২০১৭

ফ্যাশনে ওয়েস্টার্ন পোশাক  সাবিহা বিনতে সুফিয়ান

কিন্তু অনেকেই জানেন না ওয়েস্টার্ন পোশাক পরলেই কেবল ফ্যাশন-সচেতন হওয়া যায় না। কেননা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন লুকটাও খুব জরুরী। আজকাল অনেক তরুণী আছেন, যারা বাঙালীর উৎসব ছাড়া শীত ও গরমে দুই সময়েই ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাদের মতে বছরের এই সময়ে সালোয়ার-কামিজের চেয়ে ওয়েস্টার্ন পোশাকই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের। আর ওয়েস্টার্ন পোশাকে যেমন স্বস্তি পাওয়া যায়, তেমনি ফ্যাশনটাও ঠিক থাকে। ওয়েস্টার্ন পোশাক মানে পুরোপুরো কিন্তু ওয়েস্টার্নও না। পাশ্চাত্য প্যাটার্ন ধার নেয়া এবং ওই নির্দিষ্ট পোশাকে দেশীয় প্যাটার্নের কম্বিনেশন। স্বস্তির জন্য বর্তমানে ওয়েস্টার্ন পোশাকে এসেছে বৈচিত্র্য। ওয়েস্টার্ন লং সেপ ড্রেসও বেশ মানান সই। ওয়েস্টার্ন পোশাকে আপনার ফ্যাশন কেমন হবে তা নির্ভর করে ড্রেসকোডের ওপর। যেমন অফিসিয়াল লুকে শার্ট-প্যান্ট থাকলে তার সঙ্গে মানিয়ে জুতা পরতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রেও একইভাবে অফিসিয়াল লুকে পরতে পারেন এক্সেসরিজ। অনেক ফ্যাশন ডিজাইনাররা মনে করছেন, ফ্যাশনে পুরুষের জন্য সিøম ফিট বা ট্রিম ফিট এখন বেশ চলছে। তবে সফট কালার বেশি আরামদায়ক। আর অনেক মেয়েরা আজকাল সালোয়ার-কামিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আবার ফ্রকও এ সময় ঠিক মানায় না। ফ্যাশন করতে পছন্দ করে এমন টিনরা ফিটিং টিউনিক টপস, শার্ট, স্টাইলিশ কুর্তা বেছে নিচ্ছেন। তবে এই পোশাক টিনেজার সঙ্গে বেশ মানানসই আর পরেও আরাম পায়। অন্যদিকে এসব পোশাকই আবার অনায়াসে মানিয়ে যাবে টিন থেকে ৩০-এর কোটায় আছেন এমন নারীকে। তবে এ ক্ষেত্রে কাট ও নক্সায় কিছুটা পরিবর্তন আসবে। টপসের রং গাঢ় না হলেই মানিয়ে যাবে বয়স ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। পার্টি বা দৈনন্দিন পোশাক হিসেবে অনেকেই পছন্দ করেন ফ্যাশনেবল টপস বা কুর্তা। টপসের দৈর্ঘ্য আগের তুলনায় বেড়েছে। দেশীয় উপাদানের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন কাট যুক্ত হয়েছে। আগে শর্ট টপসের প্রচলন বেশি থাকলেও এখন হাঁটু সমান বা তার থেকে লম্বা টপসের প্রচলন বেশি দেখা যায়। আপনার পছন্দের ওয়েস্টার্ন পোশাক কিনতে যেতে পারেন এক্সটেসি, ক্যাটস আই, আলফোসি, ট্রেন্জ, ইয়ালো, জেন্টাল পার্ক, ইনফিনিটিসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে সাজসজ্জা হতে হবে একদমই বুঝে শুনে। কিন্তু সাজের আগে ওয়েস্টার্ন ড্রেস সম্পর্কে জানা দরকার। ওয়েস্টার্ন ড্রেস দুই ধরনের হয়। ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল। ক্যাজুয়াল ড্রেস আর ফর্মাল ড্রেসের সাজ অবশ্যই ভিন্ন ধরনের হবে। ফর্মাল প্যান্ট-শার্ট পরলে সাজগোজ হবে একদমই সীমিত। হালকা মেকআপের সঙ্গে হালকা অর্নামেন্টস। ক্যাজুয়াল প্যান্টের সঙ্গে ফতুয়া বা টপস পরলে কানে বড় দুল ও হাতে মোটা চুড়ি পরতে পারেন। ক্যাজুয়াল শার্টের সঙ্গে বড় মালা ভাল লাগবে। এছাড়া ছেলের জন্য টি-শার্ট, পোলো শার্ট মানায়। ছেলেদের ফিটিং শার্টের ট্রেন্ডও এখন চলছে। এ ধরনের ড্রেসে ছোট গয়না ভাল লাগবে না। সবচেয়ে মানানসই হলো মাটির গহনা। প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট পরলে কানে ও গলার গহনানির্ভর করে টি-শার্টের গলার ধরনের ওপর। হাই নেক টি-শার্টে গলা আড়ালে থাকে বলে গহনা পরা যায় না। এখন যেহেতু এখনও গরম আছে, তাই টি-শার্ট বা টপসের সঙ্গে মানিয়ে পরতে পারেন টাইস বা লেগিন্স। অথবা অন্য ধরনের জিন্স প্যান্টের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন ভিন্ন ডিজাইনের জুতাও। ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে ফুল কোনভাবেই যায় না। ফর্মাল বা ক্যাজুয়াল ড্রেস যাই হোক না কেন, ড্রেসের ধরনের পাশাপাশি মেকআপ হতে হবে দিন-রাতের ওপর নির্ভর করে। দিনের বেলায় ক্যাজুয়াল ড্রেসের মেকআপ খুব হালকা হওয়া চাই। হালকা সাজের মধ্যে পাউডার-কাজল ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে হালকা গোলাপি বা বাদামি গ্লাস লাগাতে পারেন। ম্যাট লিপস্টিকও লাগাতে পারেন। ফর্মাল পোশাক পরলে মেকআপে একটা মিশ্রভাব থাকতে হবে। প্রথমে ফাউন্ডেশন দিন। তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাট আর শুষ্ক ত্বকে অয়েল বেজড ফাউন্ডেশন দিন। আইশ্যাডো ব্যবহার করতে হলে মোটা করে আইলাইনার দিতে পারেন। তবে এটা রাতের বেলায় করবেন। আর দিনের বেলায় চুল খোলা রাখলে ভাল লাগবে। জুতা না স্যান্ডেল পরবেন তা নির্ভর করবে ড্রেসের ধরনের ওপর। ছবি : নাঈম ইসলাম
×