ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে ৫ হাজার মে. টন চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৮ আগস্ট ২০১৭

বেনাপোলে ৫ হাজার মে. টন চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা

আবুল হোসেন, বেনাপোল ॥ ভারত থেকে আসা বেনাপোলে প্রায় ৫ হাজার টন চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা। শুল্ক ১০ শতাংশ কমতে পারে এমন খবরে এসব চাল খালাস করছে না ব্যবসায়ীরা। চাল বোঝাই দেড় শ’ ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরে বসে আছে। এতে বন্দরে পণ্যজট লাগতে শুরু করেছে। বন্দরের ৩১নং ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডে ঢোকার অপেক্ষায় ১৯টি চাল বোঝাই ভারতীয় ট্রাক রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। চাল বোঝাই অন্য ট্রাকগুলোর অবস্থান ইয়ার্ডের ভেতরে। বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় অংশে পেট্রাপোল বন্দর, বনগাঁও ও চাকদা সড়কে অন্তত দেড় শ’ চাল বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব ট্রাক বেনাপোলে আসার পর পণ্য খালাস না করলে প্রতিদিন বন্দর চার্জ দিতে হবে ভেবে আমদানিকারকরা এগুলো গ্রহণ করছেন না। তবে যেসব চাল বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে বসে আছে তার জন্য আমদানিকারকদের চার্জ গুনতে হচ্ছে। ৬ চাকার ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ টাকা, ১০ চাকার ট্রাকে ২ হাজার টাকা এবং ১২ চাকার ট্রাকে ৩ হাজার টাকা চার্জ দিতে হয়। ভারতীয় ট্রাক চালক ভবন কুমার জানান, গত ৭ দিন চালের ট্রাক নিয়ে এসেছি এখানে, কিন্তু ব্যবসায়ী খালাস নিচ্ছে না। সরকার চালের আমদানি শুল্ক গত ২২ জুন ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করলে দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে চাল আমদানি বেড়ে যায়। কিন্তু বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে যানজট থাকায় এ পথে চাল আমদানি উল্লেখযোগ্য ছিল না। পরে ১ আগস্ট বেনাপোল বন্দরে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কার্যক্রম চালু হলে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বেড়ে যায়। মাত্র ৭ দিনে আমদানি হয় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন চাল। কিন্তু শুল্ক কমার খবরে চাল খালাস না করায় দু-দেশের বন্দরেই আবারও যানজট বাড়তে শুরু করেছে। বেনাপোল বন্দরের চাল ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, ৭ আগস্ট গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি চাল আমদানিতে শুল্ক হার কমানো হচ্ছে। কিন্তু এর কোন কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমসে না আসায় আমরা চাল খালাস বন্ধ রেখেছি। বর্তমান চাল আমদানিতে যে ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ রয়েছে তাতে প্রতিকেজি চালে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা। এখন সরকার যদি এই ১০ ভাগ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে দেশের বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রেজাউল করিম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০০ ট্রাক চাল আমদানি হতো এবং তা খালাস হয়ে যেত। কিন্তু চাল আমদানিতে আরোপিত ১০ ভাগ শুল্ক প্রত্যাহার করবে সরকার এমন খবর প্রকাশের পর থেকেই এ বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা।
×