ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ‘রকেট’

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৮ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ‘রকেট’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অনুষ্ঠেয় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রকেট’। এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ গত বছর অক্টোবরে হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও টাইটেল স্পন্সর ছিল। গত বছরই এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই বছরের চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে দুই বছরের জন্য সকল হোম সিরিজের স্বত্ব পেয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। সেই অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেরও টাইটেল স্পন্সর ‘রকেট’। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ দিয়ে তাদের এ পথ চলা শুরু হয়। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজেও স্পন্সর ছিল তারাই। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের টাইটেল স্পন্সর স্বত্ব পেয়েছে তারা। সিরিজের নাম করা হয়েছে ‘রকেট বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ২০১৭’। বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট সিরিজে টাইটেল স্পন্সরের ঘোষণা দেয় বিসিবি। সেখানে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ছাড়াও ছিলেন ইমপ্রেস-মাত্রা কনসোর্টিয়ামের পক্ষে সানাউল আরেফিন এবং রকেটের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আজ রাতে বাংলাদেশে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের প্রথমটি ২৭ আগস্ট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ও দ্বিতীয়টি ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে। এই সিরিজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপত্তা। যে নিরাপত্তা ইস্যুর জন্যই ২০১৫ সালে টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসেনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। গত বছর অক্টোবরে ইংল্যান্ড দল খেলে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াও আসতে রাজি হয়েছে। এজন্য খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে মহড়াও চলছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। শুরুতে বোমার বিস্ফোরণ করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে খেলোয়াড়দের জিম্মি করা হয়েছে। জিম্মিকারীদের রুখতে জরুরী তলবে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। জিম্মি হওয়া খেলোয়াড়দের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন তারা। কয়েক মিনিট ধরে চলে গোলাগুলি। এরপর কমান্ডো স্টাইলে ‘জিম্মিকারীদের’ ওপর আক্রমণ করে সেনাবাহিনী। ‘জিম্মিদশা’ থেকে মুক্ত করেন খেলোয়াড়দের। এরপর ড্রেসিংরুম থেকে খেলোয়াড়দের হেলিকপ্টারে করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ অবস্থানে। তাদের নিরাপদে পাঠিয়ে বাকি সদস্যরা স্টেডিয়াম শত্রুমুক্ত করার মিশনে নামেন। এভাবেই মহড়া চলছে মিরপুর স্টেডিয়ামে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনীর আধঘণ্টার এ মহড়া একদিকে যেমন ছিল শ্বাসরুদ্ধকর, আরেক দিকে হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। মহড়ায় একটি হেলিকপ্টারে করে প্রায় ২৫ জন প্যারা কমান্ডো মিরপুর স্টেডিয়ামে নামেন। এরপর তারা তাদের কমান্ডো অভিযান চালান।
×