ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৮ আগস্ট ২০১৭

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কোরিয়ান উপদ্বীপে আর কোন যুদ্ধ হবে না। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচী ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমের ওপর সিউল ইতোমধ্যে তার আপত্তির কথা জানিয়ে ভেটো প্রয়োগ করেছে। খবর এএফপির। প্রেসিডেন্ট হওয়ার ১শ’ দিন পূর্তি উপলক্ষে মুন জায়ে ইন বৃহস্পতিবার সিউলে তার সরকারী বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া হুমকি দিয়ে জানায় তারা মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে রকেট হামলা চালাবে। এরই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বাত্মক হামলা চালানোর প্রতিজ্ঞা করেন এবং তিনি বলে, ওয়াশিংটন গুলি ভরে অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে। উভয়পক্ষের তীব্র বাদানুবাদের পরিণতি এক মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে। যাতে আশঙ্কা করা হয় পিয়ংইয়ং তার সামরিক বাহিনীতে সিউলের সীমান্তে মোতায়েন করবে। এতে করে সীমান্তের লাখ লাখ লোকের জীবন শঙ্কার মুখে পড়ে। তবে মুন বলেন, আমি যেকোন মূল্যে যুদ্ধ প্রতিরোধ করব। এজন্য আমি চাই সব দক্ষিণ কোরীয়ার সবাইকে আস্থা নিয়ে বিশ্বাস করাতে যে এখানে আর কোন যুদ্ধ হবে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়া এক শ’ দিন পর এ সংবাদ সম্মেলনে মুন এসব কথা বলেন। ১৯৫৩ সালে কোরিয়ন যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধের কারণেই উপদ্বীপটি ভাগ হয়ে গেছে। কৌশলগতভাবে এখন সেখানে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। যদিও কোন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। উত্তর কোরিয়ার হামলা থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য দেশটিতে ওয়াশিংটন ২৮ হাজার পাঁচ শ’ সেনা মোতায়েন করা আছে। তবে মুন জানিয়েছেন, সিউল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমের ওপর ভেটো দেবে। ওয়াশিংটন ও ট্রাম্প একমত যে, উত্তর কোরিয়া নিয়ে তার যে পথই অনুসরণ করুক না কেন তা অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা ও একমত হয়েই নেয়া হবে। ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিলেও তা নিয়ে নিজের কোন সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান মুন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চেষ্টা করছেন উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ দিয়ে সমাধানে পৌঁছানোর। কোরিয়ান যুদ্ধের পর থেকে সব দক্ষিণ কোরিয়ান একসঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে দেশ গঠনে সহায়তা করেছেন। ক্ষমতায় আসার পর মুন আশা প্রকাশ করেছিলেন আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করবেন। তবে তার আলোচনা আহ্বানে কোন সাড়াই দেয়নি উত্তর কোরিয়া। মুন বলেন, আমি মনে করি না যে আমাদের অবশ্যই দ্রুত সবকিছু করতে হবে। শুধু আলোচনার জন্য আলোচনা নয় বরং এমন আলোচনা করতে হবে যাতে ফলপ্রসূ কোন ফল আসে। উত্তর কোরিয়াকে এজন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। এর পরই দক্ষিণ কোরিয়া তার প্রতিনিধি দল উত্তর কোরিয়ার পাঠাবে। যদি উত্তর কোরিয়া আর কোন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী গ্রহণ করে তাহলে তাকে এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে যাতে সে আর বেঁচে থাকতে না পারে। আমি এজন্য উত্তর কোরিয়াকে এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মসূচী পরিহার করতে সতর্ক করে দিচ্ছি। মুন বলেন, তিনি যেকোন মূল্যে যুদ্ধ প্রতিহত করবেন। তিনি আরও বলেন, আমি চাই সব দক্ষিণ কোরীয় বিশ্বাস করুক কোন যুদ্ধ হবে না।
×