ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ আগস্ট ২০১৭

ঝলক

বংশগত ব্যাধিমুক্তি আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ডাউন সিনড্রোমের মতো গুরুতর জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিংবা বংশানুগতি সম্পর্কিত ব্যাথি নিয়ে আর কোনও শিশুর জন্ম হবে না আইসল্যান্ডে। বিশেষজ্ঞদের আশা, খুব দ্রুতই সেই পথেই এগোচ্ছে আইসল্যান্ড। সমীক্ষা বলছে সারা বছরে আইসল্যান্ডে যত শিশুর জন্ম হয়, তার মধ্যে মাত্র এক অথবা দু’টি শিশু ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়। এর প্রধান কারণ অবশ্যই প্রি-নেটাল চেকআপ নিয়ে হবু বাবা-মায়েদের সচেতনতা। সাধারণত ডাউন সিনড্রোমের কারণে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশও সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম ঘটে। আবার এমনও হতে পারে এসব শিশুরা অতিমেধাবী হিসেবে পৃথিবীতে জন্ম নেয়। ২০০০ সালের প্রথম দিকে প্রি-নেটাল টেস্টের ধারণা আসে। ডাউন সিনড্রোম এমন একটি জেনেটিক সমস্যা যা জন্মপূর্ব পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব। আইসল্যান্ডের আইন অনুযায়ী ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করানো বৈধ। যদি পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ ভ্রণের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়, তা হলে গর্ভপাত করানো সে দেশে অতি পরিচিত ঘটনা। আর নাগরিকদের এই ‘অভ্যাসেই’ সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে আইসল্যান্ড। সম্পূর্ণ ভাবে ডাউন সিনড্রোম মুক্ত দেশের তকমা লাভ করার দিকেই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ৩ লাখ ৩০ হাজার নাগরিকের হিমশীতল এই ভূখ-। ল্যান্ডস্পিতালি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রি-নেটাল ডায়াগনোসিস বিভাগের প্রধান হুলদা জারতারদোত্তির একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখনও আইসল্যান্ডে ১-২জন শিশু ডাউন সিনড্রোমের মতো জিনগত সমস্যা নিয়ে জন্মায়। সেটা পুরোটাই স্ক্রিনিং টেস্টের ব্যর্থতা। অনেক সময় ডাউন সিনড্রোমের ঝুঁকি খুব কম থাকলে তা টেস্টে ধরা পড়বে না। ফলে ডাউন সিনড্রোমের সমস্যা নিয়েই ওই শিশুদের জন্ম হয়। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ১৯৯৫-২০১১ সালের মধ্যে আমেরিকায় ৬৭ শতাংশ ডাউন সিনড্রোম কমেছে, ফ্রান্সে কমেছে ৭৭ শতাংশ, ডেনমার্কে প্রায় ৯৮ শতাংশ। আর খুব শীঘ্রই ডাউন সিনড্রোম শূন্য রাষ্ট্রের শিরোপা পাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে আইসল্যান্ড। ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন।
×