ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ আগস্ট ২০১৭

উবাচ

লিপ সার্ভিস স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে বন্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। এতে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপার্সনের মন কেঁদে উঠেছে। সেই সুদূর থেকে তিনি টুইট করে তার দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে। তবে এখনও তাদের ব্যাপক তৎপরতা চোখে পড়েনি। বিএনপি নেত্রী এক বার্তায় সরকার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। শুধু মুখের কথা ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই বলে দাবি করেছেন বেগম জিয়া। তিনি বলেছেন সরকার বন্যায় শুধু লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় কোন জরুরী ত্রাণ তৎপরতা নেই। বন্যা দুর্গত মানুষকে নিরাপদে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা এখনও দেখা যাচ্ছে না। যদি বিএনপি চেয়ারপার্সনের মন কাঁদলেও বন্যার খবর পেয়ে এখনও দেশে আসেননি। টুইট করা আর বিবৃতি দেয়া ছাড়া তিনি এখনও পর্যন্ত আর কিছু করেননি। অনেকেই....! স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন রাজনৈতিক জোট নিয়ে এবার বেশ আশাবাদী এবার জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ। সম্মিলিত জাতীয় জোটে (ইউএনএ) এখন অনেক রাজনৈতিক দলই ভিড়তে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এরশাদ বলছেন আমাদের জোট এখন অনেকের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক দল এখন আমাদের সঙ্গে জোটভুক্ত হতে চায়। তবে সরকার চায় না আমাদের জোটের পরিধি বাড়ুক। কারণ আমাদের জোট শক্তিশালী হলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাধা দিয়ে গণজোয়ার ঠেকানো যাবে না। যদিও সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন তার দলের মন্ত্রীরা তখনই পদত্যাগ করবেন যখন সরকার প্রধান নির্দেশ দেবেন। অবশ্য আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, আজ বিএনপি নিয়ে আওয়ামী লীগকে মাথা ঘামাতে হচ্ছে। এই বিএনপিকে আওয়ামী লীগই বাঁচিয়ে রেখেছে। ক্ষিপ্ত রিজভী স্টাফ রিপোর্টার ॥ এখন রাজনৈতিক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়। ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ যেমন চলছে, পাল্টা আক্রমণ চলছে। বিএনপি মনে করছে এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার চেয়ে বিএনপি রাজনীতি করার জন্য নতুন এক ইস্যু পেয়েছে। সঙ্গত কারণে কেউ এই রায় বা রায়দাতাদের নিয়ে কথা বললে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে। সম্প্রতি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের জন্য প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। আর এতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার বক্তব্যকে ‘চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি হুমকি’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যিনি পচা গমের বেসাতি করেন তিনি প্রধান বিচারপতিকে চলে যাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল সাহেব, আপনি কোন নৈতিকতা নিয়ে কথা বলছেন। আপনি তো সর্বোচ্চ আদালতে দোষী ও দ-িত অপরাধী। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ ভঙ্গ করে এখনও মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন। বিশ্বে এমন নজির কোথাও আছে সর্বোচ্চ আদালতে দ-িত ব্যক্তি মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকতে পারে? ক্যান্সার রুখতে কালো ধান ভারতরে মনিপুরি কালো ধান নাকি ক্যান্সার দূরে রাখে। শুধু ক্যানসারই নয়, এ চালে স্নায়ু ভাল থাকে। এমনকি আলঝাইমার্স-এর সঙ্গেও মোকাবিলার ক্ষমতাও আছে এ চালের। কালো ধানের চাষ আগেও করেছেন ফুলিয়ার চাষিরা। তবে এমন ওষধি গুণের চালের কথা আগে শোনেননি নদিয়ার চাষিরা। তাঁদের এসব আশার কথা শুনিয়েছেন মণিপুরের ধান গবেষক ৬৩ বছরের পি দেবকান্ত। কালো রঙের এই ধানের নাম ‘চাখাও পোইরিটন’। দেবকান্ত চাষিদের বলছেন, “ধান নয়, এটা আসলে ভেষজ ওষুধ। শুধু টাকার জন্য চাষ না করে নিজেদের রোগমুক্ত রাখতে চাষ করুন।” দেবকান্ত ২০১২ সালে ভারতীয় সরকারের ‘ প্রোটেকশন অফ প্লান্ট ভ্যারাইটিস অ্যান্ড ফার্মাস রাইট অ্যাক্ট’ পুরষ্কার পেয়েছেন।কালো ধানের চাষ আগেও করেছেন নদিয়ার চাষিরা। সেটা ছিল মহারাষ্ট্রের ‘কালাভাত’। তাতে সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। গত বছর প্রায় ১৫ টন ধান উৎপাদন হয়েছে। এ বার তা দু’শো টনের বেশি হবে বলেই আশা করছেন ফুলিয়া কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গবেষকরা। এবার মণিপুরের চাখাও পোইরিটন ধান চাষে উৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফুলিয়ার কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা অনুপম পাল বলছেন, “মণিপুরের এই কালো ধানের চালের ওষধি গুণ প্রচুর। দামও মিলবে প্রায় কেজি প্রতি দেড়শো টাকা। এই চাষ আর্থিক ভাবে লাভজনক, তেমনই চাষিদেরকে বলছি, নিজেদের পরিবারের খাওয়ার জন্য হলেও এই ধান চাষ করুন।” মণিপুরি ভাষায় চাখাও-এর মানে সুস্বাদু। দেবকান্তের দাবি, ১০ হাজার বছর আগে মণিপুরের পোইরিইটন রাজ পরিবার এই চাষের জন্য স্থানীয় চাষিদের উৎসাহিত করেছিলেন।মণিপুরের এই ধান গবেষক দুশো লুপ্তপ্রায় দেশি ধান সংরক্ষণ করেছেন। তার মধ্যে কালো ধান আছে ২০ রকমের। দেবকান্তের দাবি, খাদ্যগুণ ও সুগন্ধের জন্য গোটা বিশ্বের মধ্যে এই ‘চাখাও পোইরিইটন খুবই উৎকৃষ্ট মাণের। কারণ, এই ধানের চালে আছে প্রচুর পরিমানে ‘অ্যান্টি অক্সিডেন্ট’। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। একে ‘অ্যান্টি ডায়াবেটিস রাইস’ও বলা হয়। লোহা ও জিঙ্ক প্রচুর পরিমানে থাকার জন্য প্রসূতিদের ক্ষেত্রে পথ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রশ্ন একটাই, মণিপুরে যে ধান সহজেই চাষ হয় নদিয়ায় সে ধানের চাষ কি সম্ভব? দেবকান্ত বলছেন, ‘‘শর্ত একটাই, চাষ করতে হবে জৈব সারে । তবে নদিয়ার মাটিতে খাদ্য গুণ একই থাকলেও গন্ধ মণিপুরের চালের মতো হবে না।’’-আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইন।
×