ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৭৪ সহযোগী অধ্যাপক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৮ আগস্ট ২০১৭

অধ্যাপক পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৭৪ সহযোগী  অধ্যাপক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৭৪ সহযোগী অধ্যাপক। পদোন্নতিপ্রাপ্ত সব অধ্যাপককে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে। এদিকে শীঘ্রই পদোন্নতি পাচ্ছেন প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকরাও। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভাতেই অধ্যাপক পদের পদোন্নতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে (ংযবফ.মড়া.নফ) অধ্যাপকদের পদোন্নতির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন সংক্ষুব্ধ সহযোগী অধ্যাপক আবদুল করিম। তিনি ১০ শতাংশ কোটায় নিযুক্ত বাংলার শিক্ষক। তবে পদোন্নতির ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন সংক্ষুব্ধ এ সহযোগী অধ্যাপক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অধ্যাপক হওয়া শিক্ষকদের ওএসডি করে রাখা হলেও শীঘ্রই পদায়ন করা হবে। এদিকে জানা গেছে, শীঘ্রই পদোন্নতি পাচ্ছেন প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকরাও। অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয়ে গেলে নিচের পদগুলো খালি হবে জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার কর্মকর্তারা বলেছেন, তখন পর্যাক্রমে প্রভাষক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদের পদোন্নতি দেয়া হবে। কোন্ কোন্ পদে কতজন পদোন্নতি পবেন তার এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। যদিও এবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বড় ধরনের পদোন্নতির আশাই করছেন কর্মকর্তারা। এই ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন ৫ হাজার। কিছু শিক্ষক টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছেÑঅভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর ॥ প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, কিছু শিক্ষক টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। এর সঙ্গে কিছু অভিভাবকও জড়িত। এই শিক্ষক ও অভিভাবকরা চুরি করে প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষার্থীকে জিপিএ-৫ পেতে সহযোগিতা করছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) আয়োজিত স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
×