ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আত্মঘাতী জঙ্গী সাইফুলের বাবাসহ তিনজন পুলিশ হেফাজতে

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৭ আগস্ট ২০১৭

আত্মঘাতী জঙ্গী সাইফুলের বাবাসহ তিনজন পুলিশ হেফাজতে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ঢাকার পান্থপথে একটি হোটেলে ‘আত্মঘাতী জঙ্গী’ সাইফুল ইসলামের বাবা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মাঠেরহাট মসজিদের ইমাম মোঃ আবুল খায়েরসহ ৩ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ তাদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং তাদের দেয়া তথ্যগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। খুলনার পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা এ তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন, সাইফুল সম্পর্কে জানতে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সাইফুলের বাবাসহ কয়েকজন এখনও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের কাউকেই আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, নিহত সাইফুল শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে শোনা যাচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত তার বাবাসহ সাইফুলের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইফুলের জঙ্গী সম্পৃক্ততার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সাইফুলের লাশ খুলনায় আনা হবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কেউ তাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত (বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা) যোগাযোগ করেনি বলে তিনি জানান। জানা গেছে, সাইফুলের বাবা ছাড়াও সাইফুলের ২ জন বন্ধু পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তারা হচ্ছেÑ একই গ্রামের আবু ওয়াহেদের ছেলে মোঃ সানি (২২) ও জালাল সরদারের ছেলে ইসান (২১)। মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথের একটি হোটেলে বিস্ফোরণে সাইফুলের আত্মঘাতী হওয়ার পর তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে দুপুরে পুলিশ সাইফুলের বাবাকে হেফাজতে নিয়েছে। স্থানীয়রা বুধবার দুপুরে জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াকাঠী গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি থানায় গিয়ে সাইফুলের বাবার সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপার এ প্রতিনিধিকে জানান, সাইফুলের বাবাসহ কয়েকজন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সাইফুলের বোন সাবিয়া খাতুন ইরানী জানান, তার ভাই সাইফুল কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না। অভাবের সংসারে পড়াশোনার খরচ জোগাতে কিছুদিন ধরে চাকরির খোঁজ করছিল। চাকরির সন্ধানে ঢাকায় গিয়েছিল তার ভাই। চাচাত বোন জেসমিন আক্তার বলেন, সাইফুল জঙ্গী হতে পারে, এটা তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের সকালে ঢাকার পান্থপথের ওলিও ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হোটেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যদের অভিযানে আত্মঘাতী হয় জঙ্গী সাইফুল ইসলাম। শোক দিবসে ধানম-ি ৩২ নম্বরে সাইফুলসহ কয়েকজনের হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
×