ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উল্টোপথে গাড়ি চালালেই আইনী ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৭ আগস্ট ২০১৭

উল্টোপথে গাড়ি চালালেই আইনী ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তথাকথিত প্রভাবশালীরা উল্টোপথে গাড়ি চালাতে চায়। তা হতে দেয়া হবে না। উল্টোপথে গাড়ি চালালেই আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর চেষ্টাকারী যত প্রভাবশালীই হোন, তা আমলে নেয়া হবে না। উল্টোপথে গাড়ি চলা প্রতিরোধে সংসদীয় কমিটিও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করেছে। বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘শব্দ দূষণ ও হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, উল্টো পথে গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে কঠোর হতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্পষ্টভাবেই বলেছেন, কোন মন্ত্রী-এমপির গাড়িও উল্টোপথে চলতে পারবে না। যদি আইন অমান্য করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। উল্টোপথে গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে পুলিশকেও নাজেহাল হতে হয়। পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও এখনও মাঝে মধ্যেই উল্টোপথে গাড়ি চলাচল নিয়ে পুলিশকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তথাকথিত প্রভাবশালী মহল এখনও উল্টোপথে গাড়ি চালাতে চায়। এতে বাধা দিলে পুলিশকে নাজেহাল হতে হয়। তারপরও অনেক কিছুরই তোয়াক্কা না করে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। উল্টোপথে গাড়ি চালালে, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে, সিগন্যাল অমান্য করলে, অবৈধ পার্কিং করলে তার বিরুদ্ধে যানজট নিরসনে ঢাকা মহানগরীর সবার স্বার্থে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থায় রাতারাতি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আগামী এক বছরের মধ্যে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অপতৎপরতা ও অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় শতভাগ সম্ভব হবে। কমিশনার দাবি করেন, উল্টোপথে গাড়ি চলা, মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী ওঠা, হেলমেট ব্যবহার না করা, বিভিন্ন ধরনের স্টিকার ব্যবহার করে ট্র্রাফিক আইন ভঙ্গ করা, হাইড্র্রলিক হর্নের অননুমোদিত ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছে। নগরীর শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ট্র্রাফিক বিভাগের অভিযানে গত এক বছরে ১০ হাজার হাইড্রলিক হর্ন জব্দ করা হয়েছে। যানজটের অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তার সংখ্যা কম। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, অতিরিক্ত রিক্সার চাপ, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য রাস্তা কেটে ফেলার কারণে যানজট প্রকট হয়। এমন অবস্থার মধ্যে ট্রাফিক আইন অমান্য করে গাড়ি চললে রাস্তায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এদেশে ট্র্রাফিক সিগন্যাল না মানার প্রবণতা বেশী। আইন মেনে সুশৃঙ্খলভাবে কেউ গাড়ি চালাতে চায় না, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করতে চায় না। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করে। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে চায়। ওয়ানওয়ে রোড মানে না। এজন্য প্রায়ই নগরীতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ায় এবং নগরবাসীর সহযোগিতায় আগের তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×