ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাফল্য ধরে রাখতে চান মিরাজ

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৭ আগস্ট ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাফল্য ধরে রাখতে চান মিরাজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল না। তবে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচের আবহ তৈরি করে বুধবার ও আজ অনুশীলন করার কথা ছিল। বৃষ্টিতে তা সম্ভব হলো না। তবে প্রস্তুতি ঠিকই সেরে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। নিজেদের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য প্রস্তুত করে চলেছেন। সেই প্রস্তুতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল টি২০) থেকে কোন ম্যাচ না খেলে ফিরে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। সব বাদ দিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও কিভাবে উইকেট শিকার করা যায় তা নিয়েই ভাবছেন। নৈপুণ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান তিনি। সিপিএল থেকে ফিরে বুধবার বোলিং-ব্যাটিং অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তাই জানালেন মিরাজ। বলেছেন, ‘ওদের (অস্ট্রেলিয়া) নিয়ে আমি আজ প্রথম অনুশীলন করেছি। বোলিং করেছি, ব্যাটিং করে আসলাম। আশাকরি ১০-১২ দিনে নিজেকে তৈরি করতে পারব।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগের সিরিজগুলোতে যেভাবে করেছি ঠিক সেভাবেই করতে চাই।’ নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজেই তাক লাগিয়ে দেন মিরাজ। অভিষেক টেস্ট সিরিজেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ সেরা হন। ২ ম্যাচে মোট ১৯ উইকেট নেন। টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন মিরাজ। এরপর থেকেই মিরাজ বন্দনা শুরু হয়ে যায়। এরপর অবশ্য সেইরকম কিছু করে দেখাতে পারেননি। তবে প্রতিটি টেস্টেই উইকেট পানই মিরাজ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৬ উইকেট নিয়েছেন। শততম টেস্ট ম্যাচেও নিয়েছেন ৪ উইকেট। দলও টেস্টটি জিতে। মিরাজের চেষ্টা এখন এমন কিছুই করে যাওয়া। ব্রেক থ্রু এনে দেয়া। উইকেট নিয়ে দলকে ভাল অবস্থানে রাখার চেষ্টা করা। সাত টেস্ট খেলে ৩৫ উইকেট নেয়া মিরাজ এটাও জানেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে যেভাবে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, সেভাবে দেখানো সম্ভব নয়। তাই বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেটা হয়েছে, সেটা সবসময় করা সম্ভব না। লাইফে একবার-দুইবার হতে পারে। আবার এরকম নাও হতে পারে। ওটা অপ্রত্যাশিত।’ এরপর বলেন, ‘তারপরও সবমিলিয়ে চিন্তা করব সর্বোচ্চটা দেয়ার। দলের যে প্রয়োজন সেটা পুরো করার চেষ্টা করব। একটা-দুইটা উইকেট কিংবা ভাল সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে যদি কাজ করতে পারি, তাহলে আমার ও দলের জন্য ভাল হবে। এগুলোতেই ফোকাস করছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারা একটা বড় সুযোগ। খেলতে পারলে অবশ্যই ভাল লাগবে। কারণ আমরা জানি সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া, ভারত অনেক বড় দল। প্রত্যাশা থাকবে ভাল কিছু করার। আর আমাদের দেশের মাটিতে খেলা। চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দিয়ে সেরা সাফল্য পেতে। সাকিব-তাইজুল ভাই আছেন। দলের অন্যরা যারা আছেন সবাই যার যার পজিশন থেকে যদি ভাল কিছু করে তাহলে ভাল কিছু করা সম্ভব।’ সিপিএলে খেলতে গিয়ে একাদশের বাইরেই থাকতে হয়েছে মিরাজের। একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স তাকে খেলায়নি। তাই মিরাজ মনে করছেন, সিপিএলে খেলতে না গিয়ে দেশে থাকলেই ভাল হতো। দলের সঙ্গে অনুশীলন করা যেত। মিরাজ বলেছেন, ‘আসলে ওখানে টি২০ ফরমেট ছিল। তারপরও যতটুকু অনুশীলন ছিল ততটুকু আমি করেছি। অফ ডেতে অনুশীলন করেছি। ব্যাটিং-বোলিং করেছি। এখানে থাকলে আরও হয়তো ভাল হতো। এখানে প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে। খুব ভাল ফ্যাসিলিটিজ ছিল।’ সিপিএলে খেলতে না পারার আক্ষেপও ঝরল মিরাজের কণ্ঠে, ‘খেলতে পারলে ভাল লাগত।’ তবে অনেক কিছু শিখেছেন মিরাজ, ‘অনেক কিছু শিখেছি। জীবনে প্রথমবারের মতো গিয়েছি। ওখানে ভাল ভাল খেলোয়াড় ছিল। অলমোস্ট বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে ছিল। ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছি। উপভোগ করেছি। সবাই আমাকে নিয়ে মজা করেছে। অনেক ভাল লেগেছে। ভাল সাপোর্ট করেছে। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি সেটা বুঝতে দেয়নি। নিজেদের মনে করেই মিশেছে। আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে মাত্র আসলাম। ওখানে সাদা বলে কাজ করা হয়েছে। লাল বলে আজই (বুধবার) শুরু করলাম। ১০-১২ দিন সময় আছে। এ সময়ে নিজের যে স্টক বোলিং আছে ভালভাবে সেটা করার চেষ্টা করব। দুই একটা ভ্যারিয়েশন আছে, সেগুলো নিয়ে ট্রাই করব। নিজের যে জায়গাটায় উন্নতি করার চেষ্টা করব।’
×