ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তারপরও কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যায় নি

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বিপুল ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৩:১১, ১৭ আগস্ট ২০১৭

আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বিপুল ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ বছরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে। মার্কিন গর্বমেন্ট এ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিসের (জিএও) একটি নয়া প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার পরও যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বাধীনভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বভার নিতে সমর্থ করে গড়ে তোলা যায়নি। খবর ডনের। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিন্তানে সমর্থন অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক। কারণ, জঙ্গী ইসলামিক স্টেট গ্রুপÑ খোরাসানসহ তালেবান নিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহী, অপরাধী চক্র ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য দেশটির স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক জোট আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে অস্ত্র, যোগাযোগ সরঞ্জামাদি, এবং অন্যন্য নিরাপত্তা সাজসরঞ্জাম প্রদান শুরু করে। প্রতিরক্ষা দফতর ও জিএওর অভিন্ন উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে, তহবিলের ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের ৮৬ শতাংশ বা ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার আফগানিস্তান সিকিউরিটি ফোর্সেস ফান্ডের (এএসএফএফ) মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। ২০০৫ সালে এএসএফএফ প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭-এর ৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের মধ্যে ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার প্রদান করা হয়। এএসএফএফকে দেয়া থোক বরাদ্দের ৪৪ শতাংশ বা ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয় কেবল নিরাপত্তা বাহিনীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। দ্বিতীয় বৃহত্তম থোক ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (মোট ব্যয়ের ২৯ শতাংশ) ব্যয় হয় সরঞ্জামাদি কিনতে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রদান করা অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে ৮১ শতাংশই রাইফেল ও পিস্তল। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে এক লাখ ৬২ হাজার ৬৪৩টি যোগাযোগ সরঞ্জাম ও ৭৬ হাজার গাড়ি দেয়া হয়। এই গাড়িগুলো ছিল ২২ হাজার হামভিস গাড়িসহ ফোর্ড রেঞ্জার পিকআপ ও কার্গো ট্রাকের মতো হালকা ধরনের যুদ্ধে ব্যাবহারযোগ্য গাড়ি। পেন্টাগন ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১০টি হেলিকপ্টার ও ৯৮টি প্লেন দিয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সম্প্রতি প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি আফগানিস্তানে নিজ দেশের কৌশল পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বাস করেন যে, আফগানিস্তানে ব্যয় করা অর্থ প্রত্যাশিত ফলাফল এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি তার কমান্ডারকে আফগান্তিানে বিলিয়ন ডলার ব্যয় এবং যুদ্ধে দুই হাজার মার্কিন নাগরিক নিহতের পরও এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজে দেখতে নির্দেশ দেন।
×