ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশের বিভিন্ন মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ আগস্ট ২০১৭

বিদেশের বিভিন্ন মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শোক দিবস পালিত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিল্লী, কলকাতা, মুম্বাই, তাসখন্দ, ইস্তানবুল, রিয়াদ প্রভৃতি বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম জাতীয় শোক দিবস পালনের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেও মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ঢাকায় প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ৪২তম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপ-হাইকমিশন চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। পরে রাষ্ট্রপতির পাঠানো বাণী পাঠ করেন মিঞা মুহম্মদ মাইনুল কবীর, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শেখ সফিউল ইমাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মনসুর আহমেদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করেন মোফাকখারুল ইকবাল। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বেকার হোস্টেলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মীরা। উল্লেখ্য, ছাত্রাবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) আইন বিভাগে অধ্যায়নের জন্য ভর্তি হন। সেই সময় তিনি ওই বেকার হোস্টেলে বসবাস করতেন। কলকাতায় থাকাকালীন তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। বেকার হোস্টেলের যে ঘরে বঙ্গবন্ধু বসবাস করতেন সেই ঘরে তার স্মৃতির সম্মানে একটি আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। সেই আবক্ষ ভাস্কর্যেই কলকাতার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতা উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে রক্তদান কর্মসূচী পালিত হয়। দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় অংশ নেন ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক চীফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল দীপক কাপুর, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস ডি মুনি, প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট গৌতম লাহিড়ী। এছাড়া রাষ্ট্রদূত রনেন সেন ও হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আলোচনায় অংশ নেন। হাইকমিশনের কাউন্সিলর ও হেড অব চ্যান্সারি জাহিদ উল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে উপ-হাইকমিশনে জাতীয় পতাকার অর্ধনমিতকরণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা ও স্মরণ সভা এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে উপ-হাইকমিশনার সামিনা নাজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে শোক দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন। মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী, স্বাগতিক দেশের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এডমিরাল (অব) ভিষ্ণু ভগওয়াৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল পুনতামবেকার, এ্যাডভোকেট নীলুফার ভগওয়াৎসহ স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল চ্যান্সেরিও বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা। এদিকে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।
×