ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৬ আগস্ট ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম মঙ্গলবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোকাবহ এ দিনটিতে সরকারী, আধা সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহের উদ্যোগে ছিল ব্যাপক কর্মসূচী। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা এবং উত্তোলিত হয় শোকের কালো পতাকা। দিনভর নগরী ও জেলার পাহাড় মহল্লায় ছিল আলোচনা সভা, কালোব্যাজ ধারণ, কাঙালি ভোজ, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, দোয়া মাহফিল, শোক শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচ।ি এ সকল কর্মসূচী থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সুখী সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ উচ্চারিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মসূচী ছিল ব্যাপক। এদিন দুই সংস্থার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়াও নগরীতে রচনা করা হয় মানবপ্রাচীর। এতে অংশগ্রহণ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ। মানবপ্রাচীরের স্লোগান ছিল ‘শোকের শক্তিতে রুখবো দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গীবাদ।’ এছাড়া ছিল এতিম সমাবেশ, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, তবারুক বিতরণ ও বিশেষ মোনাজাত। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে নগরীর সরকারী, বেসরকারী ও সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে মানবপ্রাচীর কর্মসূচী পালিত হয়। নগরীর টাইগার পাস মোড়ে মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন নেতবৃন্দ মানবপ্রাচীরে অংশগ্রহণ করেন। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসীম সাহসী, অসাধারণ প্রজ্ঞাবান এবং দূরদর্শি একজন মহামানব। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজ ও দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গীবাদ চিরতরে অবসানে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল বাহার বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে একমাত্র অন্তরায় দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গীবাদ। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা সচল রাখতে সামাজিক নিরাপত্তাসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম ওয়াসা, রেলওয়েসহ সকল সরকারী, আধা সরকারী এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী পালিত হয়। সরকারী ছুটি ঘোষিত থাকলেও প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খোলা ছিল। স্কুল-কলেজগুলোতে ছিল বিশেষ কর্মসূচী। এর মধ্যে ছিলÑ আলোচনা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচারসহ নানা অনুষ্ঠানমালা। রাজশাহী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা এাকাডেমির সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীতে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সকালে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ায় স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবন্দ। পরে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শোক র‌্যালি বের করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, শফিকুল রহমান বাদশা, শাহাদত হোসেন, নওশের আলী, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাঈমুল হুদা রানা প্রমুখ। এর আগে প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। খুলনা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে শোক র‌্যালি বের হয়ে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে পৌঁছে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তুবক অর্পণ করা হয়। র‌্যালিতে সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারী-পবসরকারী কর্মকর্তাসহ সর্বহস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে নয়টায় অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ। জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেনÑ পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, পুলিশ সুপার মোঃ নিজামুল হক। পাবনা সকালে জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালোর নেতৃত্বে দুর্জয় পাবনায় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি সূচনা করা হয়। এ উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুস্থ এতিমদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও মেডিক্যাল ক্যাম্প, সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিল-মন্দির-গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শোক র‌্যালির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। পরে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। কিশোরগঞ্জ সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি শোক র‌্যালি পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ অডিটরিয়ামে গিয়ে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও ছড়া পাঠে মিলিত হয়। র‌্যালিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। ভোলা মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে র‌্যালি বের হয়। এরপর জেলা প্রশাসক সম্মেলন আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম উদ্দিন। এরপর বেলা ১১টায় ভোলা বাংলা স্কুল মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান শেষে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ তাদের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃত্বে শহরে বিশাল এক শোক র‌্যালি বের হয়। নাটোর মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। বগুড়া সব সরকারী-আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রতিটি কর্মসূচীতে কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। সকালে জিলা স্কুল মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোচনা করা হয়। সকাল নয়টায় সব সরকারী-বেসরকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ও শিশু-কিশোর সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ শোক র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে। দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর সব মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাতবরণকারী সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দেয়া ও মোনাজাত করা হয়। সুবিধামতো সময়ে অন্যান্য উপসানালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জেলা শিশু সদনে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে হামদ-নাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। নেত্রকোনা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, উদীচী এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহরের মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। বেলা ১১টায় স্থানীয় পাবলিক হলে জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। নীলফামারী মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারী-আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন ও সকাল সাড়ে ৯টায় কালোব্যাজ ধারণ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের চত্বর হতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের নেতৃত্বে বিশাল শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। যশোর মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুরে কাঙ্গালি ভোজ হয়েছে শহরের মোড়ে মোড়ে। এছাড়া দুপুর ১২টায় শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বরিশাল মঙ্গলবার রাত বারোটা এক মিনিটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল আটটায় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, জেবুন্নেছা আফরোজ ও শেখ মোঃ টিপু সুলতান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শরীয়তপুর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের নেতৃত্বে শোক র‌্যালি বের করা হয়। এছাড়াও ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলা সদরে নাহিম রাজ্জাক এমপির নেতৃত্বে বের হওয়া শোক র‌্যালিতে হাজার হাজার নারী-পুরুষের ঢল নামে। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনা সভা, মসজিদ ও মন্দিরে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনাসহ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় সেখানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খানসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সাতক্ষীরা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে শোক র‌্যালি বের হয়ে শহীদ আব্দুল রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রক্তদান কর্মসূচী, পুরস্কার বিতরণী ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, এমপি মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, পৌর মেয়র তাসকিন আহম্মেদ চিশতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র প্রমুখ। দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অপরদিকে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির নেতৃত্বে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাসপাতাল থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়। টাঙ্গাইল মঙ্গলবার সকালে জেলা ও সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী পৃথক পৃথক বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালোব্যাচ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অপর্ণ, শোক র‌্যালি, বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওর্য়াডগুলোতে কাঙালি ভোজের আয়োজন। নওগাঁ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ, অগ্রণী ব্যাংক, এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। সকাল ১০টায় অগ্রণী ব্যাংক নওগাঁ অঞ্চল শহরে শোক র‌্যালি করে। পরে আঞ্চলিক কার্যালয়ে ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান বাবলু মুহরীর সভাপতিত্বে শোকসভা ও বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আওয়ামী লীগ বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির নেতৃত্বে শোক র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুর কর্মসূচী ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, খতমে কোরান, মোনাজাত ও ধর্মীয় উপসনালয়ে প্রার্থনা, জাতির জনকের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং দুস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি। এ উপলক্ষে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক হুমায়রা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। রাঙ্গামাটি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে জাতীর জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালি বের করা হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেখানে একটি আলোচনা সভা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের অফিসে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৌলভীবাজার মঙ্গলবার সকালে শহরে শোক র‌্যালি বের হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পৃথক পৃথক আয়োজনে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। এসব আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, আব্দুল মতিন এমপি, সাবেক সাংসদ হোসনে আরা ওয়াহিদ, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ। নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার সকালে নগরীর চাষাঢ়ার বিজয়স্তম্ভে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া ও পুলিশ সুপার মঈনুল হক। অপরদিকে নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। গাজীপুর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকালে একটি শোক র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য রাখেনÑ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের লোকনাথ দীঘি টেংকেরপাড় থেকে শোক র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ঝিনাইদহ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে শোকযাত্রা বের হয়। শোকযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এ সময় জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমিপি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঝিনাইদহ পৌর ডাঃ কে আহামেদ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, শিশুদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মসজিদে দোয়া মাহফিল, গির্জা-মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা ও বঙ্গবন্ধুর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেনÑ পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী, সিভিল সার্জন ডাঃ আবু মোঃ খায়রুল কবির, ভারপ্রাপ্ত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউদ্দৌজা বদর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাশু দত্ত টিটো, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোবার মানিক প্রমুখ। শেরপুর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে শোক র‌্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। সিলেট মঙ্গলবার সকাল থেকে লোকজন বৃষ্টি উপেক্ষা করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ইত্যাদি। আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সিলেট প্রেসক্লাব, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সাস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করা হয়। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণে এক দোয়া মাহফিল নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চগড় মঙ্গলবার সকালে শহরের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল এবং দোয়ার মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। পরে সেখান থেকে শুরু হয়ে শোক র‌্যালি শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে জেলা অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেনÑ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ ম-ল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান প্রমুখ। বাগেরহাট মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মঞ্চ তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন, ১৪ দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাগেরহাট শহরে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় প্রমুখ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় কলেজ মোড়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতি মঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হাসান ও পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ মঙ্গলবার শোক দিবসে শোক র‌্যালি, আলোচনা সভা, কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান ও কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় বের করা হয় শোক র‌্যালি। নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। এছাড়াও কালেক্টরেট ভবন থেকে জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার নেতৃত্বে শোক র‌্যালি বের করা হয়। নরসিংদী মঙ্গলবার শোক দিবসে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারী-বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলন করা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শোক র‌্যালি, সকল মসজিদ, মন্দিরে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়েছে জেলার সর্বত্র। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জেলার নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাড়া-মহল্লায় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। হবিগঞ্জ মঙ্গলবার সকালে শহরে এক শোক র‌্যালি বের করে জেলা প্রশাসন। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। রক্তদান কর্মসূচী ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচী পালন করে স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো। রংপুর সকালে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টুর (প্রতিমন্ত্রী) নেতৃত্বে একটি র‌্যালি বের হয়ে ডিসির মোড় চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন কবীর, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজুনুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালি বের হয়ে অম্বিকা ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। পরে অম্বিকা ময়দানে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে জতির জনকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার জামিল হাসানসহ সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ। মাগুরা মঙ্গলবার সকালে নোমানী ময়দানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার এমপি, সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব) এটি এম আবদুল ওয়াহহাব, কামরুল লায়লা জলি এমপি সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
×