ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিপোর্টের ডায়রি

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৬ আগস্ট ২০১৭

রিপোর্টের ডায়রি

আনন্দ বেদনার ঘরে ফেরার স্মৃতি উৎসব-পার্বণে প্রিয়জনের সঙ্গে অংশ নেয়া সবার কাছেই আনন্দের। বাঙালী মুসলমানদের ঈদ একটি অন্যতম উৎসব। বছরের দুটি ঈদেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে যান প্রিয়জনের কাছে। সাংবাদিক হিসেবেও এই অনুভূতির বাইরে কেউ নন। তবে পার্থক্যের জায়গা হলো পেশাগত কারণেই একজন সাংবাদিককে সবার পরে ঘরে ফেরার যাত্রায় শরিক হতে হয়। তবে এই ঘরে ফেরা সব সময় আনন্দদায়ক হয় না। শত যন্ত্রণা ভোগ করেই কেবল ঘরে ফিরতে হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিবহন সেক্টরের স্বেচ্ছাচারিতা এর জন্য দায়ী। প্রতি বছর ঈদের সময় ঘরে ফেরা মসৃণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নজর থাকে না। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকতে হয়। অথচ এই সময় প্রিয়জনের সান্নিধ্যে দ্রুত যেতে মন আনচান করে। কখন পৌঁছাব বাড়িতে। ২০১৫ সাল। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতো ঈদের একদিন আগে পরিবার পরিজন নিয়ে রওনা হয়েছি। সকাল ৭টায় হানিফ পরিবহনের টিকেট আগে থেকেই সংগ্রহ করা ছিল। কিন্তু সেবার ঈদ যাত্রা ছিল বড়ই বিরক্তিকর। পরিবার পরিজন নিয়ে এতটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে আগ থেকে জানা ছিল না। ঈদের আগের দিন অফিসে ঈদের নিউজ জমা দিয়ে পরের দিন ঘরে ফেরার পালা। সাংবাদিকদের আগে যাওয়ার সুযোগ কম। রাতে বাড়ি ফেরার আনন্দে ঘুম হয়নি। সকালে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে স্ত্রী ফারজানা হক এবং দেড় বছরের ছেলে সাদ রহমানকে নিয়ে রওনা হয়েছি। মনে আনন্দ ধরে না। কখন বাড়ি পৌঁছাব এটাই বড় চিন্তা। সব ভাবনায় চির ধরালো যখন বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে জানলাম বাস নেই। অগ্রিম টিকেট থাকলেও কর্তৃপক্ষ সময় মতো ছাড়ার জন্য বাস রেডি রাখতে পারেনি। হতাশ হতে হলো। জানলাম রাস্তায় প্রচ- জ্যাম। বাইরে থেকে ঢাকার উদ্দেশে যেসব বাস আসার কথা তা আসেনি। প্রথম বলা হলো এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবে। কিন্তু বেলা তিনটা পর্যন্ত বউ-ছেলে নিয়ে কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হলো। অপেক্ষার পালা যেন শেষ হতে চায় না। বউ বার বার বলছে চল বাসায় ফিরে যাই। এত কষ্ট করে বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না। কিন্তু ঈদ বলে কথা। সকাল ৭টা সিডিউলে বেলা তিনটার পর রওয়ানা হলেও পথের যাত্রা শুভ ছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটতে থাকতে হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টায় যখন পৌঁছালাম তখন পথের সব যন্ত্রণা ভুলে ঈদের আনন্দটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বড় বোন বলল, কষ্ট করে আসার দরকার কি ছিল। এটাই শেষ নয়। এ ধরনের ঘটনার একাধিকবার ঘটেছে। ২০০৭ সালে চাকরি করতাম আজকের কাগজে। অফিসের কাজ শেষ আগের দিন খুব ভোরে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছি। অগ্রিম কোন টিকেট ছিল না। ভোরে গুলিস্তান গিয়ে বিআরটিসির বাসের টিকেট সংগ্রহ করলাম। মন আনচান করছে কখন বাড়ি পৌঁছাব। শুরু হলো বিরক্তি ঘটার জন্ম। টিকেট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু বাস যেন আসতে চায় না। সকাল ৬টায় টিকেট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম সবার আগে বাসে উঠব বলে। কিন্তু বেলা ২টা পর্যন্ত লাইলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ২টার পরে ডবল ডেকার বাসে যখন ঢাকা ছাড়ছি তখন বেলা ৪টা পার হয়ে গেছে। গাবতলী গরুর হাট পেরোতেই কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল। অবশেষ বাড়ি যখন পৌঁছাই তখন রাত ১২টার বেশি বাজে। উল্টো চিত্রও রয়েছে। সাংবাদিকতা পেশার কারণে প্রতিবারই ঈদের একদিন আগে রওনা হতে হয়েছে। অগ্রিম টিকেট না থাকলেও খুব ভোরে লোকাল বাস ধরে পাটুরিয়া তারপর লঞ্চ পার হয়ে লোকাল বাসে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে রাজবাড়ীর ভেতর দিয়ে খোকসায় পৌঁছাতে হয়। কিন্তু ঈদের আগের দিনে রওনা হয়ে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। কাউন্টার লোকাল পরিবহনগুলো তিন চারগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সে বছর রাস্তা ভাঙ্গাচোরা খবর আগেই পত্রিকায় এসেছিল। তাই যাত্রা বিড়ম্বনার কথা চিন্তা করে অধিকাংশ যাত্রীই অন্যভাবে ঢাকা ছেড়ে যায়। ফলে ঈদের আগের দিন বাস কাইন্টারে কোন কোন ভিড় ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ঈদের আগের দিন যাত্রী না পেয়ে বাস মালিকরা বিক্ষুব্ধ। ফাঁকা কাউন্টারে একটি পরিবহনের টিকেট নিলাম। কিন্তু এই অবস্থার জন্য পরিবহন মালিক শ্রমিকরা সাংবাদিকদের দুষছেন। আমার সামনে সাংবাদিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়ছিলেন। তারা বারবার বলার চেষ্টার করছিলেন সাংবাদিদের জন্য আজ এই অবস্থা। শাহীন রহমান ১৫ মিনিটে মেক্সিকোর ভিসা ১৮ মে, বৃহস্পতিবার। মেক্সিকোর কানকুন যাওয়া হচ্ছে না এমন হতাশা নিয়ে বাসা থেকে সচিবালয়ে এসেছি। ‘২০১৭ গ্লোবার প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিক্স রিডাকশন’ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে অফিস থেকে অনুমতিও নিয়েছি। এমনকি ভিসার জন্য ভারত যেতে হবে তারও অনুমতি নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত যাওয়া হচ্ছে না এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় খানিকটা হতাশ হয়েছি। সেই হতাশা নিয়েই সচিবালয়ে গিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ দুর্যোগ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল ভাইয়ের একান্ত সচিব শাব্বির ভাই ফোন করে ডাকলেন। কাছে থাকায় দ্রুত তার রুমে গিয়ে জানলাম বিকেলের ফ্লাইটেই দিল্লী যেতে হবে। আমাদের টিমের অন্যদের অফিসিয়াল পাসপোর্ট। শুধু আমার সাধারণ পাসপোর্ট। যে কারণে মেক্সিকোর ভিসার জন্য আমাকে দিল্লী যেতে হবে। আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে। দেরি না করে মন্ত্রণালয়ে আমার কিছু কাজ সম্পন্ন করেই সোজা অফিসে চলে আসি। অফিসে এসে দেখি আমাদের ডেপুটি এডিটর ওবায়েদ ভাই বেরিয়ে গেছেন। তিনি চীফ রিপোর্টারের দায়িত্বও পালন করেন। তাই সরাসরি দেখা না হলেও ফোনে জানিয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম। বিকেল ৫টায় ফ্লাইট। তাই বাসায় গিয়ে দ্রুত খেয়ে রেডি হয়ে বসে রয়েছি। মামুনুর রশিদ নামের এক সিনিয়র সহকারী সচিবও দিল্লী যাবেন সকলের ভিসা করাতে। বিলম্ব দেখে ওই কর্মকর্তাকে ফোন করলাম। তিনি জানালেন প্লেনের একটা টিকেট পাওয়া গেছে। যে কারণে তিনি রওনা দিয়েছেন বিমান বন্দরের উদ্দেশে। কথাটা শুনে মন খারাপ হলো। আমাকে কেউ কিছু জানাল না। কিছুটা ক্ষোভে, অভিমানে ফোন করলাম শাব্বির ভাইকে। তিনি জানালেন রাতে আমার ফ্লাইট। কিছুটা মন খারাপ হলেও তার কথায় আবার ঠিক হয়ে গেল। রাত সাড়ে ৯টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ধরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা পৌঁছে গেলাম কলকাতা বিমান বন্দরে। পরের দিন সকাল ৭টায় এয়ার ইন্ডিয়ার কানেকটিং ফ্লাইট ধরে দিল্লী পৌঁছানোর কথা আমার। রাতে কোথায় থাকব এমন প্রশ্নের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে খুঁজে বের করলাম। তাদের পরামর্শে এয়ারপোর্ট অথোরিটির সঙ্গে কথা বলতে তারা জানাল বিমানবন্দরে তাদের কোন হোটেল খালি নেই। জানতে চাইলাম মধ্যমগ্রামে গেলে সেখান থেকে এসে সকাল ৭টার ফ্লাইট ধরতে পারব কিনা। তারা জানালেন অতো সকালে কিছু পাবেন না। তার ওপর ভোরবেলায় না বের হওয়াই ভাল। বরং তারা এয়ারপোর্টের মধ্যে চেয়ারে বসেই রাতটা কাটানোর পরামর্শ দিলেন। ম্যাক্সিকো যাওয়ার অদম্য বাসনা সব কষ্ট ভুলিয়ে দিল। তাদের পরামর্শে চেয়ারে বসেই রাত কাটিয়ে দিলাম। সকালে যথারীতি ফ্লাইট ধরে সোয়া ৯টায় দিল্লী পৌঁছে গেলাম। দেরি হওয়ায় মামুন সাহেবের হোটেলে না গিয়ে সোজা ট্যাক্সি নিয়ে দিল্লীর বাংলাদেশ মিশনের উদ্দেশে রওনা দিলাম। ঠিকানা বলাতে এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি ছুটছে চানক্কাপুরির উদ্দেশে। সেখানে গিয়ে পড়লাম মহাবিপদে। একে তো শুক্রবার। শনি-রবি দুদিন ছুটি। ওদিকে ২২ মে সোমবার মেক্সিকোর উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা। এর ওপর বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিস খুঁজে পাচ্ছি না। টেক্সি নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছি। চালক লোকের কাছে জিজ্ঞাসা করে খেই হারিয়েছে ফেলেছে। আমার কাছে তখন কোন ফোনও নেই। এমন অবস্থায় মনে পড়ল দিল্লীর সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ীর কথা। চালকের ফোন দিয়ে ফোন করলাম গৌতমদাকে। ফোন বন্ধ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিনি কলকাতা সফর করছেন। মনে হলো এবার কি দিল্লী থেকে ফিরে আসতে হবে। হঠাৎ মনে পড়ল ভারতের টেলিগ্রাম পত্রিকার বিজিনেস এডিটর জয়ন্তদার কথা। তাকে ফোন দিলাম ওই মোবাইল থেকে। ফোনে পরিচয় দিতেই চিনলেন তিনি। তাকে অনুরোধ করলাম ট্যাক্সিচালককে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঠিকানাটা বলে দিতে। সহজে চিনতে পারল চালক। দ্রুত আমাকে পৌঁছে দিল। সাংস্কৃতি স্কুলের বিপরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে মিনিস্টার (প্রেস) ফরিদ ভাইর শরণাপন্ন হলাম। ফরিদ ভাই ঢাকায় দুর্যোগ সচিবের পিএসকে ফোনে মিলিয়ে আমাকে কথা বলিয়ে দিলেন। শাব্বির ভাই আমাকে সোজা মেক্সিকো দূতাবাসে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। দ্রুত চা খেয়ে ফরিদ ভাইয়ের অফিস থেকে বের হতে চাইলেই তিনি একটি গাড়িতে করে আমাকে মেক্সিকো দূতাবাসে পাঠিয়ে দিলেন। মেক্সিকো দূতাবাসের গেটে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় দেখি দাঁড়িওয়ালা ছোটখাটো সাইজের একটি লোক বাংলা ভাষায় তার বসকে ভিসা সংক্রান্ত কথা বলছে। কথা শেষ হতেই তার সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলাম তিনি বাংলাদেশী লোক এবং দিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশনে চাকরি করেন। তিনি মামুন সাহেবকে নিয়ে এসেছেন। মামুন সাহেব ভেতরে আছেন। তাকে অনুরোধ করলাম মামুন সাহেবকে ডেকে দিতে। মামুন সাহেব এসে আমাকে ভেতরে নিয়ে গেলেন। পাসপোর্ট জমা দিলাম। ফিঙ্গার প্রিন্টও নিল মেক্সিকো এম্ব্যাসির লোক। আমাকে ভিসা ফির জন্য ভারতীয় ২ হাজার ৩৪২ টাকা জমা দিতে বলল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে। সময় কম। তাই দ্রুত ছুটে গেলাম ব্যাংকে। কিন্তু ব্যাংক ডলার নেবে না। পড়লাম বিপদে। দ্রুত গিয়ে অনেক কম রেটে একশ’ ডলার বিনিময় করে টাকা জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে দিতেই নতুন বায়না। এবার আমার আয়কর সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট এবং চাকরির সময়কাল উল্লেখসহ অফিস থেকে স্যালারি সার্টিফিটের দিতে হবে। টাকা জমা দিতে বললে আমরা ধারণা করেছি ভিসা দিয়ে দিবে। সরকারী আদেশ (জিও) যেখানে রয়েছে, তাতে না দেয়ার কিছু নেই। দিনটি শুক্রবার অফিস, ব্যাংক সবকিছু বন্ধ। এমন সময় এই কাগজ দেয়া সম্ভব নয় জানিয়েও কোন লাভ হলো না। আমাদের হাইকমিশনের জাহিদ সাহেব ওদের কনসুলারকে অনুরোধ করলে তারা বলল অন্তত অফিস থেকে অথবা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে চাকরির সময়কাল উল্লেখসহ স্যালারি সার্টিফিটের দিতে। অবশেষে যুগ্ম-সচিব অর্ধেন্দুদা মন্ত্রণালয়ের প্যাডে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু এতে তারা আরও বেকে বসল। প্যাডে কোন মনোগ্রাম না থাকায় তারা মনে করল আমরা হয়তো দিল্লীতে বসে এই সার্টিফিকেট তৈরি করেছি। তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলাম এটাই মন্ত্রণালয়ের প্যাড। এই প্যাডের ওপর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এতেই দেশ চলে। জবাবে তারা বলে তোমার দেশের মন্ত্রণালয়ের মনোগ্রামওয়ালা প্যাড আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্যাড দেখাতে পারি। সচিবালয় বিট করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তেমন যাওয়া হয় না। পরে বুঝলাম এমন পরিস্থিতির কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়তো মনোগ্রামসহ রঙিন প্যাড তৈরি করেছে। তাই আমাদের ওপর তারা বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করতে পারছে না। এবার কঠোরভাবে বলল সোমবার আসেন এবং সকল কাগজপত্রসহ। আমাদের আর ভেতরে থাকতে দিল না। এদিকে অন্য পাসপোর্টগুলোতে ভিসা দিয়ে তা ফেতর দিয়েছে। আমারটার জন্য সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার পরও তা পাওয়া যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। এদিকে সোমবার ২২ মে মেক্সিকোর উদ্দেশে সকলের রওনা দেয়ার কথা। আমি বলে বসলাম ভিসার দরকার নেই। আমি দেশে ফিরে আসব। শাব্বির ভাই, ফরিদ ভাই আমাকে অপেক্ষা করে ভিসা নিয়ে দেশে ফিরতে বললেন। ফরিদ ভাই এবং জাহিদ ভাই বললেন, ভিসাটা নিয়ে রাখি মেক্সিকো যাই আর না যাই। অপেক্ষার পালা। অফিসে আমাদের জনকণ্ঠের নির্বাহী পরিচালক তোফায়েল ভাইকে বললে তিনি সহজেই ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিলেন আমার মেইলে। সিনিয়র রিপোর্টার রশিদ মামুন আমার ডেস্কটপে থাকা টিন সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিল। সব নিয়ে সোমবার বেলা ১১টায় জমা দিলাম। সবকিছু অর্জিনাল দেখে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ভিসা লাগিয়ে পাসপোর্ট দিয়ে দিল। সাড়ে তিনটায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ধরে কলকাতা। রাতের একই বিমানের ফ্লাইটে ঢাকা এসে পৌঁছলাম। পরদিন ২৩ মে মেক্সিকোর উদ্দেশে যাত্রা। তপন বিশ্বাস
×