ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুরনো নীতিমালার নানা অস্পষ্টতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কাঁকড়া রফতানি

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৫ আগস্ট ২০১৭

পুরনো নীতিমালার নানা অস্পষ্টতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কাঁকড়া রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রফতানিতে হিমায়িত চিংড়ি ও ইলিশের পর একক প্রজাতি হিসেবে কাঁকড়ার অবস্থান। অথচ রফতানিকারকরা বলছেন, দেড় দশকের পুরনো নীতিমালার নানা অস্পষ্টতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রফতানি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। অপ্রচলিত পণ্য হিসেবে আশির দশকে শুরু হয় কাঁকড়া রফতানি। বর্তমানে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ টন কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁকড়ার রফতানি মূল্য ৪০০-৫৫০ টাকা। সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে ১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রফতানি নীতিমালা করে সরকার। যেখানে পুরুষ কাঁকড়ার ক্ষেত্রে ২০০ গ্রাম আর নারী কাঁকড়ার ক্ষেত্রে ১৩০ গ্রাম ওজন নির্ধারণ করা হয়। রফতানিকারকদের অভিযোগ, নানা কারণে ২-৪টি কাঁকড়ার ওজনে হেরফের হলে পুরো শিপমেন্ট বাতিল করে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ লাইভ এ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গাজী আবুল হাশেম বলেন, ‘পানি জাতীয় জিনিস যেহেতু এতে পানি ঝরে। ঢাকায় এসে এয়ারপোর্টে যদি আমরা পাঠাই তাহলে ওখানে ষোলো কেজির একটা বাস্কেটের ভেতরে হয়তো দশ গ্রাম কম পেয়েছে। এরজন্য দেখা যায় আমাদের ফুল কনসার্টেন তারা বাতিল করে দিচ্ছে।’ বর্তমানে বড় রফতানি বাজার চীনে বাড়ছে মাঝারি কাঁকড়ার চাহিদা। কিন্তু মাঝারি কাঁকড়া রফতানির অনুমতি নেই দেশীয় ব্যবসায়ীদের। ফলে উপকূলীয় এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক ছোট-মাঝারি কাঁকড়া পাচার হচ্ছে মিয়ানমার ও ভারতে। পরে ওই দুইদেশ থেকে রফতানি হচ্ছে চীনে।
×