ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবি মুজিবনগরবাসীর

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৫ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবি মুজিবনগরবাসীর

সংবাদদাতা, মেহেরপুর থেকে ॥ আজ ১৫ আগস্ট। বাঙালী জাতির জীবনে নেমে আসে অন্ধকারময় দিন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, স্বাধীনতার সুতিকাগার মেহেরপুর জেলার ঐতিহাসিক মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে হত্যাযোগ্য, প্রতিরোধ, সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা এখনও দেশের বাইরে পালিয়ে আছে। তাই দ্রুত বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যক্রম শেষ করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জেলাবাসীর। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে স্বাধীনতা আর মুজিবনগর এ যেন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আজ থেকে ২৬০ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আবার সেই তৎকালীন প্রাচীন জেলা নদীয়া আর এক অংশে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় স্বগর্বে আত্মপ্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ বঙ্গবন্ধুর নাম অনুসারে বৈদ্যনাথতলা নাম বদলে নতুন নাম দেন মুজিবনগর। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের দাবি, যে মানুষটির জন্ম না হলে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেত না, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারত না। সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বরণে মেহেরপুর জেলায় একটি বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম তৈরি করা হোক। সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন জানান, এ দেশের মানুষকে অর্থনীতিকভাবে মুক্তি দেয়া, মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করার অধিকার দেয়া ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
×