ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় শোক দিবস

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১৫ আগস্ট ২০১৭

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানম-ির ৩২ নম্বর থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। ওই এলাকায় আজ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোও থাকছে কড়া নিরাপত্তায়। ধানম-ির ৩২ নম্বর এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে তল্লাশি চলছে। জাতীয় শোক দিবসের পরেও তল্লাশি অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যেই ধানম-ির ৩২ নম্বর এলাকার প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। আশপাশের ভবনগুলোতে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। আশপাশের রাস্তাগুলোতে বসেছে ঘন ঘন চেকপোস্ট। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব। আর সাদা পোশাকে প্রচুর পরিমাণ গোয়েন্দা সদস্য পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। বসানো হয়েছে দুটি কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে সব সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হচ্ছে। ধানম-ির ৩২ নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ট্রলিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ভ্যানিটিব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার, ফ্লাক্স, দিয়াশলাইসহ যে কোন ধরনের দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া ইতোমধ্যেই ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ধানম-িসহ নগরজুড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তার খাতিরে ধানম-ির ৩২ নম্বর এলাকার বিভিন্ন হোটেল ও বাসাগুলোতে তল্লাশি চলছে। পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহনের চলাচল। তিনি আরও জানান, জাতীয় শোক দিবসে ভোরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং কূটনীতিকরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তারা। ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, শোক দিবসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩২ নম্বরের আশপাশের বাসাবাড়ি, মেস, ছাত্রাবাস, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চলছে। শোক দিবসের পরেও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি অব্যাহত থাকবে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছেÑ যুদ্ধাপরাধ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিচারক ও প্রসিকিউটরদের। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। দেশের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ভবন, ঐতিহাসিক স্থান, উপাসনালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এসব স্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জঙ্গীসহ উগ্র মৌলবাদী রাজনৈতিক দল ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চলছে।
×