স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ শিরোনামে গানের সকল বৈধ-অবৈধ মিউজিক ভিডিও এবং টিজার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে। রবিবার দুপুরে ই-মেইল, ডাক ও কুরিয়ার যোগে গানটির প্রকাশক ‘বঙ্গ’সহ গানটির মডেল কুসুম শিকদার ও খালেদ হোসাইন সুজনকে আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকী রাগিব। নোটিসে বলা হয়, নেশা ভিডিওটি শুরুই হয় ‘চোখে আমার তোমার নেশা, শ্বাসে আমার তোমার নেশা, সারা দেহে তোমার নেশা, রগে রগে তোমার নেশা, তোমায় পান করে....জ্ঞান হারাই, হই মাতাল’ এমন ‘উত্তেজক’ কথার আবৃত্তি দিয়েই। তারপর একের পর এক আপত্তিকর, যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল দৃশ্য। নোটিসে আরও বলা হয়, ভিডিওটিতে ৫টি শাওয়ারের দৃশ্য, ৭টি সুইমিং পুলের দৃশ্য, ১টি শয্যাদৃশ্য ও ৩টি চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। গানের কথার সঙ্গে এসব দৃশ্যের কোন মিল বা সংযোগ নেই। নিতান্তই গানকে দ্রুত জনপ্রিয় করার সস্তা রাস্তা হিসেবে ওই সব দৃশ্য সংযোজন করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওটির কভার ছবিও অত্যন্ত অশ্লীল এবং আপত্তিকর। এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও তৈরি প্রকাশনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি আইন, ২০১২’র ৮ ধারামতে দ-নীয় অপরাধ। নোটিসে একইসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্যসচিবকেও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘নেশা’ ভিডিওটি সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে ইউটিউব ও অনলাইনে মিউজিক ভিডিওর নামে শরীর সর্বস্ব ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি ও প্রকাশনা মনিটরিং, রোধ ও বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে বর্তমানে অনলাইনে বিদ্যমান অশ্লীল ভিডিওগুলো সরানোর অনুরোধ করা হয়। আইনজীবী আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকী রাগিব বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গানটি না সরালে
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয় ৩ আগস্ট। ‘নেশা’ শিরোনামের গানটির কথা লেখার পাশাপাশি কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি। এই ভিডিওটি নির্দেশনা
দিয়েছেন যৌথভাবে শুভ্র খান ও শ্রাবণী। এতে কুসুমের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন সুজন। খোলামেলা উপস্থিতি ও গানের কথাগুলোকে অশ্লীল দাবি করে ভিডিওটি নিয়ে সমালোচনাকরেন অনেক শ্রোতা ও দর্শক।
