ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ পুনরুদ্ধার স্যালির

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৪ আগস্ট ২০১৭

স্বর্ণ পুনরুদ্ধার স্যালির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উসাইন বোল্ট আর মো ফারাহ- এ দুই কিংবদন্তির রাত ছিল শনিবার। লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৬০ হাজার দর্শক এসেছিলেন তাদের দেখার জন্যই। কারণ ক্যারিয়ারের শেষ রেসে অংশ নিয়েছেন এ দু’জনই একই রাতে। দুই কিংবদন্তি রেসারের বিষাদময় পরাজয়ে বিদায়ের রাতে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটেছে আরেক আকর্ষণ স্যালি পিয়ারসনের। অস্ট্রেলিয়ার এ ৩০ বছর বয়সী হার্ডলার আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলসে। পুনরুদ্ধার করেছেন ৬ বছর পর নিজের স্বর্ণপদক। ১২.৫৯ সেকেন্ড টাইমিংয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। বোল্ট আর ফারাহ যখন সবার দৃষ্টি নিজেদের ওপর ফিরিয়ে নিয়েছেন তখন আরেকটি আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল মেয়েদের ১০০ মিটার হার্ডলস। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের এই হার্ডলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন স্যালি। অবশ্য ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে প্রথম অংশগ্রহণেই রৌপ্য জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। কারণ ফেবারিটদের কাতারে বিবেচিত হননি সেবার। ২০১১ সালে বিশ্ব আসরেও স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। কিন্তু এরপর যেন দুর্ভাগ্য নেমে আসে তার ওপর। ২০১৩ সালে মস্কো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপসে রৌপ্য জিতে সবাইকে হতাশ করেছিলেন। এরপর দুই বছর নরক যন্ত্রণা সয়েছেন ইনজুরির কারণে। অংশ নিতে পারেননি ২০১৫ বিশ্ব আসরে এবং গত বছর রিও অলিম্পিকে। তাই স্বর্ণপদকগুলো দখলে গিয়েছিল অন্যদের। এবার সেটা পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লন্ডন এসেছিলেন ৩০ বছর বয়সী এ তরুণী। অবশেষে সেটা করতে পেরেছেন। ১২.৫৯ সেকেন্ডের টাইমিংয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নিয়েছেন। ১২.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডন হারপার-নেলসন রৌপ্য এবং জার্মানির পামেলা ডুটকিয়েভিজ ১২.৭২ সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে স্যালি বলেন, ‘সেটা সত্যিই ভয়ানক কঠিন সময় ছিল। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম। আমি জানি না কি বলতে হবে, শুধু জানি এটা অসাধারণ ব্যাপার। মনে হচ্ছে ২০০৮ সালে বেজিংয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রৌপ্য জয়ের মতো। কিন্তু সেবার তো আমি কোন ফেবারিটের তালিকাতেই ছিলাম না। এবারও তাই।’ জেতার পর নিজের মাকে খুঁজছিলেন স্যালি। স্টেডিয়ামেই কোন এক গ্যালারিতে স্যালির মা এ্যানে ম্যাকলিল্যান বসে ছিলেন কন্যার বিজয় দেখার আশায়। এ বিষয়ে স্যালি বলেন, ‘জানি না কোথায় আমার মা বসে আছেন। কেউ যদি তাকে দেখে থাকেন তবে এখানে আসতে বলুন আমি তাকে জড়িয়ে ধরতে চাই। ইনজুরি থেকে ফেরার পর দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়েছে আবার এই অর্জনের জন্য। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে এখন চ্যাম্পিয়ন হয়ে উদযাপন করাটা আমার কাছে কেমন জানি অপার্থিব অনুভূত হচ্ছে।’ ২০১৫ সালে হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল স্যালির। অস্থিরোগেও ভুগছিলেন। এমনকি আশঙ্কা করা হচ্ছিল একটি হাত কেটে ফেলার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
×