ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চামড়া পণ্য রফতানিতে আগ্রহী বাড়ছে উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১৪ আগস্ট ২০১৭

চামড়া পণ্য রফতানিতে আগ্রহী বাড়ছে উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উদ্যোক্তারা এখন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চামড়াজাত পণ্য এবং জুতা রফতানিতে। প্রক্রিয়াজাত চামড়ার চেয়ে এসব পণ্য রফতানিতে আয় যেমন বাড়ছে তেমনি তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। এরপরও ২৩ হাজার কোটি ডলারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবদান মাত্র সোয়া কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ সম্ভাবনা অনেক। তবে এজন্য দরকার সরকারের যথাযথ নীতি কৌশল এবং পরিচর্যা। সময়টা ৮০’র দশকের। তখনও পাটই প্রধান রফতানি পণ্য। শুধু প্রক্রিয়াজাত চামড়ার প্রথম ধাপ ওয়েটব্লু রফতানি করেই আয় হতো তৈরি পোশাকের চেয়েও বেশি। এরপর বদলেছে সময়। পালটেছে রফতানির ঝুড়িটাও। তৈরি পোশাক এক সময় দখল করে শীর্ষস্থান। চামড়া রফতানিতেও আসে পরিবর্তন। ওয়েটব্লু থেকে সরে এসে রফতানিকারকরা দেশের বাইরে পাঠাতে থাকেন ফিনিসড বা ক্রাসড লেদার। তবে গত কয়েক বছরে সেই ছবিটাও পাল্টাচ্ছে নতুন করে। বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড শপগুলো দখল করেছে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য এবং জুতা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, গত অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানি হয়েছে ২৩ কোটি ডলার। যেখানে চামড়াজাত পণ্য এবং জুতা রফতানি হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে শুধু জুতাই ৫৩ কোটি ডলারের মতো। বিশ্বব্যাপী চামড়া শিল্পের রফতানি বাজার ২৩ হাজার কোটি ডলার। যেখানে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ১২৩ কোটি ডলারের কিছু বেশি। তবে আশার কথা প্রতিবছরই এর পরিমাণ বাড়ছে।
×