ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পর্দা উঠলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের, আর্সেনাল ৪-৩ লিচেস্টার সিটি

ইপিএলে জয় দিয়ে শুরু আর্সেনালের

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৩ আগস্ট ২০১৭

ইপিএলে জয় দিয়ে শুরু আর্সেনালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের (ইপিএল) নতুন মৌসুম। টুর্নামেন্টের প্রথমদিনেই মাঠে নেমেছিল আর্সেনাল ও লিচেস্টার সিটি। দুই দলই ভক্ত-অনুরাগীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দিয়েছে। যদিও বা শেষের হাসিটা হেসেছে আর্সেনাল। সাত গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা এদিন ৪-৩ ব্যবধানে পরাজিত করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার সিটিকে। এমন জয় দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত গানারদের অভিজ্ঞ কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। ম্যাচ শেষে শিষ্যদের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন তিনি। নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ম্যাচ শুরুর ১৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই আর্সেনালকে প্রথম গোল উপহার দেন আলেক্সান্দ্রে লাসাজেত্তে। তবে পিছিয়ে পড়েই যেন জ্বলে ওঠে ২০১৫-১৬ মৌসুমেই রূপকথার জন্ম দিয়ে লীগ শিরোপাজয়ী লিচেস্টার সিটি। পঞ্চম মিনিটেই সমতায় ফিরে তারা। গোলদাতা শিঞ্জি ওকাজাকি। এরপর পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন জেমি ভার্ডি। ম্যাচের ২৯ মিনিটে তার করা গোলেই এবার এগিয়ে যায় সফরকারীরা। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই দলকে সমতায় ফেরান ড্যানি ওয়েলব্যাক। আর তাতেই এ্যামিরেটস স্টেডিয়ামে যেন স্বস্তি ফিরে আসে সমর্থকদের মনে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে আবারও স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশ করেন জেমি ভার্ডি। তার গোলেই এগিয়ে যায় লিচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সফরকারী দলটি। তবে ম্যাচের রোমাঞ্চ কিন্তু তখনও বাকি। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানেই দুই গোল করে বসে আর্সেনাল। ৮৩ মিনিটে এ্যারন রামসির গোলে সমতায় ফিরে গানাররা। আর ৮৫ মিনিটে অলিভিয়ের জিরুডের গোলে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসায় স্বাগতিক সমর্থকদের। এই গোলের সৌজন্যেই যে ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমেই আর্সেনালের হয়ে এ্যামিরেটস স্টেডিয়ামে ৫০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন জিরুড। ম্যাচ শেষে আর্সেনালের অভিজ্ঞ কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার বলেন, ‘রক্ষণাত্মক খেলে আমরা ভাল করব এটা জানাই ছিল। তবে সর্বোপরি আমরা একটি শীর্ষসারির ম্যাচই উপহার দিয়েছি।’ সেইসঙ্গে জয়ের নায়ক অলিভিয়ের জিরুডের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ আর্সেন ওয়েঙ্গার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তো অবশ্যই মানুষ হিসেবেও তাকে (জিরুড) খুব ভাল লাগে আমার। এটা সত্য কথা যে, স্ট্রাইকারদের না খেলাতে পারলে তাদের খুশি রাখাটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের দলে যে কজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রয়েছে তারা প্রত্যেকেই খেলার যোগ্য।’ বর্তমান বিশ্ব ক্লাব ফুটবলে সব তারকা ফুটবলাররাই টাকার পেছনে ছোটে। অথচ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম জিরুড। তাই তো এ বিষয়ে ওয়েঙ্গার বলেন, ‘মানুষ হিসেবে সে চমৎকার। এটা আমাকে বলতেই হবে। সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সে এই ক্লাব ছাড়তে চায় না বরং সে এখানেই থাকতে চায়। আমি এতে খুবই আনন্দিত।’ ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন জয়ের নায়কও। জিরুডের বিশ্বাস ছিল পিছিয়ে পড়লেও তার দল জিতবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি জানতাম যে, আমাদের সুযোগ তৈরি হবে সে জন্যই আমি চেষ্টা চালিয়ে গেছি। আমাদের ওপর বিশ্বাস ছিল এবং ম্যাচে কঠোর পরিশ্রম করার যে চেষ্টা সেটাও চালিয়ে গেছি। ম্যাচের শেষদিকে আমরা সত্যিই অসাধারণ খেলেছি। এজন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।’ নিজেদের এমন পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন দলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক পিওতর চেকও। তিনি বলেন, ‘শুরুটা আমাদের খুব ভাল হয়েছিল। ভেবেছিলাম ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই রাখতে পারব কিন্তু ম্যাচে আমরা কিছু ভুল করে ফেলি যার শাস্তিও পেয়ে যাই খুব দ্রুত। তাদের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে আমরা খুব চাপের মধ্যে পড়ে যাই। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা ম্যাচটা জিতেছি। এ রকম একটা ম্যাচ খেলা সত্যিই অসাধারণ ব্যাপার।’ এদিকে হার দিয়ে লীগের প্রথম ম্যাচ শুরু করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন লিচেস্টার সিটির কোচ ক্রেইগ সেক্সপিয়ার।
×