ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১৩ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শোকের মাস আগস্টে সহজাতভাবেই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে জাতির জনকের নামটি। গান, কবিতা কিংবা বক্তার আলোচনায় স্মরণ করা হচ্ছে স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে। শনিবার তেমনই এক আয়োজনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির জনকের প্রতি অনুরাগ প্রকাশের এ আয়োজনটি করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। বৈকালিক এ স্মরণানুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত আলোচনার সঙ্গে ছিল কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনা। শনিবার বিকেল আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্বে বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা থেকে পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী ফয়জুল্লাহ সাঈদ। কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী সাবিরা মাহবুব জনি। সঙ্গীত পরিবেশন করে মুক্তবিহঙ্গ একাডেমি, ইস্কাটন গার্ডেন হাই স্কুল ও হযরত শাহ আলী মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। একান্ত সচিব হওয়ার কারণে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। অবলোকন করেছেন বঙ্গবন্ধুর নানা কর্মপন্থা, রাষ্ট্রদর্শন ও ব্যক্তিজীবন। সেই আলোকে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত উদার ও মহানুভব মানুষ। দয়া, ক্ষমা, মহত্ব শব্দগুলো তাঁর সঙ্গে যুৎসই। সেই উদারতার সুযোগ পেয়েই যড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রের কথা বঙ্গবন্ধুর কানে আসত। হেসে উড়িয়ে দিতেন তিনি। বিশ্বাস করতেন, কোন বাঙালি তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারে না। মানুষের প্রতি তাঁর ছিল অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালীন সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহর আচরণকে দেশদ্রোহিতা উল্লেখ করেন মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ বলেছেন অফিসাররা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা জানত। যড়ষন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। তখন সেনাপ্রধান হয়ে তিনি কেন কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে আলোকপাত করে ফরাসউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বল্পসময়েই একটি যুগান্তকারী আদর্শ সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। প্রতিটি নাগরিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার সুরক্ষার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তি মালিকানা, সমবায় ও রাষ্ট্রায়ত্তÑএই তিন স্তরের মালিকানা পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের চেষ্টা চালান। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অনুসরণ করে ইতোমধ্যে দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী ও সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাঁর স্বপ্ন সফল হবে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব হবে।
×