ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আল্লামা শফির ভারতে চিকিৎসা নিয়ে নানা প্রশ্ন

সঙ্গী হাতছাড়া’ হওয়ার ভয় বিএনপি জামায়াতীদের

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১৩ আগস্ট ২০১৭

সঙ্গী হাতছাড়া’ হওয়ার ভয় বিএনপি জামায়াতীদের

বিভাষ বাড়ৈ ॥ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেও দুই ছেলে ও কয়েক নেতাকে নিয়ে হেফাজতের আমির আহমেদ শফীর ভারতে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধছে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের সমর্থনপুষ্টদের মাঝে। কথায় কথায় যিনি প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নাস্তিক, ইসলাম বিরোধী ও ভারতপন্থী বলে কতল করার হুমকি দেন সেই হেফাজতের আমিরের ভারতে চিকিৎসা গ্রহণ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা। এতদিন ধরে বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিক ফায়দা দিয়ে হঠাৎ শফী ভারতে যাওয়ায় ‘সঙ্গী হাতছাড়া’ হওয়ার ভয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের মাঝে। আপোস করতেই শফী ভারতে গিয়েছিলেন এমন আশঙ্কায় চিন্তিত বিএনপির হাইকমান্ডও। গত ৫ আগস্ট রাতে আহমেদ শফী দেশে ফেরার পর বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন নেতার সন্দেহজনক তৎপরতা নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন হেফাজতের কয়েক নেতা। তারা বলেছেন, এখনই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি না, তবে হুজুর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে তার মর্যাদা নষ্ট করতে যেসব তৎপরতা চলেছে তা আমরা সহ্য করব না। হুজুর দেশে আসার পরও সন্দেহবশত অপপ্রচার চলছে। গোপনে বিভিন্ন নেতার মাধ্যমে খোঁজ নেয়া হচ্ছে যে হুজুর ভারতে কি কি করেছেন? এসব তৎপরতা শুরু হয়েছে হুজুর চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর থেকেই। আল্লামা শফীর ভারত সফরকে পুঁজি করে কথিত সুশীল সমাজের কতিপয় কর্তাব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজত নেতারা। জানা গেছে, বিশ্বের বহু দেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকার পরও এতদিনের প্রতিপক্ষ ভারতেই আহমদ শফীর যাওয়ার ঘটনা নিয়ে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ২০ দলীয় নেতা ও তাদের আশীর্বাদপুষ্টরা। ‘আল্লাহর ওপর আস্থা না রেখে আল্লামা শফী ভারত গেছেন‘ ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিএনপির বুদ্ধিজীবীদের দেয়া এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দিয়ে হেফাজত নেতারা বলেছেন, কেন চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বারণ নাকি? বিধর্মী দেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে ইসলামে কোন বিধিনিষেধ নেই। এতে আল্লাহর ওপর আস্থাও নষ্ট হয় না। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে আল্লাহর ওপর আস্থা রেখেই আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গংয়ের কেন এত মাথা ব্যথা, জাতি তা জানতে চায়। দুই সপ্তাহ ভারতের এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ৫ আগস্ট শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির। রাতে তিনি দিল্লী থেকে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে আরও একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। সড়কপথে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছান। হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, বর্তমানে হুজুরের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভাল। তিনি স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া এবং কথাবার্তা বলছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৯ জুলাই তাকে ছাড়পত্র দিয়েছিল, গত সাতদিন তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ছিলেন। ভারত যাওয়ার আগে ১৮ মে বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হলে আহমদ শফীকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৬ জুন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ঢাকায় আজগর আলী হাসপাতালে এক মাস ৪দিন চিকিৎসা শেষে ১০ জুলাই তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে হেফাজত আমিরই। তার সন্তানরাও একই মত দেন। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার তত্ত্বাবধানে থাকার সুযোগ হওয়ায় আমিরের মতে সম্মতি দেন হেফাজতের অধিকাংশ সিনিয়র নেতা। ২২ জুলাই চিকিৎসার জন্য ভারতে যান আহমদ শফী। দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেফাজত আমিরকে স্বাগত জানান ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আলহাজ সৈয়দ আরশাদ মাদানী। শফীর সঙ্গে ছিলেন তার দুই ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ আনাস মাদানী ও মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা শফীসহ কয়েক হেফাজত নেতা। তবে ভারতে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা আলোচনা। হেফাজতবিরোধী প্রগতিশীল শক্তি এমনকি সরকার সমর্থক নেতারাও এ ইস্যুতে ছিলেন নীরব। তবে হেফাজত আমিরের বিষয়ে সন্দেহের কথা গোপন রাখতে পারেননি সরকার বিরোধী মৌলবাদীরা। বিএনপির বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে জামায়াত মদদপুষ্ট উগ্রবাদী সংগঠনগুলো বক্তব্য- বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, হেফাজত আমিরের ভারতে চিকিৎসার নামে আপোসের খেলা শুরু হয়েছে। চিকিৎসার জন্য আল্লামা শফীর দিল্লী গিয়ে দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান করা, হেফাজতের অন্য নেতাদেরও ঘনঘন দিল্লী যাতায়াত ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করার দাবি তুলে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী কথিত আলেমদের একটি গ্রুপ। গ্রুপটি অভিযোগ তুলেছে খোদ হেফাজত আমিরকে নিয়েই। বলেছে, ভক্ত ও মুরিদরা আল্লামা শফীকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার অফার দিলেও তিনি তা গ্রহণ না করে কোন্ যুক্তিতে দিল্লী গেলেন তা সারাদেশের আলেম-ওলামা ও তইহদী জনতার বোধগম্য নয়। আমরা দিল্লীতে তার চিকিৎসা স্বাভাবিক বলে মনে করি না। মুফতি ফজলুল হক আমিনীর পুত্র আবুল হাসানাত আমিনী ও অপর এক হেফাজত নেতা একই সময় দিল্লী গিয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠক করে এসেছেন বলেও দাবি তুলেছেন ইসলামী শক্তির দাবিদার কেউ কেউ। হেফাজত নেতারা অভিযোগ করেছেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পরই অপপ্রচার শুরু করেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শ অনুসারেই জাফরুল্লাহ এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে মনে করছেন তারা। জানা গেছে, জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির একটি সংগঠনের আলোচনা সভায় চিকিৎসার জন্য হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর ভারতে যাওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার ভারতবিরোধী মনোভাবের চিত্রও। বিএনপিপন্থী এ পেশাজীবী নেতা বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ভারত সম্পর্কে সাবধান হতে হবে। আমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান অন্তরায়। দুর্ভাগ্যবশত, যারা খোদাতে বেশি বিশ্বাস করেন, আমাদের খোদার পথে নিয়ে যেতে চান, সেই আল্লামা শফীও খোদার ওপর আস্থা না রেখে ভারতীয় হাসপাতালের ওপর আস্থা রেখে ভারতে রওনা হয়ে গেছেন। আমাদের সমস্যা হলো এখানেই। ভারত বাদ দিয়ে শফীকে ‘আল্লাহর’ ওপর ভরসা করার পরামর্শ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ। বলেন, আমি তাকে বলবÑ খোদার প্রতি আস্থা রাখেন, উনি যদি না বাঁচায় ভারতীয় হাসপাতাল কি আপনাকে বাঁচাতে পারবে? এদিকে আল্লামা শফীর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার বিষয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর দফতর সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন। তিনি বলেন, বিধর্মী দেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে ইসলামে কোন বিধিনিষেধ নেই। এতে আল্লাহর ওপর আস্থাও নষ্ট হয় না। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে আল্লাহর ওপর আস্থা রেখেই আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তুবিষয়টি নিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী গংয়ের কেন এত মাথা ব্যথা, জাতি তা জানতে চায়। আমরা তার এমন দায়িত্বহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হেফাজত নেতা মাওলানা আলতাফ হোসাইন আমিরের চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি না করার আহবান জানিয়ে বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আল্লামা শফীর ভারত সফরকে পুঁজি করে কথিত সুশীল সমাজের কতিপয় কর্তাব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারায় লিপ্ত। আমরা তাদেরকে এসব পাঁয়তারা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। দিল্লী হাসপাতালে আহমদ শফীর চিকিৎসা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে হেফাজত নেতাদের অবস্থান নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদ। বিএনপি-জামায়াত মদদপুৃষ্ট এ সংগঠনের সঙ্গে আছেন বহু মৌলবাদী নেতা। এতদিন হেফাজতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সরকার বিরোধী তৎপরতা চালালেও এখন সংগঠনটির আলেম-ওলামারা আর আহমদ শফী, তার সন্তানসহ নেতাদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। সংগঠনটির নেতারা বিবৃতি দিয়েই বলেছেন, আল্লামা শফীর চিকিৎসার জন্য দিল্লী গমন ও দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান, হেফাজতের অন্য নেতাদেরও ঘনঘন দিল্লী যাতায়াত ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে দেশের সাধারণ আলেম সমাজ, ঈমানী আন্দোলনের নেতাকর্মী ও তওহিদী জনতা উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে বলেছেন, গত জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বপ্রিয় জাতি উৎকণ্ঠিত। এমন সময় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দিল্লী থেকে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার বার্তা দিয়ে পাঠানোর পরপরই শফীর সদলবলে ভারতে যাওয়া নিয়ে জাতি চিন্তিত। মুফতি আমিনীর পুত্র আবুল হাসানাত আমিনী ও অপর এক হেফাজত নেতা একই সময় দিল্লী গিয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠক করে এসেছেন বলে দাবি করছে সংগঠনটি। এসব কর্মকা- আগামী নির্বাচনের জন্যই এমন আশঙ্কা করে বিএনপি-জামায়াতপন্থী এ সংগঠনটি বলছে, এসব ভাল আলামত নয় বিধায় ইসলামপ্রিয় জনতা খুবই চিন্তিত। স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা ওমর ফারুক খোদ আহমদ শফীর বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, ভক্ত ও মুরিদরা আল্লামা শফীকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়ার অফার দিলেও তিনি তা গ্রহণ না করে কোন্ যুক্তিতে দিল্লী গেলেন তা বোধগম্য নয়। আমরা তার দিল্লীতে চিকিৎসা স্বাভাবিক বলে মনে করি না। জানা গেছে, এসব সংগঠনের বাইরেও বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্নভাবে গোপনে খোঁজখবর নিচ্ছেন হেফাজতের আমিরের বিষয়ে। সন্দেহ থেকেই এসব খোঁজখবর নিয়ে ক্ষুব্ধ হেফাজতের অনেক নেতা। দেশে ফেরার পর কয়েক দিন ধরে বিএনপি-জামায়াতের হাইকমান্ড থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করার ঘটনা নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ। হেফাজতের অন্যতম নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলছেন, হুজুর স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছিলেন না, বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যায় ভুগছেন। ইতোপূর্বেও তিনি ভারতের এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বিধায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি দিল্লীর এ্যাপোলো হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন। হেফাজতের এ সাংগঠনিক সম্পাদক সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীন বাংলা ওলামা পরিষদ নামের ভুঁইফোড় একটি সংগঠন উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি প্রচার করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই এ রকম বানোয়াট বিবৃতি হুজুরের মানহানি করার চক্রান্ত। আল্লামা আহমদ শফী কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। তাকে নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার মানে হয় না। বাংলাদেশের কোন ভুঁইফোড় সংগঠন বা কোন অখ্যাত ব্যক্তির কথায় শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন হেফাজতের এ নেতা।
×