ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় খেয়াঘাটে বাড়তি টোল আদায় ॥ দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৩ আগস্ট ২০১৭

কলাপাড়ায় খেয়াঘাটে বাড়তি টোল আদায় ॥ দেখার কেউ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১২ আগস্ট ॥ কলাপাড়ায় বালিয়াতলী খেয়াঘাটে চলছে ফ্রি স্টাইলে চাঁদাবাজি। সরকার নির্ধারিত ভাড়া চার টাকা। সন্ধ্যা পর্যন্ত চার টাকার বদলে জনপ্রতি আদায় হচ্ছে ১০ টাকা। হাতে মুরগি কিংবা ছোট বাজারের ব্যাগ থাকলে তার জন্য আরও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এসব চলছে প্রকাশ্যে। দেখার কেউ নেই। রাত হলে তো গলাকাটা বাণিজ্য। কুড়ি-পঞ্চাশ টাকা। যেন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর স্পটে পরিণত হয়েছে খেয়াঘাটগুলো। নিত্যদিন অন্তত পাঁচ হাজার যাত্রী এখানে চাঁদাবাজির শিকার হন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের সভায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অভিযোগে বালিয়াতলী খেয়াঘাটের ফেরির বডিতে টোল রেট লেখা হয়েছে। তা কে যেন কাদায় লেপ্টে দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৯ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্ধারিত টোল রেট অনুসারে খেয়া পারাপারে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রীপ্রতি ভাড়া চার টাকা। বৈঠাচালিত নৌকায় দুই টাকা। মোটরসাইকেল ১০ টাকা। বাইসাইকেল চার টাকা। ছাগল/ভেড়া চার টাকা। গরু/মহিষ ১০ টাকা। বিভিন্ন মালামাল ৪০ কেজি পর্যন্ত তিন টাকা এবং রিক্সা-ভ্যান ছয় টাকার টোল চার্ট করা হয়। কলাপাড়ায় মোট ২১টি খেয়াঘাট ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকজন নারী অভিভাবক এসব খেয়াঘাটে ছাত্রীদের যাওয়া-আসার কালে বখাটেপনার অভিযোগ করেন প্রকাশ্যে। বিশেষ করে বালিয়াতলী, লোন্দা, পৌর শহরের কলাপট্টি, ফেরিঘাট, তেগাছিয়া, মহিপুর-আলীপুর, হাজীপুর, ফুলবুনিয়া, আনিপাড়া, চিঙ্গুরিয়াসহ সবকটি খেয়াঘাটের চিত্র এক। বিষয়টি বিভিন্ন সময় উপজেলা আইনশৃঙ্খলার সভায় উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ মানুষ খেয়া পারাপারের অনিয়ম আর চাঁদাবাজিতে প্রচ- ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। এ বিষয়ে বালিয়াতলী খেয়াঘাটের ভাড়া আদায়কারী মুসা গাজী জানান, তারা বেশি টাকায় ইজারা নিয়েছেন। সে কারণে চার টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নিচ্ছেন। এর কম নিলে তাদের লস হবে। তবে কারও কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় করছেন না বলে তার দাবি।
×