ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় সড়ক সংস্কার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৩ আগস্ট ২০১৭

কলাপাড়ায় সড়ক সংস্কার  দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১২ আগস্ট ॥ নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজার ভায়া- লোন্দা সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় ধানখালীর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। কোন ধরনের যান চলাচল উপযোগিতা নেই। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার পাঁচ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর ক্লাসে যাওয়া-আসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। সড়ক দিয়ে খালি পায়ে পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। তাদের জামা-কাপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। খানাখন্দের মধ্যে এখন সড়কটির বেহালদশা। হাঁটুসমান কিংবা তারচেয়েও গভীর গর্ত হয়ে গেছে। এভাবে প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়কটির বেহালদশা নিরসনে শনিবার দুপুরে ধানখালী ডিগ্রী কলেজের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কলেজবাজার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে স্থানীয় লোকজনও অংশ নেয়। তারা এ সড়কটি যে কোন মূল্যে মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শ্রাবণী জানায়, এখন আর রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। লোন্দা থেকে প্রায় ১০কিমি সড়কে আসতে এখন জীবনযুদ্ধ করতে হয়। জামাকাপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। সপ্তাহে দ’একদিনও ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। একই বক্তব্য ঝিনিয়া, সোনিয়া, ইশার। প্রথম বর্ষের মাওয়া, কালাম জানায়, এখন তাদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা, শিলা বেগম, সাথী আকতার জানান, তাদের কলেজে আসা-যাওয়ার সমস্যার যেন শেষ নেই। কোন যানবাহনে চলাচল করতে পারছে না এসব শিক্ষার্থী। মাইলের পর মাইল খালি পায়ে, স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থী এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। সকলের অভিযোগ, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত প্লান্টের মালবাহী ভারি যানবাহন চলাচল করে সড়কটির সিলকোট উপড়ে এখন সোতাখালে পরিণত হয়েছে। এছাড়া এঙ্করসহ বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট বোঝাই ভারি যানবাহন চলেও এমন ক্ষতি করা হয়েছে। জানা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার আট শ’ শিশুর অর্ধেক স্কুলে আসতে পারছে না এই সড়কের বেহাল দশার কারণে। মোট কথা সড়কটি এখন ধানখালীর সকল শ্রেণীর মানুষের শুধু দুর্ভোগ নয়, দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
×