ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে লবণের দাম দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০১৭

সিন্ডিকেটের কারসাজিতে লবণের দাম দ্বিগুণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় ধরনের সঙ্কট না থাকা সত্ত্বেও শুধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজির মুখে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের লবণের বাজার। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণের দাম বেড়েছে প্রায় ৬শ’ টাকা। যা প্রকৃত দামের দ্বিগুণ। আর দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোরা এবং বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে। লবণের দাম বাড়ানোর লাগাম টানা না হলে আসন্ন কোরবানির ঈদে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৪ কেজির প্রতিবস্তা লবণ বিক্রি হয় ৭শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায়। মার্চ-এপ্রিলে এসে ঠেকে হাজার টাকায়। আর বর্তমানে মিল পর্যায়ে প্রতিবস্তা লবণ ১১শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে দাম পড়ছে সাড়ে ১২শ’ টাকা। অথচ এ সময় লবণের তেমন কোন বাড়তি চাহিদা ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে লক্ষ্য রেখে গুদামজাতের মাধ্যমে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পর্যায়ক্রমে লবণের দাম বাড়ানো হয়েছে। দেশে বছরে ১৬ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন খাবার লবণের চাহিদা রয়েছে। তার সঙ্গে কোরবানির ঈদে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য আরও অন্তত ২ থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়। এর মাঝে কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় সমুদ্রের পানি থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় মোরা ও লাগাতার বৃষ্টি কারণে প্রায় দু’লাখ মেট্রিক টন লবণ মাঠে নষ্ট হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কোরবানির ঈদের ২০ থেকে ২৫ দিন বাকি থাকলেও চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ইতোমধ্যে লবণ কেনা শুরু করে দিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে লবণের দাম আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চামড়া ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েছেন।
×