ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খায়রুল হকের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

খায়রুল হকের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিষয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ ও গ্রেফতার দাবি করেছে বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা। শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে তারা এ দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আদালতকে হেয় করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে ও শীঘ্রই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরিবিধির গেজেট প্রকাশের দাবিতে আগামী রবি, বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদেশের সকল বারে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচী ঘোষণা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অপসারণ দাবি করে দেয়া খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। খাদ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি কোন নৈতিকতা নিয়ে কথা বলছেন? আপনি কি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন? কামরুল সাহেব, নিজের দিকে তাকালে লজ্জা করে না আপনার? আপনি তো সর্বোচ্চ আদালতে দোষী ও দ-িত অপরাধী। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ ভঙ্গ করে এখনও মন্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। যিনি পচা গমের বেসাতি করেন তিনি প্রধান বিচারপতিকে চলে যাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন। রিজভী বলেন, একজন মন্ত্রীর বিচার বিভাগের সমালোচনা করা জাতির জন্য লজ্জাকর। তবে এটাই স্বাভাবিক যে, দ-িত অপরাধীরা সত্য ও ন্যায়বিচার সহ্য করবে না। তারা আইনের শাসনের কথা শুনলেই আঁতকে উঠবে। খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি হুমকি। সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক নিজের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণ লঙ্ঘন করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি তার ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলেছেন, বিচারপতিদের অবসরে যাওয়ার পরে কোন সরকারী দায়িত্ব নেয়া উচিত নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
×