ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী ও ঢাকা চিড়িয়াখানার সঙ্গিনী পাচ্ছে ঘড়িয়াল

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১২ আগস্ট ২০১৭

 রাজশাহী ও ঢাকা  চিড়িয়াখানার সঙ্গিনী পাচ্ছে ঘড়িয়াল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার দুটি স্ত্রী ঘড়িয়ালের একটিকে নিয়ে যাওয়া হলো ঢাকায়। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে পুরুষ একটি ঘড়িয়াল নিয়ে আসা হবে এখানে। বিপন্ন প্রাণীটির বংশ বিস্তারের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী চিড়িয়াখানার পুকুর থেকে স্ত্রী ঘড়িয়ালটিকে ধরা হয়। শনিবার ঢাকায় সেটিকে ছাড়া হবে। ওইদিনই ঢাকা থেকে পুরুষ ঘড়িয়াল নিয়ে রাজশাহীতে নেয়া হবে। রবিবার তা রাজশাহীর চিড়িয়াখানার পুকুরে অবমুক্ত করা হবে। রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রিয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ ফারহাদ জানান, ঘড়িয়াল বাংলাদেশে একটি বিপন্ন প্রাণী। দিনে দিনে এদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। বর্তমানে দেশে ঘড়িয়াল দেখা ভার। তিনি বলেন, রাজশাহী চিড়িয়াখানায় দুইটি স্ত্রী ঘড়িয়াল আছে। যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। পদ্মা নদীতে মাছ মারতে গিয়ে জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল ঘড়িয়ালগুলো। জেলেরা সেগুলো ধরে চিড়িয়াখানায় দিয়েছিল। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় যে কয়টি ঘড়িয়াল আছে সব পুরুষ। সে কারণে প্রজনন করানো সম্ভব হচ্ছিল না। দুই চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণিটির প্রজনন বৃদ্ধি করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বংশ বিস্তার করতে পারবে দুই চিড়িয়াখানার ঘড়িয়াল। প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ ফারহাদ বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঘড়িয়ালদের প্রজনন মৌসুম। একবারে প্রজননে ৩৫ থেকে ৪০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে তারা। সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এরা ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পরে গর্ত খুঁড়ে তা ঢেকে রাখে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নেয় ৭০ থেকে ৯০ দিন। রাজশাহী চিড়িয়াখানার যে পুকুরে ঘড়িয়াল থাকে সেখানে ডিম পাড়ার পরে গর্ত করে রাখার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। সে কারণে বর্ষা শেষ হয়ে গেলে পদ্মা নদী থেকে মোটা বালি পুকুরটির একাংশে ফেলা হবে। যেখানে ঘড়িয়াল ডিম পাড়তে পারবে। ডাঃ ফরহাদ জানান, ঘড়িয়াল বিনিময়ের পাশাপাশি ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৪টি রঙিন ময়ূর নিয়ে আসা হবে রাজশাহীতে। এদের দুটি পুরুষ ও দুইটি নারী। ময়ূরগুলোর এখানে প্রজনন করে বংশ বিস্তার করানো হবে।
×