শিয়া শাসিত ইরানসহ কয়েকটি সুন্নী রাষ্ট্র, ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের ধ্বংস সাধনে মতৈক্যে পৌঁছেছে। তবে, এই জঙ্গীগোষ্ঠীর পুরোপুরি বিলোপ সাধনের পর কোন্ শক্তি এর স্থান দখল করবেÑ কী নামে এটি পরিচিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
৯৪ বছর বয়স্ক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক আইসিস পরবর্তী সময়ের এই এলাকার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কেমন হতে পারেÑ এ প্রসঙ্গে তার সুচিন্তিত মন্তব্য তুলে ধরেছেন। কিসিঞ্জার এক নিবন্ধে বলেন, পুরনো জ্ঞানগর্ভ উক্তি বা প্রবচন অনুসারে শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তাতে শত্রুর শত্রুÑ আরেক শত্রুতে পরিণত হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ঘটনাপ্রবাহ ও আদর্শিক দ্বন্দ্ব বিশ্বকে এক সঙ্কটাপন্ন অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শিয়া শাসিত ইরান ও সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় সুন্নী দেশগুলো আইসিস জঙ্গীদের পতন চায়। কিন্তু এই জঙ্গী রাষ্ট্রের চূড়ান্ত পতনের পর, এসব জঙ্গীদের দমনের কাজে নিয়োজিত ইরানী বাহিনী বা রেভ্যুলিউশনারি গার্ড ইসলামিক জঙ্গীদের পরিত্যক্ত ভূমি দখল করে নিলে ইরানী ভূখ- তেহরান থেকে লেবাননের বৈরুত পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। কেননা লেবাননের ইরানপন্থী হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। এবং এই বিশাল ভূখ-ে প্রতিষ্ঠিত হবে শিয়া মৌলবাদী শাসন।
মুসলিম বিশ্বে শিয়া-সুন্নী দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়Ñ কিন্তু ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের দমনে এই দুই মতাবলম্বী শক্তি এক হয়ে যুদ্ধ করে গেছে। কিন্তু সুন্নী রাষ্ট্র সৌদি আরব বর্তমানে ইয়েমেন ও কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে আইএস পরিত্যক্ত ভূমি তার আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে না।
মাঝখানে ইরান এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলে তার মৌলবাদী সাম্রাজ্য গড়ে তুলবে। কিসিঞ্জার এ ধরনের মন্তব্য এবারই প্রথম করলেন তা নয়, গত বছরও তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্য ইরানের আধিপত্যবাদী শক্তির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: