ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা- নিয়ে কাহিনী চিত্র ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১২ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা- নিয়ে কাহিনী চিত্র ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঙালী জাতির জীবনে সর্বাঙ্গীনভাবে একটি কালো দিবস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই কালো দিবসেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, দেশের শ্রষ্ঠা, আবহমান বাংলা ও বাঙালীর আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে রচিত হয় এক কলঙ্কিত ইতিহাস। যেদিন রাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছিলেন ঠিক সেদিন সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে হারানো ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ উপলক্ষে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবর্ধনা নিতে আসার কথাও ছিল। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বাঙালীর হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে ফিরে আসে। এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘মহামানবের দেশে’ নামক গল্প লিখেছেন নাট্যকার ও গীতি কবি সহিদ রাহমান। গল্পটি ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ নামে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন মান্নান হীরা। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে পূবাইল ও উত্তরায় টানা ৭ দিন শূটিংয়ের মাধ্যমে এই কাহিনী চিত্র নির্মিত হয়েছে। কাহিনী চিত্রের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের প্রখ্যাত দুই অভিনেতা তারিক আনাম খান ও ফজলুর রহমান বাবু। প্রধান নারী চরিত্রে রয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শর্মীমালা। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন মঞ্চ ও টেলিভিশনের দাপুটে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। কাহিনী চিত্রটি প্রসঙ্গে নাট্যকার সহিদ রাহমান বলেন, প্রতিটি বাঙালী বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি ঋণী। সেই ঋণ তো কোন দিন শোধ করার মতো নয়। তবুও তার আদর্শ কত তীব্রভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশের প্রতি ভালবাসা জাগিয়েছিল তা দেখানোর চেষ্টা করেছি। এটা আমার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋণ শোধের অতি ক্ষুদ্রতম প্রয়াস। বরেণ্য অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্পে অভিনয়কে শুধু অভিনয় নয়, দায়বদ্ধতা মনে করি। নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাই এই কাহিনী চিত্রে কাজ করতে গিয়ে বার বার মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে ফিরে গেছি। সহিদ রাহমান একটি সত্য ঘটনার সঙ্গে দারুণ আবেগিক একটি গল্প লিখেছেন। আশা করি কাহিনী চিত্র মানুষকে তাড়িত করবে। অভিনেত্রী শর্মীমালা বলেন, আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তাই সেই সময়ের গল্পে কাজ করতে গিয়ে বেশ পড়াশোনা করতে হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা তার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে যুদ্ধে গেল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। খুবই আবেগিক গল্প, মন দিয়ে কাজ করেছি। আশা করছি দর্শক এই কাহিনী চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে নতুন মাত্রায় আবিস্কার করবেন। ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ কাহিনী চিত্রটি আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী দিবস উপলক্ষে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে বলে জানা গেছে।
×