ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রানাতুঙ্গার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুরলিধরন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

রানাতুঙ্গার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুরলিধরন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার করা ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার মুত্তিয়া মুরলিধরন। স্থানীয় টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ভারত সেই সময় সেরা দল ছিল এবং টুর্নামেন্টে আমরা ছিলাম দ্বিতীয় সেরা।’ মুম্বাইর ওয়াঙখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পরাজয়ের পেছনে নিজের এবং অলরাউন্ডার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ইনজুরির বিষয়টিকে তিনি মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য, ফাইনালে ফিক্সিং হয়েছিল এমন সন্দেহ পোষণ করে সম্প্রতি তোলপাড় ফেলে দেন দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী (১৯৯৬) অধিনায়ক রানাতুঙ্গা। বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে মুরলিধরন বলেন, ‘ফাইনালে আমাদের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এখানে দু’টি বিষয় ঘটেছে। সেমিফাইনালে আমি কুঁচকির ইনজুরিতে পড়ি। আর ধারাবাহিক রানে থাকা ম্যাথুস ইনজুরির কারণে ফাইনালে খেলতেই পারেনি। ব্যাটসম্যানরা ভাল রান করছিল। কিন্তু মিডল অর্ডারে ব্যাটসম্যানরা ভাল করতে না পারায় নির্বাচকরা ৩-৪টি পরিবর্তন করে দল সাজায় যা নিয়মিত দলের সঙ্গে ওই দলটির পার্থক্য গড়ে দেয়। টসে জয়ের পর সিনিয়র খেলোয়াড় ও নির্বাচকরা রান তাড়া করতে ভয় পেয়েছিল। সে কারণেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের চিন্তা করেছিল। কিন্তু আমার মাথায় ছিল পরে ব্যাট করার। কারণ আমার মনে হয়েছে ভারত যে কোন রান তাড়া করতে সক্ষম। আর এই সিদ্ধান্তই আমার সঙ্গে তাদের মতো পার্থক্য দেখা দেয়। আগের কয়েকটি সফরের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি তাদের এই পরামর্শ দিয়েছিলাম। ওখানে শিশিরের বিষয়টি বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সাঙ্গাকারা আমাকে বলেছিল ম্যাচ রেফারি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে ফাইনালে কোন ধরনের শিশির ঘাসের ওপর থাকবে না।’ ৪৫ বছর বয়সী মুরলি আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিশিরই শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ১৫ ওভারের মধ্যেই ঘাসে শিশির দেখা দেয় এবং ঐ সময় আর কিছুই করার ছিল না। এখানে ম্যাচ পাতানোর কোন বিষয় আসতেই পারে না।’ এরআগে রানাত্ঙ্গুা বলেছিলেন, ‘ধারাভাষ্য দিতে ওই সময় আমিও ভারতেই ছিলাম। ফাইনালে আমাদের হারটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। একই সঙ্গে আমার মনে সন্দেহও ছিল। সেদিন আসলে কি হয়েছিল সেটি তদন্ত করে দেখা উচিত।’
×