ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

মংলা বন্দরে ভিড়েছে ভারতীয় চালের প্রথম চালান

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১২ আগস্ট ২০১৭

মংলা বন্দরে ভিড়েছে ভারতীয় চালের প্রথম চালান

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ দুর্যোগ ও আপদকালীন সঙ্কট মোকাবেলা এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে সরকারের আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান বাগেরহাটের মংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। প্রথম দফায় প্রায় চার হাজার ৭শ’ টন চাল নিয়ে বিদেশী জাহাজ এমভি ‘ডং আন কুইন’ বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় ভিড়েছে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর এ বন্দরে ভিড়ল চালবাহী বিদেশী এ জাহাজটি। আমদানিকৃত চালের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শুরু হবে খালাসকাজ। প্রাথমিকভাবে আমদানিকৃত চালের গুণগতমান দেখে খাদ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, দেশের চলমান দুর্যোগে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারীভাবে ভিয়েতনাম থেকে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টন এবং ভারত থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়। সম্প্রতি চুক্তি হওয়া ভারতীয় চালের প্রায় চার হাজার ৭শ’ টন চাল নিয়ে গত বুধবার (৯ আগস্ট) মংলা বন্দরে ভেড়ে ভিয়েতনামের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ‘ডং আন কুইন’। গত ৭ আগস্ট ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে এ চাল বোঝাই করে মংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বিদেশী ওই জাহাজটি। ইতোমধ্যে খাদ্য অধিদফতরের পদস্থ কর্মকর্তারা বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ায় আমদানিকৃত চালবাহী জাহাজ পরিদর্শন ও চালের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এরপর চালের গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে খালাসের কাজের অনুমতি দেয় খাদ্য বিভাগ। জাহাজটিতে প্রায় ৯৪ হাজার ২০ ব্যাগ চাল রয়েছে। প্রতিটি পলিব্যাগে রয়েছে ৫০ কেজি করে চাল। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স খুলনা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি বি কে চক্রবর্তী পল্টু জানান, আমদানিকৃত চালের গুণগতমান বেশ ভাল। এ চাল খালাসের জন্য শ্রমিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। মংলার শ্রমিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খালিদ ব্রাদাসের্র সুপারভাইজার আবুল কাসেম জানান, চাল খালাসের জন্য তাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি পেলেই খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকেল এ চাল খালাসে ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান। খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে এ বন্দরে চালবোঝাই কোন জাহাজ ভেড়েনি। এবার দুর্যোগকালীন খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় ভারত থেকে সরকারের আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান নিয়ে জাহাজটি বন্দরে এসেছে। এটি আমদানিকৃত খাদ্যশস্যের চলমান প্রক্রিয়া। বন্দরে আসা চালের গুণগতমান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাতে চালের খালাসকাজ শুরু হওয়ার কথা জানান তিনি। মংলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (চওস) জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, লাইটার (নৌযান) জাহাজের মাধ্যমে খালাস হয়ে এ চাল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাসমূহের বিভিন্ন খাদ্যগুদামে পৌঁছবে। ভারত থেকে সরকারীভাবে আমদানিকৃত এ চালের দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুব্রি এ্যাগো এনার্জি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, লোকাল এজেন্ট ও খাদ্য বিভাগ যৌথভাবে এ চাল খালাসের কাজ এবং দেখভালের দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও ভারত থেকে পর্যায়ক্রমে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে আরও প্রায় ৫০ হাজার টন চাল। বন্দরে এ চাল খালাসের মধ্য দিয়ে আমদানিকৃত খাদ্যশস্য মংলা বন্দরে শতকরা ৪০ ভাগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬০ ভাগ খালাস হবে।
×